1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনের প্রচারণায় বৈপরীত্য

২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, দেশে এখনো ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' তৈরি হয়নি৷

ছবি: bdnews24.com

এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধান প্রধান গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সবই যেন ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণে৷

গত দুই সপ্তাহ ধরে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছে দলগুলো৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন এবং প্রচারণা চালাচ্ছেন৷ এবার নির্বাচিত হলে চতুর্থ দফায় প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি৷ অন্যদিকে, সংসদের বাইরে সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপি'র কোনো নেতাকে সে ধরনের বড় সমাবেশ করতে দেখা যায়নি৷ খুব ছোট ছোট করে গণসংযোগ করছেন তাঁরা৷ দলটির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে এখন দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে রয়েছেন সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে৷ তাঁর এই সাজাকে বিএনপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করে আসছে সবসময়৷

বিএনপি জানিয়েছে, তাদের অনেক প্রার্থী হুমকির মুখে প্রচারণায় নামতে ভয় পাচ্ছেন৷ ক্ষমতাসীনদের দ্বারা হামলার শিকার হওয়া এবং গ্রেপ্তার আতঙ্কে তাঁরা প্রচারণায় সরব হতে পারছেন না বলেও দাবি করা হয় এএফপির প্রতিবেদনে৷ বিএনপি'র দাবি, এখন পর্যন্ত তাদের দেড়শ' প্রার্থীর উপর হামলা চালানো হয়েছে, ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় বিএনপি'র কয়েক হাজার কর্মী আহত হয়েছে৷

নির্বাচনি সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রধান দুই দলের ৬ সমর্থক নিহত হয়েছেন৷ সংঘর্ষ এড়াতে তাই বিএনপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে৷ এর মাধ্যমে তারা ১০ কোটি ভোটারের কাছে পৌঁছাতে চাইছে৷ সম্প্রতি বিএনপি'র শীর্ষ নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তরুণ প্রজন্মকে ভোট দেয়ার আবেদন জানিয়ে করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে৷ শুক্রবার রাতে তিন মিনিটের ভিডিওটি ফেসবুকে ছাড়া হয়৷

এছাড়া ভাইরাল হয়েছে একটি কবিতা, যেখানে ক্ষমতাসীন সরকারের সহিংসতা এবং ছাত্র আন্দোলনে হামলার কথা উল্লেখ করে নিন্দা জানানো হয়েছে৷ 

তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগেরও রয়েছে সরব উপস্থিতি৷ আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিভিন্ন গ্রুপ সরকারের উন্নয়নের এবং বিরোধীদের সহিংসতার ছোট ছোট অনেক ভিডিও ফেসবুকে ছেড়েছে৷ সেগুলোর বেশিরভাগেই রয়েছেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের তারাকারা৷

বিএনপি'র মুখপাত্র সাইরুল কবীর খান এএফপিকে জানান, ‘‘রাষ্ট্রীয় এবং মূল ধারার বেশিরভাগ গণমাধ্যম ক্ষমতাসীনদের কোপের মুখে পড়ার আশংকায় বিরোধীদের প্রচারণা সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরছে না৷'' তিনি বলেন, বেশিরভাগ চ্যানেলেই আওয়ামী লীগের প্রচারণা সংক্রান্ত নানা বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে৷ এ কারণেই তাঁরা প্রচারণা চালাতে ফেসবুককে বেছে নিয়েছেন বলে জানান তিনি৷

অশ্লীল ও অযৌক্তিক তথ্য সম্বলিত হওয়ার অভিযোগ এনে কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে বিএনপি'র ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে৷ গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি'র ফেসবুক পাতাটিও ‘ডাউন' বলে দাবি করেছে দলটি৷

ফেসবুক গত সপ্তাহে জানিয়েছিল তারা বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন করে এবং বিরোধীদের বিপক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে এমন ৯টি পাতা ও ৬টি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে৷

সুশীল সমাজ এবং অধিকারকর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন করছে এই সরকার৷ পাশাপাশি তাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন৷ মানবজমিন-এর সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী এএফপিকে বলেন, ‘‘বিরোধী দলগুলো এত ভয়ে আছে যে তারা মুক্তভাবে প্রচারণা চালাতে পারছে না৷মিডিয়াও শঙ্কায় আছে৷এটাই বাস্তবতা৷''

এপিবি/এসিবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ