1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফরাসি প্রেসিডেন্ট

৬ মে ২০১২

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে৷ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নিকোলা সার্কোজি এবং ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-এর মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের আভাস গত কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছে৷ এই নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে বার্লিনও৷

Official campaign posters for French President and UMP political party candidate Nicolas Sarkozy (R) and Socialist Party candidate Francois Hollande, for the 2012 French presidential election, are displayed on a wall in Paris in this April 16, 2012 file photo. France's 46 million voters got to the polls on May 6, 2012 in the second round vote. REUTERS/Philippe Wojazer/Files (FRANCE - Tags: POLITICS ELECTIONS)
ছবি: Reuters

ভোটার উপস্থিতি

এবারের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ কোটি ৬০ লাখ৷ আজ শুরু থেকেই বেশ ভীড় দেখা গেছে ভোট কেন্দ্রগুলোতে৷ বৃষ্টি এবং ঠান্ডা উপেক্ষা করে অনেক ভোটার সেখানে হাজির হন সকালেই৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিক যে সংখ্যা জানানো হয়েছে, তাতে দেখা গেছে দুপুরের মধ্যেই শতকরা ৩০ ভাগের বেশি ভোট পড়েছে৷ ফ্রান্স ছাড়াও বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী ফরাসিরাও ভোট দিচ্ছেন৷ ফ্রান্সে ভোট চলবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত৷ তবে বড় শহরগুলোতে ভোট কেন্দ্র আরও দুই ঘণ্টা বেশি খোলা থাকবে৷

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা

প্রেসিডেন্ট সার্কোজি এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রঁসোয়া ওলঁদ দুজনেই তুমুল লড়াই করছেন নির্বাচনে জিততে, ইতিমধ্যে সেই খবর পাওয়া গেছে৷ নির্বাচনের আগ থেকেই যেসব সমীক্ষা চলছে তাতে দেখা গেছে প্রেসিডেন্ট সার্কোজির চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন সমাজতন্ত্রী দলের নেতা ওলঁদ৷ তবে এক্সিট পোলের কোন হিসাব জানানো সম্ভব নয়৷ কারণ সর্বশেষ কেন্দ্রের ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন খবর ফরাসি গণমাধ্যমগুলো প্রচার করতে পারবে না, এটাই সেদেশের আইন৷ তবে বেলজিয়ামের সরকারি সংবাদ মাধ্যম ফরাসি অধ্যুষিত কয়েকটি জায়গার ভোটের ফলাফলের খবর জানিয়েছে৷ সেসব জায়গাতে বেশ এগিয়ে রয়েছে ফ্রঁসোয়া ওলঁদ৷ তবে সেখানে ভোটের সংখ্যা মূল ভোটারদের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় তার কোন প্রভাব আসল নির্বাচনে পড়ার সম্ভাবনা কম৷

ভোট দিচ্ছেন এক ভোটারছবি: Reuters

জার্মানির স্বার্থ

এদিকে ফ্রান্সের এই নির্বাচনের দিকে বেশ অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে জার্মানি৷ সার্কোজির বিদায় না টিকে থাকা, সেটা দেখতে কিন্তু তারা বেশ উন্মুখ হয়ে আছে৷ কেবল প্রতিবেশী দেশ হিসেবে নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ম্যার্কোজি জুটি থাকছে নাকি ভেঙ্গে যাচ্ছে সেটাও একটা বড় কারণ এই আগ্রহের৷ গত দুই বছর ধরে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির নেতৃত্ব ইইউর আর্থিক সংকট মোকাবিলা করে এসেছে৷ তবে ইইউর আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ম্যার্কেলের সঙ্গে স্পষ্ট মতপার্থক্য রয়েছে ফরাসি বিরোধী নেতা ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-এর৷ এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবকিছুতেই জার্মানিকে অনুসরণ করবে ফ্রান্স সেটাও তাঁর পছন্দ নয়৷ তাই ওলঁদ ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলে ইইউর অভ্যন্তরীণ অনেক বিষয়ে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা থাকছে, যেটার মোকাবিলা করতে হবে ম্যার্কেল সরকারকে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম (রয়টার্স, ডিপিএ)

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ