জার্মানিতে নির্বাচন শেষ৷ এখন সরকার গঠনের অপেক্ষা৷ তার আগে যে বিষয়গুলো আলোচনায় রয়েছে তার একটি হলো সংস্কৃতি৷ নির্বাচন কি জার্মানির সাংস্কৃতিক নীতিমালায় কোনো পরিবর্তনের সূচনা করবে?
বিজ্ঞাপন
অন্য সব কিছুর মতো সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সার্বিক বিষয়েও কী বা কেমন পরিবর্তন আসতে পারে তা নির্ভর করে কোন কোন দলের জোট সরকার ক্ষমতায় আসে, তার ওপর৷ তবে নির্বাচনি প্রচারণার সময় প্রায় সব দলই সরকার গঠন করলে সংস্কৃতি এবং শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে৷
লুটকরাসাংস্কৃতিকনিদর্শনগুলোরভবিষ্যৎ
নাৎসি সরকার এবং উপনিবেশিক শাসনের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসা শিল্প নিদর্শনের বিষয়ে নতুন সরকারের সিদ্ধান্ত কী হবে এটা একটা বড় প্রশ্ন৷ বার্লিনে হুমবোল্ড্ট ফোরামে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে৷ তাছাড়া ২০১২ সালে মিউনিখের এক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ শিল্পকর্ম উদ্ধারের পর থেকেই লুট করে আনা শিল্পকর্ম উৎসদেশে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি বিভিন্ন পর্যায় থেকে উঠছে৷ নাৎসি আমলের শিল্পকর্ম বিক্রেতা হিল্ডারান গুলরিটের সন্তানের সেই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা শিল্পকর্মগুলোর দাম এক বিলিয়ন ইউরোর চেয়েও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
কিন্তু সরকার যেই দলগুলোর জোটই গঠন করুক না কেন লুট করা সম্পদের ভবিষ্যৎ আগামী চার বছরে নির্ধারিত হবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না৷ সিডিইউ/সিএসইউ বলে রেখেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে আরো তথ্যানুসন্ধান প্রয়োজন বলে মনে করে৷ গ্রিন পার্টি এবং বাম দল শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়নের পক্ষে৷ এছাড়া নাৎসি এবং উপনিবেশিক আমলে নিয়ে আসা শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে দুটি দলের সমর্থন খুবই স্পষ্ট৷ তবে ফিরিয়ে দেয়া কবে থেকে, কিভাবে শুরু হবে সে বিষয়ে দল দুটোর বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
হিটলার এবং নাৎসিরা যেভাবে শিল্পকলার অবমাননা করেছে
একনায়ক হিসেবে সারা বিশ্বে কুখ্যাতি অর্জন শুরুর আগে হিটলার ছিলেন একজন চিত্রশিল্পী৷ ‘ফ্যুহরার’ যেসব শিল্পকর্মকে ঘৃণা করতেন, সেগুলোর ভাগ্যে ‘পতিত শিল্পকর্ম’-র তকমা জুটতো এবং জাদুঘর থেকে তা সরিয়ে ফেলা হতো৷
ছবি: Bundesarchiv, Bild 183-C10110/CC-BY-SA
‘পতিত’ শিল্প
মডার্ন আর্ট-এর ধরন, এর শিল্পী বা বিষয়বস্তু হিটলারের একেবারেই পছন্দ ছিল না, তাই নাৎসিরা একে বলতো ‘পতিত শিল্পকর্ম’৷ ১৯৩৭ সাল থেকে নাৎসিরা জার্মানির জাদুঘর থেকে এসব শিল্পকর্ম সরিয়ে দিয়েছিল৷ এই ছবিতে হিটলার এবং সেসময়কার প্রচারণা মন্ত্রী গোয়েবেলসকে মিউনিখের একটি জাদুঘরের প্রদর্শনীতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হিটলারের শিল্পকর্ম
রোমান্টিকতা এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শিল্পকর্মের প্রতি বিশেষ অনুরাগ ছিল হিটলারের৷ তিনি পছন্দ করতেন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য৷ তার ব্যক্তিগত সংগ্রহে তাই ছিল ক্রানাখ, টিনটোরেটো এবং বোর্ডোনের ছবি৷ আর তার অনুসরণীয় ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাভেরিয়ার লুদভিগ আই এবং ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেট৷ অবসরের পর নিজের শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর ইচ্ছে ছিল হিটলারের৷ নিৎস শহরে ফ্যুহরার জাদুঘরে প্রদর্শনী আয়োজনের ইচ্ছা ছিল তার৷
ছবি: picture-alliance/Everett Collection/Actual Films
বাজেয়াপ্ত
নাৎসিরা কেবল প্রগতিশীল শিল্পীদের নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা জাদুঘরে তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল৷ ১৯৩৭ সালে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ১০১ টি জার্মান জাদুঘর থেকে ২০ হাজার শিল্পকর্ম সরিয়ে ফেলে কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: Victoria & Alber Museum
হিটলারের জাতীয়তাবাদী ধরন
হিটলারের জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনায় বিমূর্ত শিল্পের যে কোনো স্থান নেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল ১৯৩৭ সালের ১৮ই জুলাই মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘গ্রেট জার্মান আর্ট’ প্রদর্শনীতে৷ সেখানে চিরাচরিত প্রাকৃতিক দৃশ্য, ইতিহাস এবং নগ্ন চিত্রকর্মের প্রদর্শন হয়েছিল, এর বাইরে বিমূর্ত কোনো শিল্পকর্ম ছিল না৷
ছবি: Bundesarchiv, Bild 183-C10110/CC-BY-SA
‘পতিত শিল্প’ হিসেবে চিহ্নিত করার কারণ
কখনো কখনো হিটলারের ঘনিষ্টজনরাও নিশ্চিত হতে পারতো না, কোন শিল্পীর কাজ হিটলার অনুমোদন দেবেন৷ তবে, আধুনিক কালের সৃজনশীল শিল্পী মাক্স বেকমান, ওটো ডিক্স, আর্নেস্ট লুদভিগ ক্রিসনারের কাজের অনুমোদন দেননি তিনি৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
পতিত শিল্পকর্মের প্রদর্শনী
‘পতিত শিল্পকর্ম’ নামের প্রদর্শনীতে ৩২ টি জার্মান জাদুঘর থেকে বাজেয়াপ্ত করা ৬৫০ টি শিল্পকর্মের প্রদর্শন হয়েছিল৷ সেখানে মানসিক প্রতিবন্ধীদের আঁকা স্কেচও স্থান পেয়েছে৷ বিভিন্ন শহরে এটির প্রদর্শন হয়, যা দেখেছিল ২০ লাখ মানুষ৷
ছবি: cc-by-sa/Bundesarchiv
নিষেধাজ্ঞা যখন বৈধতা পেল
১৯৩৮ সালের ৩১ শে মে ‘পতিত শিল্পকর্ম বাজেয়াপ্ত’ আইন প্রণয়ন করা হয়, যার মাধ্যমে ঐ শিল্পকর্মে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে বৈধতা দেয়া হয়৷ যুদ্ধপরবর্তী কালেও ঐ আইনটি কার্যকর ছিল৷
ছবি: CC by Österreichische Nationalbibliothek
পতিত শিল্পকর্ম পোড়ানো
বাজেয়াপ্ত হওয়া শিল্পকর্মগুলো বার্লিনের গুদামঘর এবং শ্যোনহাউজেন প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ ১৯৩৯ সালের ২০শে মার্চ বার্লিনের অগ্নি নির্বাপন বিভাগ ৫০০০ শিল্প নির্দশন পুড়িয়ে ফেলে, যেটা তারা ‘মহড়ার’ অংশ বলে চালিয়ে দেয়৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
সুইজারল্যান্ডে নিলাম
১৯৩৯ সালের ৩০শে জুন সুইজারল্যান্ডে নিলামের সময় ১২৫টি ‘পতিত শিল্পকর্ম’ চিহ্নিত হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa
9 ছবি1 | 9
বিদেশেজার্মানিরসাংস্কৃতিকপ্রতিনিধি
যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশে জার্মানির সংস্কৃতিকে তুলে ধরে, তাদের মধ্যে ডয়চে ভেলে, গ্যোটে ই্ন্সটিটিউট, বিভিন্ন জার্মান স্কুল এবং জার্মান অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস (ডিএএডি) অন্যতম৷ নির্বাচনের আগে সিডিইউ আর সিএসইউ জানিয়েছে, সরকার গঠন করলে তারা গ্যোটে, ডিএএডি এবং বিভিন্ন জার্মান স্কুলের কাজে আরো উৎসাহ জোগাবে৷ কিন্তু কীভাবে তা করবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি৷ এফডিপি জানিয়ে রেখেছে, ক্ষমতায় এলে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্রিয় সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট সব জার্মান প্রতিষ্ঠানের বাজেট বাড়াবে৷ গ্রিন পার্টি বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্রুত ডিজিটাইশনেও জোর দেয়ার কথা বলেছে৷
সংস্কৃতিতেব্যয়বাড়ানোরসক্ষমতা
সাম্প্রতিক সময়ে এই খাতে ব্যয় অনেক বাড়িয়েছে জার্মান সরকার৷ ম্যার্কেলে সরকারের সংস্কৃতি এবং মিডিয়া বিষয়ক কমিশনের বাজেট ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো ২.৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়৷ এর সঙ্গে করোনায় বিপর্যস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সহায়তায় খরচ করা হয় এক বিলিয়ন ডলার৷ নতুন সরকার এ খাতে ব্যয় আরো বাড়ায় কিনা তা-ই এখন দেখার বিষয়৷
বিশ্বের দামি কিছু শিল্পকর্ম
বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা ছবি ও ভাষ্কর্যের জন্য সংগ্রাহকরা বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকেন – ৪০ কোটি ডলারের বেশি দাম ওঠাও আশ্চর্যের কিছু নয়৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS/R.Tang
সালভাদর মুন্ডি
লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা ২০টি অক্ষত ছবির একটি এটি৷ ধারণা করা হয়, ১৫০০ সালে এ ছবিটি আঁকা হয়৷ ১৯৫৮ সালে ছবিটিকে অনুলিপি ভেবে নিলামে মাত্র ৬০ মার্কিন ডলারে এটি বিক্রি হয়৷ যিশুখ্রিষ্টের এ ছবিটি ২০১৭ সালে ১০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি হবে ধারণা করা হলেও অজ্ঞাত এক ক্রেতা ৪৫ কোটি ডলার দিয়ে কেনেন এটি৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS/R.Tang
ইন্টারচেঞ্জ
ডাচ-অ্যামেরিকান শিল্পী উইলেম ডে কুনিং-এর আঁকা ইন্টারচেঞ্জ নামে একটি তৈলচিত্র ২০১৫ সালে ৩০ কোটি ডলারে বিক্রি হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তাস খেলায় মগ্ন
উত্তর অভিব্যাক্তিবাদ ঘরানার ফরাসি শিল্পী পল সেজানের আঁকা এ ছবিটির নাম ‘দ্যা কার্ড প্লেয়ার’৷ ২০১১ সালে ২৫ কোটি ডলারে ছবিটি বিক্রি হয়৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
‘যখন তুমি বিয়ে করবে’
এ ছবিটি আঁকা হয়েছিল ১৮৯২ সালে৷ শিল্পী ফ্রান্সের পল গগাঁ৷ ‘হোয়েন উইল ইউ মেরি’ শিরোনামের এ ছবিটির দাম ২১ কোটি ডলার৷
ছবি: picture-alliance/akg-images/E. Lessing
‘নাম্বার ১৭এ’
অ্যামেরিকান শিল্পী জ্যাকসন পোলোকের আঁকা ‘নাম্বার ১৭এ’ নামের একটি চিত্রকর্ম ২০১৫ সালে ২০ কোটি ডলারে বিক্রি হয়৷ উপরের ছবিটি পোলোকের আঁকা, যার নাম নাম্বার ৭৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘বিয়ের ছবি’
নেদারল্যান্ডসের বিখ্যাত মার্টেন ও ওপইয়েন এর ১৬৩৪ সালের অনুষ্ঠিত বিয়ের ছবি এটি৷ চিত্রকর ডাচ শিল্পী রেমব্রান্ট হারমেনসুন ফান রিন৷ ২০১৫ সালে বিক্রি হওয়া এ ছবিটির দাম পড়েছে ১৮ কোটি ডলার৷
ছবি: gemeinfrei/DW Montage
আলজিয়ার্সের মহিলারা
লেডি অব আলজিয়ার্স শিরোনামে ছবিটি স্পেনের জগদ্বিখ্যাত চিত্রকর পাবলো পিকাসোর ১৯৫৫ সালে আঁকা৷ নিলামে ছবিটির দাম উঠে ১৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে৷
ছবি: Reuters
‘ন্যু কুশে’
ইটালির চিত্রকর আমেদেও মোদিগলিয়ানি এই ছবিটি আঁকেন ১৯১৭ সালে, তার মৃত্যুর তিন বছর আগে৷ ১৭কোটি চার লাখ ডলারে ২০১৫ সালে বিক্রি হয় ছবিটি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
‘মাস্টারপিস’
অ্যামেরিকান পপ আর্টিস্ট রয় লিচটেনস্টাইনের ১৯৬২ সালে একেছিলেন বিখ্যাত এ ছবিটি৷ ২০১৭ সালে ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারে ছবিটি বিক্রি হয়৷
ছবি: Dan Kitwood/Getty Images
লুসিয়ান ফ্রয়েডের তিনটি প্রতিকৃতি
আইরিশ চিত্রকর ফ্রান্সিস বেকন এই তিন খণ্ডের ছবিটি আঁকেন ১৯৬৯ সালে৷ ছবিতে যার আলেখ্য, তিনি হলেন ব্রিটিশ চিত্রকর লুসিয়ান ফ্রয়েড, পক্ষান্তরে মনস্তত্বের জনক সিগমুন্ড ফ্রয়েডের পৌত্র৷ ২০১৩ সালে ক্রিস্টি’স-এর নিলামে ছবিটির দাম ওঠে ১৪ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার৷ রয়েছে মার্কিন শিল্পকলা সংগ্রাহক এলেইন ওয়াইনের সংগ্রহে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অঙ্গুলিনির্দেশ
সুইস ভাস্কর আলবের্তো জাকোমেত্তির সৃষ্টি এই মানুষ-সমান ব্রোঞ্জ মূর্তিটি নিউ ইয়র্কে ক্রিস্টি’স-এ নিলাম করা হয় ২০১৫ সালে, কেনেন স্টিভ কোহেন নামের এক হেজফান্ড ম্যানেজার৷ মূর্তিটি আজ বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্রয়যোগ্য ভাস্কর্য বলে গণ্য৷ এটি বিক্রি হয়েছেল ১৪ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Hatfield/Christies
সোনার আডেলে
অস্ট্রিয়ার চিত্রকর গুস্তাফ ক্লিম্ট আডেলে ব্লখ-বাউয়ারের এই প্রতিকৃতিটি আঁকেন ১৯০৭ সালে৷ ম্যানহ্যাটানের ‘নয়ে গ্যালেরি’ নামের সংগ্রহশালার জন্য ২০০৬ সালে ছবিটি কেনেন মার্কিন ব্যবসায়ী রোনাল্ড লডার৷ ছবিটি ১৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারে কেনার ব্যবস্থা করে ক্রিস্টি’স সংস্থা৷
ছবি: AUSSCHNITT: picture-alliance/Heritage Images
চিৎকার
নরওয়েজীয় চিত্রকর এডভার্ড মুঞ্চ ‘চিৎকার’ ছবিটি এঁকেছেন একাধিক বার ৷ দা ভিঞ্চির মোনালিসা ও ফান গখ-এর সূর্যমুখি ফুলের পরেই মুঞ্চের এই ছবিটিকে বিশ্বের খ্যাততম চিত্রকর্ম বলে গণ্য করা হয়৷ ছবিটির প্যাস্টেল রঙে আঁকা এই সংস্করণ নিলাম করা হয় ২০১২ সালে, নিউ ইয়র্কের সথেবি সংস্থায়৷ মার্কিন শিল্পপতি লিয়ন ব্ল্যাক ১১ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলারে কিনেন এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নগ্নমূর্তি, সবুজ পাতা, আবক্ষ
পাবলো পিকাসো এই তেলরঙের ছবিটি এঁকেছিলেন মাত্র একদিনে – দিনটা ছিল ৮ই মার্চ, ১৯৩২৷ প্রায় অজ্ঞাত ছবিটি নিউ ইয়র্কের নিলামে বিক্রি হয় ১০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যে, কেনেন এক অজ্ঞাত ক্রেতা৷ ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকলেও, ছবিটি লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারিকে ধার দেওয়া হয়েছে ২০১১ সালে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রুপোলি গাড়ি দুর্ঘটনা
মার্কিন চিত্রকর অ্যান্ডি ওয়ারহল ১৯৬৩ সালে এই সিল্ক স্ক্রিন প্রিন্টটি সৃষ্টি করেন – যার বিষয়বস্তু হল একটি গাড়ি দুর্ঘটনা৷ ২০ বছর ধরে ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকার পর ২০১৩ সালে সথেবি-তে ছবিটি নিলাম করা হয়৷ ক্রেতা অজ্ঞাতই থাকেন; তবে ছবিটি পপ আর্ট শিল্পী ওয়ারহলের সবচেয়ে দামী ছবি বলে গণ্য করা হয়৷