জার্মানিতে নির্বাচন শেষ৷ এখন সরকার গঠনের অপেক্ষা৷ তার আগে যে বিষয়গুলো আলোচনায় রয়েছে তার একটি হলো সংস্কৃতি৷ নির্বাচন কি জার্মানির সাংস্কৃতিক নীতিমালায় কোনো পরিবর্তনের সূচনা করবে?
ছবি: Simon Becker/Le Pictorium/imago images
বিজ্ঞাপন
অন্য সব কিছুর মতো সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সার্বিক বিষয়েও কী বা কেমন পরিবর্তন আসতে পারে তা নির্ভর করে কোন কোন দলের জোট সরকার ক্ষমতায় আসে, তার ওপর৷ তবে নির্বাচনি প্রচারণার সময় প্রায় সব দলই সরকার গঠন করলে সংস্কৃতি এবং শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে৷
লুটকরাসাংস্কৃতিকনিদর্শনগুলোরভবিষ্যৎ
নাৎসি সরকার এবং উপনিবেশিক শাসনের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসা শিল্প নিদর্শনের বিষয়ে নতুন সরকারের সিদ্ধান্ত কী হবে এটা একটা বড় প্রশ্ন৷ বার্লিনে হুমবোল্ড্ট ফোরামে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে৷ তাছাড়া ২০১২ সালে মিউনিখের এক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ শিল্পকর্ম উদ্ধারের পর থেকেই লুট করে আনা শিল্পকর্ম উৎসদেশে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি বিভিন্ন পর্যায় থেকে উঠছে৷ নাৎসি আমলের শিল্পকর্ম বিক্রেতা হিল্ডারান গুলরিটের সন্তানের সেই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা শিল্পকর্মগুলোর দাম এক বিলিয়ন ইউরোর চেয়েও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
কিন্তু সরকার যেই দলগুলোর জোটই গঠন করুক না কেন লুট করা সম্পদের ভবিষ্যৎ আগামী চার বছরে নির্ধারিত হবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না৷ সিডিইউ/সিএসইউ বলে রেখেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে আরো তথ্যানুসন্ধান প্রয়োজন বলে মনে করে৷ গ্রিন পার্টি এবং বাম দল শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়নের পক্ষে৷ এছাড়া নাৎসি এবং উপনিবেশিক আমলে নিয়ে আসা শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে দুটি দলের সমর্থন খুবই স্পষ্ট৷ তবে ফিরিয়ে দেয়া কবে থেকে, কিভাবে শুরু হবে সে বিষয়ে দল দুটোর বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
হিটলার এবং নাৎসিরা যেভাবে শিল্পকলার অবমাননা করেছে
একনায়ক হিসেবে সারা বিশ্বে কুখ্যাতি অর্জন শুরুর আগে হিটলার ছিলেন একজন চিত্রশিল্পী৷ ‘ফ্যুহরার’ যেসব শিল্পকর্মকে ঘৃণা করতেন, সেগুলোর ভাগ্যে ‘পতিত শিল্পকর্ম’-র তকমা জুটতো এবং জাদুঘর থেকে তা সরিয়ে ফেলা হতো৷
ছবি: Bundesarchiv, Bild 183-C10110/CC-BY-SA
‘পতিত’ শিল্প
মডার্ন আর্ট-এর ধরন, এর শিল্পী বা বিষয়বস্তু হিটলারের একেবারেই পছন্দ ছিল না, তাই নাৎসিরা একে বলতো ‘পতিত শিল্পকর্ম’৷ ১৯৩৭ সাল থেকে নাৎসিরা জার্মানির জাদুঘর থেকে এসব শিল্পকর্ম সরিয়ে দিয়েছিল৷ এই ছবিতে হিটলার এবং সেসময়কার প্রচারণা মন্ত্রী গোয়েবেলসকে মিউনিখের একটি জাদুঘরের প্রদর্শনীতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হিটলারের শিল্পকর্ম
রোমান্টিকতা এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শিল্পকর্মের প্রতি বিশেষ অনুরাগ ছিল হিটলারের৷ তিনি পছন্দ করতেন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য৷ তার ব্যক্তিগত সংগ্রহে তাই ছিল ক্রানাখ, টিনটোরেটো এবং বোর্ডোনের ছবি৷ আর তার অনুসরণীয় ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাভেরিয়ার লুদভিগ আই এবং ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেট৷ অবসরের পর নিজের শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর ইচ্ছে ছিল হিটলারের৷ নিৎস শহরে ফ্যুহরার জাদুঘরে প্রদর্শনী আয়োজনের ইচ্ছা ছিল তার৷
ছবি: picture-alliance/Everett Collection/Actual Films
বাজেয়াপ্ত
নাৎসিরা কেবল প্রগতিশীল শিল্পীদের নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা জাদুঘরে তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল৷ ১৯৩৭ সালে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ১০১ টি জার্মান জাদুঘর থেকে ২০ হাজার শিল্পকর্ম সরিয়ে ফেলে কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: Victoria & Alber Museum
হিটলারের জাতীয়তাবাদী ধরন
হিটলারের জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনায় বিমূর্ত শিল্পের যে কোনো স্থান নেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল ১৯৩৭ সালের ১৮ই জুলাই মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘গ্রেট জার্মান আর্ট’ প্রদর্শনীতে৷ সেখানে চিরাচরিত প্রাকৃতিক দৃশ্য, ইতিহাস এবং নগ্ন চিত্রকর্মের প্রদর্শন হয়েছিল, এর বাইরে বিমূর্ত কোনো শিল্পকর্ম ছিল না৷
ছবি: Bundesarchiv, Bild 183-C10110/CC-BY-SA
‘পতিত শিল্প’ হিসেবে চিহ্নিত করার কারণ
কখনো কখনো হিটলারের ঘনিষ্টজনরাও নিশ্চিত হতে পারতো না, কোন শিল্পীর কাজ হিটলার অনুমোদন দেবেন৷ তবে, আধুনিক কালের সৃজনশীল শিল্পী মাক্স বেকমান, ওটো ডিক্স, আর্নেস্ট লুদভিগ ক্রিসনারের কাজের অনুমোদন দেননি তিনি৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
পতিত শিল্পকর্মের প্রদর্শনী
‘পতিত শিল্পকর্ম’ নামের প্রদর্শনীতে ৩২ টি জার্মান জাদুঘর থেকে বাজেয়াপ্ত করা ৬৫০ টি শিল্পকর্মের প্রদর্শন হয়েছিল৷ সেখানে মানসিক প্রতিবন্ধীদের আঁকা স্কেচও স্থান পেয়েছে৷ বিভিন্ন শহরে এটির প্রদর্শন হয়, যা দেখেছিল ২০ লাখ মানুষ৷
ছবি: cc-by-sa/Bundesarchiv
নিষেধাজ্ঞা যখন বৈধতা পেল
১৯৩৮ সালের ৩১ শে মে ‘পতিত শিল্পকর্ম বাজেয়াপ্ত’ আইন প্রণয়ন করা হয়, যার মাধ্যমে ঐ শিল্পকর্মে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে বৈধতা দেয়া হয়৷ যুদ্ধপরবর্তী কালেও ঐ আইনটি কার্যকর ছিল৷
ছবি: CC by Österreichische Nationalbibliothek
পতিত শিল্পকর্ম পোড়ানো
বাজেয়াপ্ত হওয়া শিল্পকর্মগুলো বার্লিনের গুদামঘর এবং শ্যোনহাউজেন প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ ১৯৩৯ সালের ২০শে মার্চ বার্লিনের অগ্নি নির্বাপন বিভাগ ৫০০০ শিল্প নির্দশন পুড়িয়ে ফেলে, যেটা তারা ‘মহড়ার’ অংশ বলে চালিয়ে দেয়৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
সুইজারল্যান্ডে নিলাম
১৯৩৯ সালের ৩০শে জুন সুইজারল্যান্ডে নিলামের সময় ১২৫টি ‘পতিত শিল্পকর্ম’ চিহ্নিত হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa
9 ছবি1 | 9
বিদেশেজার্মানিরসাংস্কৃতিকপ্রতিনিধি
যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশে জার্মানির সংস্কৃতিকে তুলে ধরে, তাদের মধ্যে ডয়চে ভেলে, গ্যোটে ই্ন্সটিটিউট, বিভিন্ন জার্মান স্কুল এবং জার্মান অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস (ডিএএডি) অন্যতম৷ নির্বাচনের আগে সিডিইউ আর সিএসইউ জানিয়েছে, সরকার গঠন করলে তারা গ্যোটে, ডিএএডি এবং বিভিন্ন জার্মান স্কুলের কাজে আরো উৎসাহ জোগাবে৷ কিন্তু কীভাবে তা করবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি৷ এফডিপি জানিয়ে রেখেছে, ক্ষমতায় এলে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্রিয় সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট সব জার্মান প্রতিষ্ঠানের বাজেট বাড়াবে৷ গ্রিন পার্টি বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্রুত ডিজিটাইশনেও জোর দেয়ার কথা বলেছে৷
সংস্কৃতিতেব্যয়বাড়ানোরসক্ষমতা
সাম্প্রতিক সময়ে এই খাতে ব্যয় অনেক বাড়িয়েছে জার্মান সরকার৷ ম্যার্কেলে সরকারের সংস্কৃতি এবং মিডিয়া বিষয়ক কমিশনের বাজেট ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো ২.৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়৷ এর সঙ্গে করোনায় বিপর্যস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সহায়তায় খরচ করা হয় এক বিলিয়ন ডলার৷ নতুন সরকার এ খাতে ব্যয় আরো বাড়ায় কিনা তা-ই এখন দেখার বিষয়৷
বিশ্বের দামি কিছু শিল্পকর্ম
বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা ছবি ও ভাষ্কর্যের জন্য সংগ্রাহকরা বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকেন – ৪০ কোটি ডলারের বেশি দাম ওঠাও আশ্চর্যের কিছু নয়৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS/R.Tang
সালভাদর মুন্ডি
লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা ২০টি অক্ষত ছবির একটি এটি৷ ধারণা করা হয়, ১৫০০ সালে এ ছবিটি আঁকা হয়৷ ১৯৫৮ সালে ছবিটিকে অনুলিপি ভেবে নিলামে মাত্র ৬০ মার্কিন ডলারে এটি বিক্রি হয়৷ যিশুখ্রিষ্টের এ ছবিটি ২০১৭ সালে ১০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি হবে ধারণা করা হলেও অজ্ঞাত এক ক্রেতা ৪৫ কোটি ডলার দিয়ে কেনেন এটি৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS/R.Tang
ইন্টারচেঞ্জ
ডাচ-অ্যামেরিকান শিল্পী উইলেম ডে কুনিং-এর আঁকা ইন্টারচেঞ্জ নামে একটি তৈলচিত্র ২০১৫ সালে ৩০ কোটি ডলারে বিক্রি হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তাস খেলায় মগ্ন
উত্তর অভিব্যাক্তিবাদ ঘরানার ফরাসি শিল্পী পল সেজানের আঁকা এ ছবিটির নাম ‘দ্যা কার্ড প্লেয়ার’৷ ২০১১ সালে ২৫ কোটি ডলারে ছবিটি বিক্রি হয়৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
‘যখন তুমি বিয়ে করবে’
এ ছবিটি আঁকা হয়েছিল ১৮৯২ সালে৷ শিল্পী ফ্রান্সের পল গগাঁ৷ ‘হোয়েন উইল ইউ মেরি’ শিরোনামের এ ছবিটির দাম ২১ কোটি ডলার৷
ছবি: picture-alliance/akg-images/E. Lessing
‘নাম্বার ১৭এ’
অ্যামেরিকান শিল্পী জ্যাকসন পোলোকের আঁকা ‘নাম্বার ১৭এ’ নামের একটি চিত্রকর্ম ২০১৫ সালে ২০ কোটি ডলারে বিক্রি হয়৷ উপরের ছবিটি পোলোকের আঁকা, যার নাম নাম্বার ৭৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘বিয়ের ছবি’
নেদারল্যান্ডসের বিখ্যাত মার্টেন ও ওপইয়েন এর ১৬৩৪ সালের অনুষ্ঠিত বিয়ের ছবি এটি৷ চিত্রকর ডাচ শিল্পী রেমব্রান্ট হারমেনসুন ফান রিন৷ ২০১৫ সালে বিক্রি হওয়া এ ছবিটির দাম পড়েছে ১৮ কোটি ডলার৷
ছবি: gemeinfrei/DW Montage
আলজিয়ার্সের মহিলারা
লেডি অব আলজিয়ার্স শিরোনামে ছবিটি স্পেনের জগদ্বিখ্যাত চিত্রকর পাবলো পিকাসোর ১৯৫৫ সালে আঁকা৷ নিলামে ছবিটির দাম উঠে ১৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে৷
ছবি: Reuters
‘ন্যু কুশে’
ইটালির চিত্রকর আমেদেও মোদিগলিয়ানি এই ছবিটি আঁকেন ১৯১৭ সালে, তার মৃত্যুর তিন বছর আগে৷ ১৭কোটি চার লাখ ডলারে ২০১৫ সালে বিক্রি হয় ছবিটি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
‘মাস্টারপিস’
অ্যামেরিকান পপ আর্টিস্ট রয় লিচটেনস্টাইনের ১৯৬২ সালে একেছিলেন বিখ্যাত এ ছবিটি৷ ২০১৭ সালে ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারে ছবিটি বিক্রি হয়৷
ছবি: Dan Kitwood/Getty Images
লুসিয়ান ফ্রয়েডের তিনটি প্রতিকৃতি
আইরিশ চিত্রকর ফ্রান্সিস বেকন এই তিন খণ্ডের ছবিটি আঁকেন ১৯৬৯ সালে৷ ছবিতে যার আলেখ্য, তিনি হলেন ব্রিটিশ চিত্রকর লুসিয়ান ফ্রয়েড, পক্ষান্তরে মনস্তত্বের জনক সিগমুন্ড ফ্রয়েডের পৌত্র৷ ২০১৩ সালে ক্রিস্টি’স-এর নিলামে ছবিটির দাম ওঠে ১৪ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার৷ রয়েছে মার্কিন শিল্পকলা সংগ্রাহক এলেইন ওয়াইনের সংগ্রহে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অঙ্গুলিনির্দেশ
সুইস ভাস্কর আলবের্তো জাকোমেত্তির সৃষ্টি এই মানুষ-সমান ব্রোঞ্জ মূর্তিটি নিউ ইয়র্কে ক্রিস্টি’স-এ নিলাম করা হয় ২০১৫ সালে, কেনেন স্টিভ কোহেন নামের এক হেজফান্ড ম্যানেজার৷ মূর্তিটি আজ বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্রয়যোগ্য ভাস্কর্য বলে গণ্য৷ এটি বিক্রি হয়েছেল ১৪ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Hatfield/Christies
সোনার আডেলে
অস্ট্রিয়ার চিত্রকর গুস্তাফ ক্লিম্ট আডেলে ব্লখ-বাউয়ারের এই প্রতিকৃতিটি আঁকেন ১৯০৭ সালে৷ ম্যানহ্যাটানের ‘নয়ে গ্যালেরি’ নামের সংগ্রহশালার জন্য ২০০৬ সালে ছবিটি কেনেন মার্কিন ব্যবসায়ী রোনাল্ড লডার৷ ছবিটি ১৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারে কেনার ব্যবস্থা করে ক্রিস্টি’স সংস্থা৷
ছবি: AUSSCHNITT: picture-alliance/Heritage Images
চিৎকার
নরওয়েজীয় চিত্রকর এডভার্ড মুঞ্চ ‘চিৎকার’ ছবিটি এঁকেছেন একাধিক বার ৷ দা ভিঞ্চির মোনালিসা ও ফান গখ-এর সূর্যমুখি ফুলের পরেই মুঞ্চের এই ছবিটিকে বিশ্বের খ্যাততম চিত্রকর্ম বলে গণ্য করা হয়৷ ছবিটির প্যাস্টেল রঙে আঁকা এই সংস্করণ নিলাম করা হয় ২০১২ সালে, নিউ ইয়র্কের সথেবি সংস্থায়৷ মার্কিন শিল্পপতি লিয়ন ব্ল্যাক ১১ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলারে কিনেন এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নগ্নমূর্তি, সবুজ পাতা, আবক্ষ
পাবলো পিকাসো এই তেলরঙের ছবিটি এঁকেছিলেন মাত্র একদিনে – দিনটা ছিল ৮ই মার্চ, ১৯৩২৷ প্রায় অজ্ঞাত ছবিটি নিউ ইয়র্কের নিলামে বিক্রি হয় ১০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যে, কেনেন এক অজ্ঞাত ক্রেতা৷ ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকলেও, ছবিটি লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারিকে ধার দেওয়া হয়েছে ২০১১ সালে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রুপোলি গাড়ি দুর্ঘটনা
মার্কিন চিত্রকর অ্যান্ডি ওয়ারহল ১৯৬৩ সালে এই সিল্ক স্ক্রিন প্রিন্টটি সৃষ্টি করেন – যার বিষয়বস্তু হল একটি গাড়ি দুর্ঘটনা৷ ২০ বছর ধরে ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকার পর ২০১৩ সালে সথেবি-তে ছবিটি নিলাম করা হয়৷ ক্রেতা অজ্ঞাতই থাকেন; তবে ছবিটি পপ আর্ট শিল্পী ওয়ারহলের সবচেয়ে দামী ছবি বলে গণ্য করা হয়৷