1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচন তো হলো, এরপর কী হবে?

১৪ জানুয়ারি ২০২৪

প্রথমেই বলে নিই, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে হলো, তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই হতাশ। যে ‘নির্বাচনে’ ভোটারদের বেছে নেওয়ার পর্যাপ্ত সংখ্যক বিকল্প না থাকে, তাকে নির্বাচন বলা যায় কিনা, তা নিয়েও আমার প্রবল সন্দেহ রয়েছে।

 ফাইল ফটো৷
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনার দৃশ্য৷ ফাইল ফটো৷ছবি: Indranil Mukherjee/AFP

এবারের নির্বাচনে কোনো কোনো আসনে হয়ত ব্যালট পেপারে ১০-১১ জন পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ও প্রতীক ছিল, কিন্তু মর্মান্তিক বাস্তবতা হচ্ছে—এদের সকলেই কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগেরই লোক। কেউ সরাসরি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, কেউ স্বতন্ত্র, কেউ বিদ্রোহী, কেউ ডামি। এরা সবাই সরাসরি আওয়ামী লীগেরই নেতা বা কর্মী। আর আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য দলের যে সকল প্রার্থী ছিলেন তারাও প্রকান্তরে আওয়ামী লীগেরই শরিক, সহযোগী অথবা অনুগত। ফলে, ওই ব্যালট পেপারে যে প্রতীকেই সিল দেওয়া যাক না কেন, সেটা প্রকারন্তরে আওয়ামী লীগের পকেটেই যাবে। যে ভোট প্রক্রিয়ায় একটি মাত্র দল ছাড়া অন্য কারো সরকার গঠনের ন্যূনতম সম্ভাবনা থাকে না, তাকে নির্বাচন বলার সুযোগ কোথায়?

তারপরও নির্বাচন একটা হয়ে গেল। এর মাধ্যমে যথারীতি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতাতেও বসে গেল। ঘটা করে নতুন মন্ত্রিসভাও গঠিত হলো। এখন নতুন এই মন্ত্রী, এমপি, সংসদ, সরকার—এগুলোকে আপনি যতই অবৈধ বলুন বা অপছন্দ করুন তাতে বাস্তবতা তেমন একটা পাল্টাবে না। এদের বিষয়ে আপনার বিতৃষ্ণা থাকতে পারে, কিন্তু এদের অস্তিত্বকে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। এই সরকারকে মেনে নিয়েই চলতে হবে। চলতে চলতে হয়তো পাল্টে দেওয়ার কথা চিন্তা করতে পারবেন, কিন্তু যতদিন পাল্টাতে না পারবেন ততদিন বাধ্যতামূলক যাত্রাটা অব্যাহত রাখতে হবে।

নতুন সরকারের দায়বদ্ধতা কতটুকু?

তত্ত্বগতভাবে যে কোনো সরকারই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। তারা যা কিছু করে, জনগণের জন্যই করে। সেই কাজটা সে ঠিকঠাকমতো করছে কিনা, সেটা আবার জনগণ বিচার করে। এই বিচারের উপরেই নির্ভর করে জনগণ তাকে আবারও পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করবে কিনা—সেটা। তাই প্রতিটি নির্বাচনের আগে সরকার জনগণের কাছে যায় ভোট প্রার্থনার জন্য। জনগণ যদি মনে করে পূর্ববর্তী পাঁচ বছর এরা ভালো কাজ করেছে, তাহলে আবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠায়। আর মনে না করলে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়।

কে সরকারি কে বিরোধী?

55:07

This browser does not support the video element.

এসবই তত্ত্বের কথা। আমাদের দেশের বর্তমান বাস্তবতাটা সেরকম নয় মোটেই। সরকার নিজেরাই একটা পদ্ধতি তৈরি করেছেন, তারপর বলেছেন—এই পদ্ধতির মাধ্যমেই যথাযথভাবে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—না এভাবে নয়। এভাবে জনমত প্রতিফলিত হবে না। বরং সরকার তার ইচ্ছা অনুযায়ী ফল বানিয়ে নিতে পারবে। জনগণের একটা বড় অংশও বিরোধী দলের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হয়েছে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি পাল্টায়নি। সরকার তার নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ীই ‘নির্বাচন' আয়োজন করেছে। অনেক কটি রাজনৈতিক দল তাতে অংশ নেয়নি, জনগণেরও একটা বড় অংশ ভোট দিতে যায়নি। কিন্তু তাতে সরকারের কোনো অসুবিধা হয়নি। তারা নিজেদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে, বলেছে—জনগণ নাকি তাদেরকে পরের মেয়াদের জন্যও বেছে নিয়েছে।

সরকার ও নির্বাচন কমিশন অবশ্য দাবি করেছে ৪১.৮ শতাংশ ভোটার নাকি ভোট দিয়েছে। কিন্তু আসলেই এত ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে কিনা তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভোটার যাক বা না যাক, জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক বা না করুক, বাস্তবতা হচ্ছে—নির্বাচন একটা হয়ে গেছে। আর এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ দফায় রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। বড় কোনো অস্বাভাবিকতা না ঘটলে এরাই আগামী দিনগুলো সরকারে থাকবে, দেশ চালাবে। সেক্ষেত্রে জনগণের প্রতি এদের দায়বদ্ধতা আসলে থাকবে কতটুকু?

এ প্রশ্নটি কিন্তু মোটেই অমূলক নয়। যারা মন্ত্রী হয়েছেন, যারা এমপি হয়েছেন, তারা বেশ ভালোভাবেই জানেন তাদের এই ক্ষমতায় যাওয়ার পিছনে জনগণ নয় বরং কাজ করেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনুগ্রহ। এটা কেবল আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপিরাই নন, নির্বাচিত অন্য রাজনৈতিক দলের এমপিদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। তারাও জানেন, শেখ হাসিনার প্রশ্রয়ের হাত মাথার ওপর না থাকলে তাদের পক্ষেও নির্বাচিত হওয়া সম্ভব ছিল না। কি সেটা জাতীয় পার্টির ১১ এমপি, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ ইব্রাহিম, কিংবা ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন—সকলের ক্ষেত্রেই এই কথাটা প্রযোজ্য। এবার ডিগবাজি দেওয়ার আগে, সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম কি কখনো স্বপ্নেও চিন্তা করেছিলেন যে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারবেন? তাও আবার নিজের এলাকার বাইরে, ভিন্ন একটা এলাকা থেকে? তিনি কি ভাবতে পেরেছিলেন যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তিনি গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতি করেছেন, কথা বলেছেন, সেই দলের নেতাকর্মীরাই তার হয়ে নির্বাচনে প্রচারণা চলাবে? আর এই সবই হয়েছে শেখ হাসিনার বদৌলতে। ফলে এই ইব্রাহিম সাহেবের দায়বদ্ধতাটা থাকবে কার কাছে? জনগণের কাছে নাকি শেখ হাসিনার কাছে?

মাসুদ কামাল, সাংবাদিকছবি: DW

এখানে তো মাত্র দু-তিন জনের নাম উল্লেখ করা হলো। কিন্তু বাস্তবে এই একই কথা কি অন্য সকল এমপি বা মন্ত্রীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়? এক ব্যক্তির প্রতি এই যে আনুগত্য, এই যে দায়বদ্ধতা, এটা কি যথাযথ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ? এখন কেউ যদি বলেন—শীর্ষ নেতা নিজেই জনগণের সকল চাওয়া পাওয়ার প্রতীকে পরিণত হয়ে গেছেন, তার চিন্তাই জনগণের চিন্তা, তাহলে অবশ্য আর কোনো কথা থাকে না। তেমন কথা এখনো কেউ উচ্চারণ করছেন না বলে যে আগামীতে করবেন না, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যায় না।

তাহলে এখানে জনগণের করণীয় কী? আমার বিবেচনায় আসলে জনগণের কিছুই করার নেই, কেবল প্রত্যাশা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। জনগণ প্রত্যাশা করবেন, তাদের যে প্রয়োজনগুলো, চাওয়া-পাওয়া, সেগুলো সরকারপ্রধান নিজ অলৌকিক যোগ্যতা উপলব্ধি করতে পারবেন এবং তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। আর এতে জনগণ ধন্য হয়ে যাবে। অবকাঠামো উন্নয়নে বড় বড় প্রকল্প হবে, রাস্তা ঘাট সেতু ফ্লাইওভার হবে, হতেই থাকবে। ৫ টাকার কাজ ১৭ টাকায় হবে। তারপরও জনগণ এই ভেবে তৃপ্ত হবে—১২ টাকা চুরি হয়েছে হোক, সেতুটা তো রয়ে গেছে! আর এই সেতু হওয়াতে এই এলাকার মানুষের কত উপকার হয়েছে তা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দিন রাত তাড়স্বরে বলাবলি হতে থাকবে, মানুষ শুনবে, শুনতে বাধ্য হবে। একসময় সেও ভুলে যাবে তার পকেট থেকে চুরি হয়ে যাওয়া ১২ টাকার কথা। উন্নয়নের সাফল্যই তখন মূখ্য হয়ে যাবে!

কেউ কেউ হয়তো বলতে চাইবেন, সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জনগণসংগঠিত হয়ে মাঠে নামতে পারে। আবার বাস্তব জ্ঞানসম্পন্ন অনেকে হয়তো একে আত্মঘাতি হিসাবেও বিবেচনা করতে পারেন।

তারা হয়তো স্মরণ করিয়ে দেবেন সামান্য সামালোচনাও অনেক সময় কিভাবে সরকার ও তার লোকদের মধ্যে ক্রোধের সঞ্চার করে থাকে। সামাজিক মাধ্যমে ছোট খাটো স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে স্কুল ছাত্রকেও জেলে নেওয়ার ঘটনা তো এদেশে নতুন কিছু নয়। কাজেই সম্মিলিত দাবি তোলা হয়তো সহজ হবে না, কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। তারচেয়ে বরং অপেক্ষা করাটাই সুবিবেচনা প্রসূত হবে। আর তাছাড়া তিনি যখন সর্বজ্ঞানী, তাই তিনি নিজে থেকেই জনগণের সব সমস্যার কথা উপলব্ধি করতে পারবেন—এরকম আশা করাটাই নিরাপদ হবে।

সবমিলিয়ে বটম লাইনটা হচ্ছে, জনগণের প্রতি নতুন সরকারের কোনই দায়বদ্ধতা নেই। বরং জনগণের দায়বদ্ধতা থাকবে সরকারের প্রতি। জনগণের দায়িত্ব হবে সরকারের গৃহিত প্রতিটি পদক্ষেপকে সমর্থন জানানো। যদি কোনো একটি কাজ পছন্দ নাও হয়, তবুও তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা যাবে না। বরং এই আশা নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে—হয়তো এ থেকেই একদিন ভালো কিছু হবে!

সরকারবিরোধী দলগুলোর কী হবে?

এটা আসলে একটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। সেই সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আরও একটা প্রশ্ন বেশ জোরালো হয়ে দেখা দিয়েছে। সেটা হচ্ছে—আসলে বিরোধী দলের আদৌ কি কোনো দরকার আছে?

গত বেশ কিছুদিন ধরেই সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এবং তাদের দলের শীর্ষ নেতাদের কণ্ঠে একটা কথা খুব শোন যাচ্ছে। তারা বেশ দায়িত্ব নিয়েই বলছেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল। এমন একটা দলের রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকতে পারে না। দায়িত্ববান মানুষের মুখে একই কথা যখন বারবার উচ্চারিত হতে থাকে, তখন অবধারিতভাবে সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্নটি জেগে ওঠে—তাহলে কি সরকার বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ তো এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। আইনগতভাবে তারা নিষিদ্ধ হয়নি, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড একরকম নিষিদ্ধই। তাদের রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো প্রায়ই তালাবদ্ধ থাকে। কোথাও বসে বৈঠকও করতে পারে না।

কেউ কেউ বলেন, আসলে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা হবে না। এর দরকারও নেই। বরং তাদেরকে যদি জামায়াতের অবস্থায় ঠেলে দেয়, তাহলে তো হয়েই গেল। যেমনটি এবার হলো। নির্বাচনের আগে আগে ঢালাও ভাবে অনেক নেতা-কর্মীকে জেলে ঢোকানো হলো। রাজপথে কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হলো না। এখন নির্বাচন শেষ। হয়তো আস্তে আস্তে অনেক নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আবার যদি কখনো প্রয়োজন হয়, ধরে ধরে ভিতরে ঢুকিয়ে দিলেই হলো। দশ-বিশটা মামলা তো সবার বিরুদ্ধেই আছে, কাজেই দরকারের সময় আলাদা করে আর অজুহাত তৈরিরও প্রয়োজন হবে না।

এই যে পদ্ধতি, ধারণা করা যায় আগামীতে এর আরও সুচারু প্রয়োগের মাধ্যমে সকল বিরোধীদলকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। অন্তত সরকারি দল সেরকম কিছুই আশা করেন বলে আমার মনে হয়। ফলে সরকারবিরোধী দলগুলো যদি সকল স্তরের মানুষকে একত্রিত করে, সকলকে সঙ্গে নিয়ে বড় কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে, তাহলে তাদেরকে অবধারিতভাবে এই পরিণতিই বরণ করতে হবে। দেশ হয়তো তখন ক্রমশ একটা একদলীয় শাসনের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে।

এবারের এই নির্বাচনটিকে যারা পছন্দ করেননি, তাদের মধ্যে এখন শেষ ভরসা হিসাবে যে বিষয় রয়ে গেছে সেটা হচ্ছে—দেখি এখন বিদেশিরা কী বলে, কী করে। বিদেশিদের বলাবলিটা অবশ্য এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি বলে মত প্রকাশ করেছে। বিপরীত দিকে চীন, ভারত, রাশিয়া নির্বাচনকে ভালো হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগেই এই বলে সতর্কতা উচ্চারণ করেছিল যে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু না হলে তারা কিছু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এরই মধ্যে নির্বাচনকে তারা যেভাবে দেখছে, সেটা তারা ব্যক্ত করেছে। এখন তারা আমাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়, সেটার জন্য হয়তো অনেকেই অপেক্ষা করছেন। ভিসা রেস্ট্রিকশনকে ছাড়িয়ে অনেকে ভাবছেন নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার কথা। সেসব যদি আসলেই আমাদের ওপর আরোপিত হয়, সন্দেহ নেই আমরা কিছুটা হলেও বিপাকে পড়ে যাবো। কিন্তু সেই বিপদটা জনগণের ওপর যতটা হবে, ততটা কি সরকার বা ক্ষমতাসীন দলের ওপরও সেরকমই হবে? সরকার যদি জনবিচ্ছিন্ন হয়, তখন জনগণের সমস্যা কি তাদেরকে স্পর্শ করে?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ