1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৪ আগস্ট ২০১৩

সরকার এবং বিরোধী – উভয় দলের নেতারাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা বলেছেন ডয়চে ভেলেকে৷ এই অনিশ্চয়তার জন্য আওয়ামী লীগ বিএনপিকে এবং বিএনপি আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে৷

ছবি: AP

সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ ৩ মাসে নির্বাচন হতে হবে৷ আর তাই যদি হয়, তাহলে অক্টোবর মাসেই সংসদ ভেঙে দিতে হবে৷ আওয়ামী লীগ এখনো বর্তমান সংবিধানের অধীনেই নির্বাচনের কথা বলছে৷ অন্যদিকে বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে অনড়৷

এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ চায় ঠিক সময়ে নির্বাচন৷ আওয়ামী লীগ নির্বাচনের কাজও শুরু করে দিয়েছে৷ কিন্তু বিরোধী দল বিএনপি অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়৷ তারা নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করতে চাইছে৷ তারা চাইছে নির্বাচন নয় অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় যেতে৷'' তবে নাসিম মনে করেন, তারা সে সুযোগ পাবেনা৷ কারণ বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী যতদিন নির্বাচন না হবে ততদিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন৷ কোনো অসাংবিধানিক শক্তির ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই৷

সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ ৩ মাসে নির্বাচন হতে হবেছবি: REUTERS

এর জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে সত্য৷ তবে এর জন্য দায়ী সরকার৷ আওয়ামী লীগ চাইছে যে কোনোভাবে ক্ষমতায় থেকে যেতে৷ তারা জানে, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসতে পারবেনা৷ তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে না নিয়ে তাদের অধীনে নির্বাচন করতে চাইছে৷ অথবা সংকট সৃষ্টি করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চাইছে৷'' ‘যতদিন নির্বাচন না হবে ততদিন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন' – মোহাম্মদ নাসিমের এই বক্তব্যকে তিনি ষড়যন্ত্রমূলক বলে অভিহিত করেন৷ তবে তিনি মনে করেন, শেষ পর্যন্ত এই ‘ষড়যন্ত্র' সফল হবেনা৷

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, সংববিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন৷ এর মানে এই নয় যে নির্বাচন না দিয়ে যতদিন খুশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে৷ সরকারের ভিতরে এ ধরনের কোনো চিন্তা আছে বলে তিনি মনে করেন না৷ তবে কেউ সুযোগ নিতে চাইলে নিতে পারেন৷ কিন্তু তা কারো জন্যই কল্যাণকর হবেনা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ