1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্মাণক্ষেত্রে রিসাইক্লিংয়ের গুরুত্ব বাড়ছে

৮ মে ২০২৩

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হলে শুধু বিকল্প জ্বালানি বাড়ানো নয়, সম্পদের অপচয়ও বন্ধ করা প্রয়োজন৷ ইউরোপে নির্মাণ ক্ষেত্রে রিসাইক্লিং-এর মাধ্যমে সেই উদ্যোগ বাস্তব রূপ পাচ্ছে৷ সেই বাজার আরও উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে৷

DW Sendung Eco India
ছবি: DW

বার্লিনে ছাত্রদের এক হোস্টেল বেশ কিছুকাল খালি পড়ে রয়েছে৷ সেই পুরনো ভবনেই নতুন কিছু গড়ে উঠছে৷ স্থপতি ও নির্মাণ উপকরণ রিসাইক্লিং বিশেষজ্ঞ আনাবেল ফন রয়টার্ন একাধিক প্রজন্মের আবাসন তৈরির কাজে সাহায্য করছেন৷

সম্পদের সদ্ব্যবহারই মূল বিষয়৷ যা পুনর্ব্যবহার করা যায়, তা নতুন করে উৎপাদনের প্রয়োজন নেই৷ তবে এর মাধ্যমে কার্বন নির্গমন কমানো গেলেও প্রক্রিয়াটি কিন্তু জটিল৷ আনাবেল ফন রয়টার্ন নির্মাণ উপাদান রিসাইক্লিং বিশেষজ্ঞ৷ ভাঙার উপযুক্ত ভবনগুলিকে তিনি নতুন নির্মাণ প্রকল্পের কাচামালের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে দেখেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সরকারি জ্বালানি সাশ্রয়ের বিধি অনুযায়ী অনেক জানালা আর ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলে প্রায়ই সমস্যা হয়৷ সেগুলি আজকের চাহিদা পূরণ করতে পারে না৷''

সম্পদ সাশ্রয় করে নির্মাণের ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে৷ যেমন বাসেল জেলায় স্বেচ্ছায় রিসাইক্লিং করা নির্মাণের উপাদান ব্যবহারের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করার বিষয়ে আলোচনা চলছে৷ স্থপতি হিসেবে ক্যার্স্টিন ম্যুলার ও তার সহকর্মীরা ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী ভবন এভাবে গড়ে তুলেছেন৷ তিনি মনে করেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট সময় নিয়ে এমন ভবন পরিদর্শন করতে হবে, যেগুলি ভেঙে ফেলা হবে৷ তখন আমরা নির্মাণের উপাদান বিচার করে সেগুলি ঠিক সময়ে বাঁচাতে পারি৷''

এক চলমান প্রকল্পের জন্য বেশ কয়েক টন বিদ্যুতের খুঁটি কাজে লাগানো হয়েছে৷ উৎপাদনের সময়েই সেগুলি পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতি করে৷ সেগুলি পুনর্ব্যহার করে স্থপতিরা একটা গোটা উৎপাদন প্রক্রিয়ার সিওটু-নির্গমন সাশ্রয় করতে পেরেছেন৷ ক্যার্স্টিন ম্যুলার বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্য করছি, যে আরও বেশি কোম্পানি বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে এবং নিজেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে চাইছে৷ শুরুতে সমস্যা ও বাধা দেখে তাদের মনে গভীর সংশয় দেখা দেয়৷ কিন্তু একবার গোটা প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা হলে তারা বাজারে নিজেদের জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পায়৷ শুরুর দিকের সমস্যা কাটিয়ে তারা সেই পথে এগিয়ে যায়৷''

জুরিখ জেলায় এক স্থাপনা নির্মাণ স্থপতিদের এই কোম্পানির অন্যতম বড় প্রকল্প৷ ভবনটির ৭০ শতাংশ ব্যবহৃত উপাদান দিয়ে তৈরি৷ সেটা ছিল শিক্ষার এক বড় প্রক্রিয়া৷ স্থপতি হিসেবে বার্বারা বুসার বলেন, ‘‘সে সময় আমাদের একটা বড় শিক্ষা ছিল, যে নির্মাণের এমন উপাদানের জন্য বড় আকারের প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন৷ কারণ বিভিন্ন সময় এমন উপাদান পাওয়া যায়৷ তাই সেগুলি সংগ্রহ করার লক্ষ্যে এক গুদাম চাই, যাতে নির্দিষ্ট কোনো ভবন তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া যায়৷''

বার্লিনে ঠিক সে রকম এক ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হচ্ছে৷ কনকুলার নামের এক কোম্পানি নির্মাণের উপাদানের তথাকথিত ডিজিটাল পাসপোর্ট সরবরাহ করছে, যার মধ্যে উপাদানের বয়স, অবস্থা, আকার ও রং উল্লেখ করা হয়৷ পুনর্ব্যবহারের লক্ষ্যে সেই তথ্য অনলাইনে রাখা হচ্ছে৷ কোনো নির্মাণ প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট সেই উপাদানের প্রয়োজন পড়লে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ‘ম্যাচ' করা সম্ভব হচ্ছে৷ ভবিষ্যতে সেই প্রক্রিয়া আরও সহজ করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ আনাবেল ফন রয়টার্ন বলেন, ‘‘আমরা এখন যেটা করছি, সেটা ঠিক ‘নাইস টু হ্যাভ' নয়৷ এটাই ভবিষ্যৎ এবং আমাদের সেভাবে পরিকল্পনা ও নির্মাণ করতে হবে৷ না হলে আমরা নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে পারবো না৷ সেই পরিবর্তন ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনও মোকাবিলা করতে পারবো না৷ অর্থাৎ নির্মাণ ক্ষেত্রে ব়্যাডিকাল পরিবর্তন ছাড়া এক দশমিক পাঁচ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না৷''

অদূর ভবিষ্যতেই হয়তো ‘সার্কুলার' বাজারে উপাদান খতিয়ে দেখে তবেই নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হবে৷

লিলিয়ান বস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ