পোপ ফ্রান্সিসের কাছ থেকে বাংলাদেশ যা আশা করেছিল, তাই পেয়েছে৷ অস্পষ্টতা দূর করে নির্যাতিতের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন পোপ৷ এতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের শক্তি আরো বাড়লো বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিল মিয়ানমারে পোপের সফর৷ আর এই সফরে পোপ ফ্রান্সিস রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কী অবস্থান নেন তা শুধু ঢাকা নয় বলতে গেলে পুরো বিশ্বই পর্যবেক্ষণ করছিল৷ নির্যাতিত এই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশর নামটি জড়িয়ে আছে ১৯৭৮ সাল থেকে৷ আর সর্বশেষ ২৫শে আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে ‘জাতিগত নিধন' প্রক্রিয়ার শিকার হয়ে ছয় লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে৷ আর আগে থেকে আছে আরো চার লাখ রোহিঙ্গা৷
২৫ শে আগস্টের পর রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক আবেদন জানাতে গিয়ে চলতি বছরেই দুই দুইবার ‘রোহিঙ্গা' শব্দটি ব্যবহার করেছেন পোপ ফ্রান্সিস৷ কিন্তু মিয়ানমারে তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করা থেকে বিরত ছিলেন৷ এভ্যাটিকান মুখপাত্র গ্রেগ বুরকে তখন বলেছিলেন, ‘‘পোপ রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেননি, এর মানে এই নয় যে তিনি রোহিঙ্গাদের নিয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন৷''
রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতার চিত্র
মিয়ানমারের রাখাইনে সামরিক বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গেছে৷ রয়টার্সের আলোকচিত্রীর ছবিতে সেইসব নৃশংসতার ছবি ফুটে উঠেছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
একবছরের শিশু
মনকে নাড়া দেয়া ব্যান্ডেজে মোড়ানো তুলতুলে ছোট্ট এই দু’টি পা শহিদের৷ বয়স মাত্র এক বছর৷ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে দাদি তাহেরা যখন পালাচ্ছিলেন, তখন তাঁর কোল থেকে পড়ে যায় ছোট্ট শহিদ৷ ছবিটি কক্সবাজারে রেডক্রসের এক হাসপাতালে ২৮ অক্টোবর তোলা৷
ছবি: Reuters/H. McKay
কালাবারো, ৫০
রাখাইনের মংদুতে তাঁদের গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয় সেনা সদস্যরা৷ এতে স্বামী, মেয়ে ও এক ছেলেকে হারান কালাবারো৷ তাঁর ডান পায়ে আঘাত করা হয়৷ যেখানে পড়ে গিয়েছিলেন সেখানেই কয়েক ঘণ্টা মারা যাওয়ার ভান করে ছিলেন তিনি৷
ছবি: Reuters/J. Silva
সেতারা বেগম, ১২
নয় ভাই-বোনের মধ্যে একজন সে৷ সেনারা যখন তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, তখন বাকি আটজন বের হয়ে যেতে পারলেও সে আগুনের মধ্যে আটকা পড়ে গিয়েছিল৷ পরে তাকে উদ্ধার করা হয়৷ তবে পা পুড়ে যায়৷ এই অবস্থায় বাংলাদেশে পৌঁছেছে সে৷ বাংলাদেশেই তার চিকিৎসা করা হয়৷ এখন তার দুই পা থাকলেও নেই কোনো আঙুল৷
ছবি: Reuters/J. Silva
নূর কামাল, ১৭
নিজের ঘরে লুকিয়ে ছিল সে৷ সেখান থেকে সৈন্যরা তাকে খুঁজে বের করে প্রথমে রাইফেলের বাট, পরে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে৷ ছবিতে সেটিই দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
আনোয়ারা বেগম, ৩৬
ঘরে আগুনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পালাতে গিয়েছিলেন তিনি৷ তবে এর মধ্যেই পুড়ে যাওয়া ছাদ তাঁর মাথায় ভেঙে পড়ে৷ ফলে শরীরে থাকা নাইলনের কাপড় গলে হাত পুড়িয়ে দেয়৷ ‘‘আমি মনে করেছিলাম, মরে যাব৷ তবে আমার সন্তানদের জন্য বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি,’’ রয়টার্সকে বলেন তিনি৷
ছবি: Reuters/J. Silva
মমতাজ বেগম, ৩০
সেনারা তাঁর বাড়িতে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র দিতে বলেছিল৷ তখন মমতাজ তাঁদের দারিদ্র্যের কথা জানালে সৈন্যরা বলেছিল, ‘‘যদি তোমার কোনো অর্থ না থাকে, তাহলে আমরা তোমাকে হত্যা করব৷’’ এই বলে, সৈন্যরা তাঁকে ঘরে বন্দি করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল৷ কোনোরকমে সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে বের হয়ে দেখেন তাঁর তিন ছেলে মৃত, আর মেয়েকে প্রহার করা হয়েছে, তার রক্ত ঝরছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
ইমাম হোসেন, ৪২
মাদ্রাসায় পড়িয়ে ফেরার পথে তিন ব্যক্তি ছুরি নিয়ে তাঁর উপর হামলা করেছিল৷ পরের দিনই তিনি তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের অন্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন৷ এরপর তিনিও কক্সবাজারে পৌঁছান৷
ছবি: Reuters/J. Silva
মোহাম্মদ জাবাইর, ২১
গ্রামের বাড়িতে এক বিস্ফোরণে তার শরীরের এই অবস্থা৷ ‘‘আমি কয়েক সপ্তাহ অন্ধ ছিলাম৷ কক্সবাজারের এক সরকারি হাসপাতালে ২৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলাম,’’ বলেছে সে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
8 ছবি1 | 8
বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পোপ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে তাঁর সম্মানে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বললেও ‘রোহিঙ্গা' শব্দটি এড়িয়ে যান৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘রাখাইন রাজ্য থেকে আসা শরণার্থীদের সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে৷''
কিন্তু বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিনে পোপ মানবিকতার জয়গান গেয়েছেন৷ মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কথাই বলেছেন৷ কাকরাইল চার্চে কক্সবাজার থেকে আসা ১৫ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি৷ সেখানে বলেন, ‘‘এখন ঈশ্বরের অস্তিত্বকেও বলা যেতে পারে ‘রোহিঙ্গা'৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘তোমাদের ওপর যারা অত্যাচার চালিয়েছে, যারা তোমাদের কষ্ট দিয়েছে, তাদের হয়ে আমি ক্ষমা চাই৷''
‘আমাদের প্রত্যেকের কথা তিনি আলাদা ভাবে শুনেছেন’
পোপের সঙ্গে যে রোহিঙ্গারা দেখা করেছেন , কথা বলেছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন কুতুপালং ক্যাম্পের লালু মাঝি৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পোপ অনেক বড় মানুষ, ভালো মানুষ৷ আমাদের প্রত্যেকের কথা তিনি আলাদা ভাবে শুনেছেন৷ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন, হাত ধরেছেন৷ বলেছেন, আমরা যাতে নাগরিকত্ব নিয়ে সম্মানের সঙ্গে আমাদের দেশে ফিরতে পারি সেজন্য তিনি কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন৷ তিনি আমাদের সবাইকে একটি করে রূপার মেডেল উপহার দিয়েছেন৷''
লালু মাঝি আরো বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যেকেই আলাদাভাবে পোপকে আমাদের ওপর ব্যক্তিগত নির্যাতন ও নিপীড়ণের কথা বলেছি৷ বলেছি আমাদের উপর হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, আগুন আর লুট-তরাজের কথা৷''
লালু মাঝি পোপকে বলেছেন, তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিলে এবং নিরাপত্তা দিলে তারা নিজের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাবেন৷
পোপ রোহিঙ্গাদের পক্ষে সুস্পষ্ট মানবিক অবস্থান নিয়েছেন৷ তাঁর এই অবস্থান বাংলাদেশের পক্ষেই৷ পোপের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পোপ শুধু রোহিঙ্গা শব্দটিই উচ্চারণ করেননি৷ তিনি বলেছেন, এখানে যেন রোহিঙ্গারাই ঈশ্বর৷ এটা অনেক বড় কথা৷ তিনি নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মধ্যেই ঈশ্বরকে দেখেছেন৷ এটা অনেক বড় মানবিক কথা৷ আর এর একটি বৈশ্বিক প্রভাব আছে৷ পোপ বিভিন্ন রাষ্ট্রে প্রভাব রাখেন৷ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ এখন আরো বাড়বে৷''
‘পোপ এখন হয়তো নানা ভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চাপ দেবেন’
তিনি বলেন,‘‘সু চি এখন চীন সফরে রয়েছেন৷ মিয়ানমার এরইমধ্যে বুঝতে পেরেছে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে তাদের এই লুকোচুরি খেলায় কাজ হবে না৷ তাই হয়তো সু চি এখন নতুন করে চীনের সঙ্গে পরামর্শ করবেন৷''
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এই অধ্যাপক বলেন, ‘‘পোপ ফ্রান্সিস কার্যত রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন৷ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের শক্তি আরো বাড়লো বলে আমি মনে করি৷ পোপ এখন হয়তো নানা ভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চাপ দেবেন৷ পোপের সেই চাপ দেয়ার ক্ষমতা আছে৷''
পোপ ফ্রান্সিসের ছয় দিনের দক্ষিণ এশিয়া সফর শেষ হলো শনিবারে৷ বিকেলেই তিনি ঢাকা ছেড়েছেন রোমের উদ্দেশে৷ বাংলাদেশে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি৷ পোপ প্রার্থনা সভায় অংশ নিয়েছেন, সর্বধর্ম সভায় বক্তৃতা করেছেন৷ কথা বলেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে৷ তিনি শান্তির বাণী ছড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশে৷ আর যুব সমাজকে পথভ্রষ্ট না হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷
রোহিঙ্গা নির্যাতনের দেশ মিয়ানমারে পোপ
ছ’দিনের দক্ষিণ এশিয়া সফরের শুরুতেই মিয়ানমারে গেছেন পোপ ফ্রান্সিস৷ মানবতাবাদী সব মানুষেরই আশা, তিনি নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলবেন৷ তাঁর এ সফর রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবে বলেও আশা অনেকের৷
ছবি: Reuters/M. Rossi
সবার নজর ছিল যেদিকে
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সবার নজর ছিল একটি বৈঠকের দিকে৷ মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদ-এ যাচ্ছেন ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু ফ্রান্সিস৷ সেখানে নোবেলজয়ী অং সান সু চির সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে তাঁর৷ সবার আশা, গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে মানবতাবাদী পোপ রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ইতিবাচক কিছু বলবেন৷
ছবি: Reuters/M. Rossi
সাদর অভ্যর্থনা
৫ কোটি ১০ লাখ মানুষের দেশ মিয়ানমারে মাত্র ৭ লাখ ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের বসবাস৷ তারপরও সোমবার ইয়াঙ্গনের রাস্তায় নেমেছিল মানুষর ঢল৷ ছবিতে বিমানবন্দরে পোপকে বরণ করে নিচ্ছে শিশুরা৷
ছবি: Reuters/M. Rossi
‘সৌভাগ্য’ উদযাপন
পোপ ফ্রান্সিসকে স্বাগত জানাতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন ক্যাথলিকরা৷ এক ধর্মগুরু জানালেন, তাঁর সঙ্গে মিয়ানমারের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে প্রায় ১৮’শ ক্যাথলিক এসেছেন ইয়াঙ্গনে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানে পবিত্র পিতাকে দেখতে এসেছি৷ এমন ঘটনা তো শতবর্ষে একবার ঘটে৷’’
ছবি: Reuters/Soe Zeya Tun
সংখ্যালঘুদের হাস্যোজ্জ্বল উপস্থিতি
মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরাও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে পোপকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন৷
ছবি: Reuters/Soe Zeya Tun
‘বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য’
এর আগে ইয়াঙ্গনে মিয়ানমারের সব ধর্মের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন পোপ ফ্রান্সিস৷ মিয়ানমারের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের আর্চ বিশপের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সভায় পোপ বৈচিত্র্যের মাঝে যে ঐক্য, তার গুরুত্ব মনে রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান৷ তবে সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কিছু বলেননি৷
ছবি: Reuters/Osservatore Romano
মানবিক সংকট
রাখাইনে ব্যাপক হারে হত্যা ও ধর্ষণ চালানোর ফলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘রোহিঙ্গাদের নির্মূল’ করার অভিযোগ তোলে জাতিসংঘ৷ গত আগস্টে রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে মিয়ানমার ছেড়ে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ গত কয়েক দশকে বিভিন্ন সময়ে যাওয়াদের ধরলে এখন ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলাদেশে৷ এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া সফরে এলেন পোপ ফ্রান্সিস৷
ছবি: Reuters/Soe Zeya Tun
সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ
সোমবার পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারে পৌঁছানোর পরই তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিয়ানমারের বিতর্কিত সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং৷ এ বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Savitsky
তারপর বাংলাদেশ
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে যাবেন ভ্যাটিকানের প্রধান ফ্রান্সিস৷ এছাড়া বাংলাদেশ সফরে তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে যাবেন বলেও আশা করা হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/M. Rossi
8 ছবি1 | 8
এ প্রসঙ্গে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷