বাংলাদেশে শিশু নির্যাতন বা শিশুর প্রতি সহিংসতা যেন কমছেই না৷ একের পর এক শিশু নির্যাতন আর হত্যার ঘটনা ঘটছে, ঘটে চলেছে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে দেশে যথেষ্ঠ আইন থাকলেও, তার তেমন প্রয়োগ নাই৷
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ বাংলাদেশের রাজশাহীর পবা উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে দুই স্কুলছাত্র জাহিদ ও ইমনকে হাত-পা বেঁধে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে৷ শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের মারধর করার ঘটনা একটি মোবাইল ফোন মারফত ভিডিওতে ধারণ করা হয়৷ এরপর শনিবার, তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব-এ ফাঁস হয়ে গেলে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়৷ এই ঘটনায় শনিবার এক সেনা ও এক পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে৷ এ পর্যন্ত পুলিশ একজনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে৷
নির্যাতনের শিকার জাহিদ হাসান বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র৷ সে এখন পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন৷ ওদিকে নির্যাতনের পর থেকে ইমন নিখোঁজ থাকলেও, রবিবার তাকে উদ্ধার করে পুলিশ৷
জিয়া হাসান
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, ‘‘মোট ১৩ জন এই নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত৷ এদের মধ্যে একজন সেনা এবং একজন পুলিশ সদস্যও আছেন৷ তাদের বাড়িও ঐ এলাকায়৷''
জাহিদের বাবা ইমরান হোসেন জানান, ‘‘আমি শনিবারই মামলা করেছি৷ তবে সাংবাদিকরা জানার আগে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷''
এর আগে গত বছরের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়৷ সে সময়ও হত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷ এরপর মাস না ঘুরতেই ৩ আগস্ট খুলনার টুটপাড়া কবরখানা মোড়ে এক ওয়ার্কশপে মোটর সাইকেলে হাওয়া দেয়া কম্প্রেসার মেশিনের মাধ্যমে পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় ১২ বছরের শিশু রাকিব হাওলাদারকে৷ ইতিমধ্যে এই দুই শিশু হত্যার ঘটনায় পৃথকভাবে ছ'জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছ'জনকে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৭৩০টি শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে বংলাদেশে৷ এছাড়া র্যাব-এর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে যে, ২০১৪ সালের তিনটি মাসে সারাদেশে শতাধিক শিশু হত্যার শিকার হয়েছে৷ এর মধ্যে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ৩৫, সেপ্টেম্বরে ৪০ আর অক্টোবর মাসে ২৫ জন শিশুকে হত্যার তথ্য জানিয়েছে ব়্যাব৷ এই শিশুরা মূলত পারিবারিক কলহ, মুক্তিপণ আদায় এবং চুরিসহ নানা অপবাদে হত্যার শিকার হয়৷
শিশুকে মারলে সে অংকে খারাপ করে
ইউনিসেফ-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে শিশুকে মারধর করলে কিংবা তাকে মানসিকভাবে শাস্তি দিলে পরবর্তীতে সেটা তার লেখাপড়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে৷
ছবি: picture alliance/dpa
শারীরিক শাস্তি
ইউনিসেফ-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের ২ থেকে ১৪ বছর বয়সি প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে ছয়জনকে নিয়মিতভাবে শারীরিক শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়৷ শিশুদের যাঁরা দেখাশোনা করেন তাঁরাই এই শাস্তি দিয়ে থাকেন৷ শারীরিক শাস্তি বলতে ইউনিসেফ বুঝিয়েছে এমন শাস্তি যেটা দিলে শিশু শরীরে ব্যথা কিংবা অস্বস্তি অনুভব করে৷ এমন শাস্তির মধ্যে রয়েছে শিশুর হাত, পা, মুখ, মাথা, কান কিংবা নিতম্ব ধরে ঝাঁকানো বা মার দেয়া৷
ছবি: Fotolia/Firma V
মানসিক শাস্তি
কোনো অপরাধের প্রেক্ষিতে শিশুর সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলা, তার কাছ থেকে কোনো সুযোগ কেড়ে নেয়া যেন শিশুটি মানসিকভাবে কষ্ট পায় ইত্যাদিকে মানসিক শাস্তি হিসেবে মনে করে ইউনিসেফ৷ তাদের গবেষণা বলছে, বিশ্বের ৮০ শতাংশ শিশুকে বোঝানো হয়েছে যে, তারা (শিশু) যেটা করেছে সেটা ঠিক নয়৷ ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে চিৎকার করে সেটা করা হয়েছে৷ এছাড়া ৪৮ শতাংশের ক্ষেত্রে শিশুদের কিছু সুবিধা কেড়ে নেয়া হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/ANP/R. Koole
সবচেয়ে বেশি ইয়েমেনে
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে অভাগা বলতে হবে এই দেশের শিশুদের৷ কেননা সেখাকার প্রায় ৯৫ জন শিশুকেই তাদের অপরাধের জন্য শারীরিক ও মানসিক শাস্তি পেতে হয়৷ অভাগাদের তালিকায় এরপর ক্রমান্বয়ে আছে ঘানা, টিউনিশিয়া, টোগো, ক্যামেরুন ও ফিলিস্তিনের শিশুরা৷ এই গবেষণা সম্পর্কে আরও জানতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: picture alliance/dpa/P. Pleul
বাংলাদেশ বিষয়ক তথ্য
ইউনিসেফ-এর সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ১ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের দুই-তৃতীয়াংশকে মারধর করেন মা-বাবাসহ অভিভাবকেরা৷ আর ৭৪.৪ শতাংশ শিশুকে মানসিক চাপ দিয়ে শৃঙ্খলা শেখানো হয়৷ শৃঙ্খলা বলতে শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগী করাসহ অভিভাবকদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজকে বোঝানো হয়েছে৷ এছাড়া প্রতি তিনজন মায়ের মধ্যে একজন বিশ্বাস করেন, নিয়মকানুন শেখাতে সন্তানদের শাস্তি দেয়া প্রয়োজন৷
ছবি: picture alliance/ANP/R. Koole
অংক স্কোর কম করে!
শিশুদের উপর শারীরিক ও মানসিক শাস্তির প্রভাব নিয়ে আরেকটি গবেষণা করেছে ইউনিসেফ৷ তাতে দেখা গেছে, ৮ বছর বয়সে যেসব শিশু এ ধরণের শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে তারা ১২ বছর বয়সে গিয়ে স্কুলে অংকে খারাপ স্কোর করেছে৷ শব্দভাণ্ডার গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তাদের অনীহা দেখা গেছে৷ শিশুকে শাস্তি দেয়ার এটি একটি নেতিবাচক প্রভাব বলে উল্লেখ করেছে ইউনিসেফ৷ আরও জানতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: picture alliance/dpa
ইউনিসেফ-এর উদ্যোগ
শিশুদের শারীরিক শাস্তি দেয়া নিষিদ্ধ করতে জাতিসংঘের এই সংস্থাটির ‘কনভেনশন অন দ্য রাইটস অফ দ্য চাইল্ড’ রয়েছে৷ এখন পর্যন্ত ১৪০টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে৷ তবে এর মাধ্যমে বিশ্বের মাত্র ৮ শতাংশ শিশুকে শারীরিক শাস্তির হাত থেকে রক্ষা করা গেছে বলে জানিয়েছেন ইউনিসেফ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডেল রুটস্টাইন৷ ১৯৮৯ সালে গৃহীত এই কনভেনশনে ১৯৯০ সালে সই করে বাংলাদেশ৷
ছবি: picture alliance/ANP/R. Koole
6 ছবি1 | 6
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম শিশুদের অধিকার ও পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করে এ রকম ২৬৭টি সংগঠনের একটি নেটওয়ার্ক৷ তাদের হিসাব মতে, গত বছরের প্রথম ১০ মাসে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি শিশু৷ তারা জানায়, ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ২,১৯৭ এবং ২০১৩ সালে ১,১১৩ জন৷
শিশু নির্যাতন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্রিমিনোলজি' বিভাগের চেয়ারম্যার অধ্যাপক ড. জিয়া হাসান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শিশুরা দুর্বল এবং তাদের রক্ষা করার জন্য আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেইনি৷ এ কারণেই শিশুরা বারবার নির্মমতার শিকার হচ্ছে৷ খোয়াল করবেন, যে সব শিশুর ওপর নিপীড়ন বা নির্যাতন করা হয়, তারা প্রায় সবাই নিম্নবিত্ত পরিবারের৷ এখানে সামাজিক বিভাজন স্পষ্ট৷ আমাদের মধ্যে এখনো সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা রয়ে গেছে৷ সমাজের দুর্বল অংশের আরো দুর্বল শিশরা অরক্ষিত৷ এক ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি একে আরো প্রকট করে তুলেছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘আইন আছে, কিন্তু পর্যাপ্ত প্রয়োগ নেই৷ কোনো সামাজিক বা সংবাদমাধ্যমের চাপ সৃষ্টি না হলে আইন কাজ করে না৷ অথচ আইনকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করার কথা৷ এটা তখনই কাজ করবে, যখন ব্যাপকভাবে সামজিক সচেতনতা গড়ে উঠবে৷ আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন হবে৷''
ড. জিয়া হাসানের মতে, ‘‘আমাদের মানসিকতায় যে উঁচু-নীচু ভেদ আছে, তার প্রকাশ ঘটছে দুর্বল শিশু এবং নারীর ওপর৷ দুর্বল জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও ঐ একই কথা বলবো আমি৷ তবে এরপরেও আমি আশাবাদী৷ উন্নত যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তির কারণে মানুষ এ সব ঘটনা জানতে পারছে, সচেতন হচ্ছে৷ নয়ত শিশু রাজন ও রাকিব হত্যার বিচার হতো কিনা সন্দেহ৷''
আপনার চোখের সামনে কখনও সিশু নির্যাতন হলে আপনি কী করবেন? লিখুন নীচের ঘরে৷
যৌন হয়রানির হাত থেকে কীভাবে বাঁচাবেন শিশুকে
শিশুরা বিকৃতকাম মানুষের সহজ শিকার৷ সারল্যের সুযোগ নিয়ে সহজে ভোলানো যায় তাদের৷ অনেক সময় শিশুরা বুঝতে পারে না, চিনতে পারে না পিশাচের থাবা৷ আর বুঝলেও করতে পারে না প্রতিবাদ, প্রতিরোধ৷ শুধু একটা অস্বস্তি থেকে যায় সারাটা জীবন৷
ছবি: picture alliance/abaca
ভয়াবহ অবস্থা ভারতে
ভারতের জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের অর্ধেকেরও বেশি বাচ্চা যৌন নিগ্রহের শিকার৷ তবে সবচেয়ে ভয়ংকর সত্য হলো, নাবালিকা বা শিশুর ওপর যৌন হেনস্থার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে পরিবারের মধ্যে, পরিবারেরই কোনো মানসিক বিকারগ্রস্ত সদস্যের হাতে৷ তাই সে সব ঘটনা পুলিশের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, হচ্ছে না কোনো ডাইরি অথবা মামলা৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব
এভাবে প্রতিদিন বিকৃত যৌন নির্যাতনে হারিয়ে যাচ্ছে অগুন্তি শৈশব৷ অনেকক্ষেত্রেই শিশুরা বুঝে উঠতে পারছে না, বলে উঠতে পারছে না তাদের অমানবিক সেই সব অভিজ্ঞতার কথা৷ তাই শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত, বিকৃত মানুষগুলো থেকে যাচ্ছে লোকচক্ষুর আড়ালে৷ সমাজবিদরা বলছেন, এ জন্য আগাম সতর্কতার দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবক এবং স্কুলের৷ শিশুকে দিতে হবে তার প্রাপ্য শৈশব৷
ছবি: Fotolia/Kitty
যেভাবে বোঝাবেন বাচ্চাদের
সহজ ভাষায় খেলা বা গল্পচ্ছলে শিশুদের এ বিষয়ে একটা ধারণা গড়ে তোলা যেত পারে৷ বাচ্চাদের বলতে হবে যে, তাদের শরীরটা শুধুমাত্র তাদের৷ অর্থাৎ কেউ যেন তাদের ‘গোপন’ জায়গায় হাত না দেয়৷ তাই কোনো আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তির আচরণ অস্বস্তিকর ঠেকলে, কেউ তাদের জোর ঘরে কোনো ঘরে নিয়ে গেলে, খেলার ছলে চুমু দিলে বা শরীরের কোথাও হাত দিলে – তা যেন মা-বাবাকে জানায় তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিনিয়ে দিন যৌনাঙ্গ
অনেক বাবা-মা নিজ সন্তানের সঙ্গে যৌনাঙ্গ নিয়ে কথা বলতে কুণ্ঠা বোধ করেন৷ কিন্তু এই লজ্জা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং খুব ছোটবেলাতেই ছবি এঁকে অথবা গল্পে-গানে বাচ্চাকে তার শরীরের অন্য সব অঙ্গের মতো যৌনাঙ্গ, লিঙ্গ ইত্যাদি চিনিয়ে দিতে হবে৷ এমনটা করলে কেউ যদি তাদের সঙ্গে পিশাচের মতো ব্যবহার করে, তাহলে শিশুরা সহজেই বলতে পারবে কে, কখন, কোথায় হাত দিয়েছিল৷
ছবি: DW/S.Rahman
শিশুর কথা শুনুন, তার পক্ষ নিন
শিশু যাতে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে, বন্ধুর মতো সবকিছু খুলে বলতে পারে – সেটা নিশ্চিত করুন৷ আপনার বাচ্চা যদি পরিবারের কাউকে বা আপনার কোনো বন্ধুকে হঠাৎ করে এড়িয়ে যেতে শুরু করে অথবা আপনাকে খুলে বলে বিকৃত সেই মানুষের কৃতকর্মের কথা, তবে সময় নষ্ট না করে শিশুটির পক্ষ নিন আর তিরস্কার করে বাড়ি থেকে বার করে দিন ঐ ‘অসুস্থ’ লোকটাকে৷
ছবি: Fotolia/pegbes
স্কুলেরও দায়িত্ব আছে
বাচ্চারা দিনের অনেকটা সময় স্কুলে কাটায়৷ তাই যৌন শিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলের একটা বড় দায়িত্ব থেকে যায়৷ তবে স্কুলের মধ্যে, বিদ্যালয় চত্বরেও ঘটতে পারে শিশু নির্যাতনের ঘটনা৷ তাই স্কুল থেকে ফেরার পর বাচ্চা যদি অতিরিক্ত চুপচাপ থাকে, একা একা সময় কাটায় বা পড়াশোনা করতে না চায়, তাহলে ওর সঙ্গে কথা বলুন৷ জানতে চান কী হয়েছে, প্রয়োজনে স্কুল কর্তৃপক্ষকেও জানান৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
ছেলে-মেয়ে সমান!
আমাদের সমাজে ছোট থেকেই মেয়েদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়৷ মেয়ে হলেই হাতে একটা পুতুল আর ছেলে হলে ধরিয়ে দেয়া হয় বল বা খেলনার পিস্তল৷ ছেলের পাতে যখন তুলে দেয়া হয় মাছের বড় টুকরোটা, তখন মেয়েটির হয়ত এক গ্লাস দুধও জোটে না৷ এ বৈষম্য বন্ধ করুন৷ বাবা-মায়ের চোখে ছেলে-মেয়ে সমান – সেভাবেই বড় করুন তাদের৷ তা না হলে নারীর ক্ষমতায়ন হবে কীভাবে? কীভাবে কমবে শিশু নির্যাতন?