1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রধানমন্ত্রী আসামে

২০ এপ্রিল ২০১২

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং আজ আসাম সফরে যান৷ এ সফরের প্রতিবাদে সংযুক্ত লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম সংক্ষেপে ‘উলফা’ বা ‘আলফা’র একটি শাখা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ঘটায়৷ ডাকে ১২ ঘণ্টার হরতাল৷

ONBOARD, OCT 30 (UNI):-The Prime Minister, Dr. Manmohan Singh interacting with accompanying media onboard from Vietnam to Delhi, after attending the ASEAN Summit on Saturday. UNI PHOTO -115U
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংছবি: UNI

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর একদিনের আসাম সফরের ঠিক আগে সংযুক্ত লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম সংক্ষেপে ‘উলফা'র পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনা-বিরোধী শাখা তিনসুকিয়া ডিভিশনে রেল লাইন উড়িয়ে দেয়৷ ঐ শাখার ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়৷ তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি৷ জোড়হাট জেলার কোলাখোয়া এলাকায় একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটায়৷ চিরাং জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করে দেয়৷ গোটা রাজ্যে ১২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয়৷

কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় সাড়া দিয়েছে অরবিন্দ রাজখোয়ার নেতৃত্বাধীন উলফা শাখা৷ কেন্দ্রের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়৷ গত ৭ই এপ্রিলের বৈঠকে এই শাখার দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারের তরফে সদর্থক সাড়া পাওয়া যায়৷

তাদের দাবিপত্রে আছে, বর্তমানে ঢাকায় আটক অনুপ চেটিয়াকে দেশে আনা, আলোচনাপন্থীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান বন্ধ রাখা, আসামের মূল বাসিন্দাদের জাতিসত্তা অক্ষুণ্ণ রাখতে সংবিধান সংশোধন করা ইত্যাদি৷ উলফা অস্ত্র সমর্পণ করলে সরকার অভিযান বন্ধ রাখবে - এই শর্তে অস্ত্রবিরতি চুক্তি সই হয়৷ কিন্তু পরেশ বড়ুয়ার শাখা শান্তি আলোচনায় বিশ্বাসী নয়৷

এর পরিপ্রেক্ষিতে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা৷ পুলিশ, আধা-সামরিক বাহিনী এবং সামরিক বাহিনীর ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়৷ ছিল রাজ্যের জঙ্গি গোষ্ঠাগুলির গতিবিধির দিকে কড়া নজরদারি৷

গুয়াহাটিতে আসাম বিধানসভার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী ড. সিং জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির প্রতি আবেদন রাখেন, তারা যেন আসামের বিকাশে এক অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে৷ হিংসা কোনো সমস্যার সমাধান নয়৷ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বিরোধী গোষ্ঠাগুলির আশা-আকাঙ্খা যে পূর্ণ হতে পারে, এই বাস্তব সত্যটা তাদের উপলব্ধি করতে হবে৷

‘পুবে তাকাও' নীতি অনুসারে প্রতিবেশি বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ভারত৷ আগামী মাসে তিনি মিয়ানমার যাচ্ছেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী৷ আসিয়ান অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং ভৌগলিক সংযোগ বাড়াবার সুযোগ নিতে চায় ভারত৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি পুবে তাকাও নীতি কার্যকর করতে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলেও বলেন প্রধানমন্ত্রী ড. সিং৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ