1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিষেধাজ্ঞায় কি কাজ হয়?

১৩ অক্টোবর ২০২৩

সাম্প্রতিক সময়ে চীনসহ আরও কয়েকটি দেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া শুরু করেছে৷ কিন্তু লক্ষ্য পূরণে এটি কতখানি কার্যকরী?

USA Diplomatie l Außenminister Blinken trifft AK Abdul Momen in Washington D.C.
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ছবি: Evan Vucci/Pool/REUTERS

একটি দেশ বা সেই দেশের কোনো সংস্থা ও নাগরিকের উপর চাপ দিতে অন্য দেশ ও সংস্থা নিষেধাজ্ঞার আশ্রয় নিয়ে থাকে৷ পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞাকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে৷ সাম্প্রতিক সময়ে চীনসহ আরও কয়েকটি দেশ নিষেধাজ্ঞা দেয়া শুরু করেছে৷ কিন্তু লক্ষ্য পূরণে এটি কতখানি কার্যকরী?

শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়৷ তখন থেকে অন্য দেশকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে৷গণতন্ত্রের উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমন, মাদক পাচারসহ নানা ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র৷ অনেক সময় জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে ঐসব দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে৷ এছাড়া সংস্থা দুটি স্বতন্ত্রভাবেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে৷ এসব নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে পালটা নিষেধাজ্ঞা দেয়ারও ঘটনা ঘটছে৷ যেমন চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় চীনও পালটা ব্যবস্থা নিচ্ছে৷

কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কতটা কার্যকরি? এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গবেষণা হয়েছে৷ কিছু গবেষণা বলছে, নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য সবসময় পূরণ হয় না৷ যেমন ইউরোপের দেশ বেলারুশের উপর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটি এখনও ইউরোপের একমাত্র স্বৈরতন্ত্র হয়ে আছে৷ এছাড়া কিউবা ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশে অনেকদিন ধরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দেশগুলোর শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আসেনি৷ আর ভেনেজুয়েলার সরকার নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে কাজে লাগিয়েছে৷ নিজেদের দুর্বল আর্থিক ব্যবস্থাপনার কারণে অর্থনীতি খারাপ হলেও ভেনেজুয়েলার সরকার নাগরিকদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে এমনটা হয়েছে৷ গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ থাকায় সে দেশের সরকার এটি করতে সফল হয়েছে৷

নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছিল: অধ্যাপক ফজলুল হালিম

This browser does not support the audio element.

ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা চলছে৷ যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জোসেপ বরেল গত আগস্টে দাবি করেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউর দেয়া ১১ দফা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে৷ নিষেধাজ্ঞার কারণে রুশ অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হয়েছে, দেশটির পণ্যের রপ্তানি গন্তব্য কমে গেছে এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় রাশিয়ার শিল্প ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কমে গেছে বলেও মনে করছেন বরেল৷

নিষেধাজ্ঞা যেখানে কার্যকর হয়

পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৫০-এর দশক থেকে বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে যেগুলো কার্যকর হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে, তার প্রায় ৯০ ভাগই বহুদলীয় নির্বাচন ব্যবস্থা চালু আছে, এমন দেশের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল৷ নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নিয়ে বই লেখা আগাথ ডেমোরে গত নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করেন৷ ‘নিষেধাজ্ঞা কেন একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করে না' শীর্ষক প্রবন্ধটি মার্কিন সংস্থান্যাশনাল এনডাওমেন্ট ফর ডেমোক্রেসির ‘ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর ডেমোক্রেটিক স্টাডিস'এর ‘জার্নাল অফ ডেমোক্রেসি'তে প্রকাশিত হয়েছে৷প্রবন্ধ প্রকাশের সময় ডেমোরে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গ্লোবাল ফোরকাস্টিং ডাইরেক্টর ছিলেন৷ বর্তমানে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের সিনিয়র পলিসি ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন৷

ডেমোরে লিখেছেন, অনেক সময় নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি দেশের জনগণকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়, যেন তারা সরকারের বিরুদ্ধে জেগে ওঠেন৷ কিন্তু একনায়ক বা স্বৈরতন্ত্র আছে, এমন দেশের ক্ষেত্রে সেটি কার্যকর হয় না৷ কারণ সেসব দেশের জনগণের হাতে সরকারকে চাপ দেয়ার মতো অস্ত্র থাকে না৷ যেমন হয়ত সেসব দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না৷

আবার সংঘবদ্ধ হয়ে নিষেধাজ্ঞা না দিলে অনেকসময় নিষেধাজ্ঞা সফল হয় না বলেও মনে করেন তিনি৷ যেমন ডেমোরে লিখেছেন, কয়েকটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী করে ১৯৮০-র দশকে লিবিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ কিন্তু তাতে লিবিয়ার খুব বেশি সমস্যা হয়নি৷ কারণ গন্তব্য পরিবর্তন করে ইউরোপে তেল রপ্তানি শুরু করেছিল লিবিয়া৷ তবে পরবর্তীতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও লিবিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলে লিবিয়া পিছু হটেছিল৷

নিষেধাজ্ঞার কারণে একনায়কতন্ত্র বিদ্যমান দেশগুলোতে গণতন্ত্র পুরোপুরি না আসলেও এর মাত্রা বেড়েছে বলে ২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে৷ জার্মান ইনস্টিটিউট অফ গ্লোবাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজের লিড রিসার্চ ফেলো ক্রিস্টিয়ান ফন জোস্ট ও  লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের সুইডিশ রিসার্চ কাউন্সিল ফেলো মিশায়েল ভামান (বর্তমানে মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক) গবেষণাটি করেছিলেন৷

সমস্যায় সাধারণ মানুষ

নিষেধাজ্ঞার কারণে একটি দেশের সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েন৷ গত মে মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলোতে মৃত্যুর হার, দারিদ্র্য ও অসমতা বেড়েছে৷ আর কমেছে মানুষের আয় ও মানবাধিকার৷ নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে করা ৩২টি গবেষণা বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক ‘সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পলিসি রিসার্চের' সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ৷

যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যারন স্নাইডার আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় একসময় ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল৷ তাতে কাজও হয়েছে৷ কিন্তু কিউবা এবং ভেনেজুয়েলায় ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে৷ অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ কিন্তু সেইসব দেশে গণতন্ত্রীকরণ হয়নি৷

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ গণতন্ত্র ও নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণমাধ্যমকে কাজ করতে না দেয়া, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে বাধা দিতে আইন পাস- ইত্যাদি নানা কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র৷

২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নাইজেরিয়ায় বিভিন্ন নির্বাচনের আগে ও পরে কয়েক দফায় বিভিন্ন জনের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া সোমালিয়া, উগান্ডা, নিকারাগুয়া, সিয়েরা লিওন, বেলারুশ ও কম্বোডিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ফজলুল হালিম রানা মনে করেন, নাইজেরিয়ায় ভিসা নীতি কাজ করেনি৷ ‘‘আশ্চর্য হওয়ার মতো বিষয় হলো নাইজেরিয়ায় ভিসা নীতি কাজ করেনি৷ উগান্ডা ও সোমালিয়াতেও নয়,'' বলে ডয়চে ভেলেকে জানান তিনি৷ ঐসব দেশ নিষেধাজ্ঞাকে আমলে নিচ্ছে না বলেও মনে করছেন অধ্যাপক রানা৷

বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার সাফল্য এখন পর্যন্ত সীমিত বলে গত জুনে লেখা এক প্রবন্ধেলিখেছিলেন আটলান্টিক কাউন্সিলের সাউথ এশিয়া সেন্টারের নন-রেসিডেন্ট সিনিয়র ফেলো আলী রীয়াজও৷

এদিকে বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণার আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ব়্যাব এবং তার সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ ঐ পদক্ষেপের পর ক্রসফায়ারের সংখ্যা কমে গিয়েছিল৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফজলুল হালিম রানা বলেন, ব়্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আসার পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছিল৷ ‘‘কিন্তু যখন বুঝতে পেরেছে এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, তখন আর বাংলাদেশ ঐদিকে তাকিয়ে নেই৷ বরং তারা ধরেই নিচ্ছে আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, এবং সেটাই হয়েছে- ব়্যাবের নিষেধাজ্ঞার পর ভিসা নিষেধাজ্ঞা এসেছে,'' বলেন তিনি৷

ইবিএ সুবিধা চলে গেলে পোশাক রপ্তানিতে বিরাট ধস নামবে: ফজলুল আজিম

This browser does not support the audio element.

ইইউর অন্য অস্ত্র

একটি দেশের উপর চাপ দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও উন্নয়ন সহায়তা কমানো ও বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাহারের মতো ব্যবস্থা নিয়ে থাকে৷ ইইউর নেয়া এসব পদক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে ২০১০ সালের এক গবেষণায় দেখিয়েছিলেন স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লারা পোর্টিলা৷

সম্প্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়েছে৷ এতে বাংলাদেশের জন্য ‘এভরিথিং বাট আর্মস' বা ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা উচিত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়৷ ইবিএ কর্মসূচির মাধ্যমে অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা বা জিএসপি সুবিধা পায় বাংলাদেশ৷ সে কারণে ইইউতে শুল্ক ছাড়াই পোশাক রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে৷ ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল তালিকায় যুক্ত হলেও পরের তিন বছর সুবিধাটি থাকবে৷ তারপর এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস পেতে হবে৷ এ জন্য ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের দেনদরবার চলছে৷

বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির ৪৮ শতাংশের গন্তব্য ইইউভুক্ত দেশগুলো৷ ইইউতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ৯৩ শতাংশই তৈরি পোশাক৷

পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুল আজিম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ইবিএ সুবিধা চলে গেলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে বিরাট ধস নামবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ