নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে অনেকবার। তার ফলে ভারত যে ভয়ংকর বিপাকে পড়েছে এমন নয়। বরং বেশিদিন সেই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকেনি।
বিজ্ঞাপন
১৯৯৮ সালের কথা৷ তখন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনের রাস্তার নাম ছিল রেসকোর্স রোড৷ তার সেই বাসভবনে তখন সাংবাদিক সম্মেলন হতো। অটল বিহারী বাজপেয়ী কখনো পঞ্চবটীতে এসে কখনো বা অন্যত্র সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেন৷ সেদিন সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছিল বাসভবনের পাশে পঞ্চবটী বলে একটা লনে৷ তবে সেদিনের সাজসজ্জা ছিল একটু বিশেষ রকমের৷ পিছনে ভারতের পতাকা কোনাকুনি করে রাখা৷ সামনে বাজপেয়ীর বলার জায়গা৷ সবকিছুর তদারক করতে ব্যস্ত প্রমোদ মহাজন৷
কিছুক্ষণ পর বাজপেয়ী এসে জানালেন, ভারত দ্বিতীয়বার পরমাণু বোমার পরীক্ষা করেছে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে তখন পিন পড়লেও শব্দ পাওয়া যাবে৷ বাজপেয়ী কথা বলতেন ধীরে, একটু সময় নিয়ে নিয়ে৷ টিভি সাংবাদিকেরা বলতেন, প্রচুর ফুটেজ খান৷ সেই অল্প ব্যবধানকে মনে হচ্ছে দীর্ঘ সময়৷ ধারে ধীরে বাজপেয়ী কিছুটা বিস্তারে বললেন ঘটনাটা৷ জানালেন, তিনি যাবেন পোখরানে৷
পরে প্রমোদ মহাজন বলছিলেন, নরসিমহা রাও প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও চাপের মুখে পড়ে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন৷ বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, তাদের আরো একবার পরীক্ষা করা দরকার৷ সেই অনুমতি সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেন বাজপেয়ী৷ চরম গোপনীয়তা বজায় রেখে কাকপক্ষিও যাতে টের না পায়, তার ব্যবস্থা করে ভারত এই পরমাণু-পরীক্ষা করেছিল৷
তার সঙ্গে আরো একটা ব্যবস্থা করতে হয়েছিল বাজপেয়ীকে৷ কী করে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মোকাবিলা করতে হবে৷ পরমাণু-পরীক্ষার অবশ্যম্ভাবী ফল ছিল নিষেধাজ্ঞা৷ অ্যামেরিকা, ইউরোপের দেশগুলি তো বটেই, তাছাড়াও অনেকগুলি দেশ যে ভারতের উপরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করবে তা জানা ছিল৷ ফলে তার জন্য আলাদা প্রস্তুতি নেয়ার দরকার ছিল৷ আর এটা ভারতের সেই সময়ের নেতাদের কছে ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷ নরসিমহা রাও যখন যখন এই পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন তিনি মনে করেছিলেন, এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা ভারতের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব নয়৷ আর বাজপেয়ী তো ছিলেন চরম আত্মবিশ্বাসী৷
তখন অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন যশবন্ত সিনহা৷ তিনি ও অন্য অর্থনীতিবিদরা বুঝিয়েছিলেন, কেন ভারতের ভয় নেই৷ পরিস্থিতিটা এরকম ছিল, যদি অশোধিত তেলের যোগান ঠিক থাকে, তাহলে ভারতের চিন্তার কোনো কারণ নেই৷ ভারত কৃষিতে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ৷ ফলে দেশের মানুষের কাছে চাল-গম ইত্য়াদির জোগান ঠিক থাকবে৷ নিষেধাজ্ঞা জারি করলে কিছুদিন একটু অসুবিধা হবে৷ কিন্তু ভারতের থেকে যে দেশগুলি নিষেধাজ্ঞা জারি করছে, তাদের অসুবিধা কম হবে না৷ কারণ, তারা ভারতের বাজার হারাবে৷ তাদের কোম্পানিগুলির ক্ষতি হবে৷ চীনের বাইরে এতবড় বাজার তো আর নেই৷ এতবড় মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপস্থিতিও নেই৷ তাই যশবন্ত জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতকে বিপাকে ফেলা যাবে না৷ এনিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল৷ য়শবন্ত তার মতে স্থির ছিলেন৷
পরে দেখা গিয়েছিল সেই দাবি ঠিক৷ অ্যামেরিকা জুন মাসে ভারতের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷ আর্থিক সাহায্য বাতিল করা হয়৷ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়৷ কিন্তু এক বছরের মধ্যেই তারা যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়৷
জাপান বরং ২০০১ সাল পর্যন্ত আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছিল৷ তাদের একটা কারণও আছে৷ তারাই একমাত্র দেশ, যাদের পরমাণু বোমার ক্ষত বহন করতে হচ্ছে বছরের পর বছর, প্রজন্মের পর প্রজন্ম৷ ইউরোপের দেশগুলিও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল৷ কিন্তু তাতে ভারতের বিশেষ ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি৷ শেষ পর্যন্ত সব নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে৷
এবারও ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিকায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে পেয়েছি আমরা৷ অ্যামেরিকা, ইইউ বারবার করে ভারতকে বলেছে, রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে৷ ভারত তেল কেনার পরিমাণ কমানো দূরে থাক বরং বাড়িয়েছে৷ কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি৷ আসলে কোনো দেশই নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে চায় না৷ ভারতের কাছে বড় জোর হলো তার বিশাল বাজার৷ সেই বাজার পশ্চিমা দেশগুলির কাছে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে৷ ভারতের কাছে অন্যতম বড় সুবিধা হলো তার ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব৷ তাই অ্যামেরিকাও এখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার রাস্তায় হাঁটছে৷
অ্যামেরিকা অবশ্য ১৯৯২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিল৷ তাতেও ইসরোর যে খুব অসুবিধা হয়েছে, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই৷
২০১৯ সালে ভারত বালাকোট অভিযান করে৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায় ভারত৷ তার প্রতিবাদে ভারতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পাকিস্তান৷ ভারতের কোনো বিমানকে পাকিস্তানের আকাশসীমার মধ্যে ঢুকতে দেয়া হয় না৷ এই নিষেধাজ্ঞা নিয়েও ভারত যে চিন্তিত তা নয়৷
ভারতের নিষেধাজ্ঞা
ভারত অবশ্য নিজেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে ভারত নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিল৷ বর্ণবাদী নীতির প্রতিবাদে৷ ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল৷ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না৷ এমনকী খেলার ময়দানেও ভারত তাদের মুখোমুখি হত না৷
ফিজির বিরুদ্ধেও ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত ভারত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিল৷ ফিজির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত৷
চীনের সঙ্গে লাদাখ নিয়ে সংঘাতের পর ভারত বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয়৷ টিকটকসহ চীনের বেশ কিছু সামাজিক ও গেমিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়৷ মোট ৫৯টি চীনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ৷
একটা সময় ভারতে কোক-পেপসিও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল৷ পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়৷ এখন কোক-পেপসি ভারতের ঠান্ডা পানীয়র জগতে রীতিমতো রাজত্ব করছে৷
আসলে নিষেধাজ্ঞা সব দেশই কমবেশি অবস্থান-সুযোগ-সুবিধামতো দিয়ে থাকে৷ তবে সেই নিষেধাজ্ঞা জারি হলেই কোনো দেশ বিপাকে পড়বে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই৷
বিভিন্ন দেশে যেসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
গণতন্ত্র ও নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণমাধ্যমকে কাজ করতে না দেয়া, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে বাধা দিতে আইন পাস- ইত্যাদি নানা কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Olga Yastremska/Pond5 Images/IMAGO
কয়েক দফা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় নাইজেরিয়া
নাইজেরিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নিউজ সাইট ‘দ্য ক্যাবল’ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর গণতন্ত্র ও নির্বাচনি প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে কয়েক দফায় নাইজেরিয়ার নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Yasuyoshi Chiba/AFP
প্রথমে সতর্ক বার্তা, পরে নিষেধাজ্ঞা
২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নাইজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর ২ মার্চ ২৯ রাজ্যে গভর্নর নির্বাচন হয়৷ তার আগে ২৪ জানুয়ারি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করলে বা নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ এরপর নির্বাচনের পর ২৩ জুলাই কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Tato
সহিংসতায় প্রাণহানি, প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত
নাইজেরিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অ্যানালিসিস প্ল্যাটফর্ম এসবিএম ইন্টেলিজেন্স-এর হিসাবে ২০১৯ সালের ঐ দুই নির্বাচনের সময় সহিংসতায় ৬২০ জনের বেশি মানুষ মারা যান৷ আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি (ছবিতে বামে) পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন৷
ছবি: Reuters/A. Sotunde
এবার নির্বাচনের আগেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নাইজেরিয়ার কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ এর মধ্যে এডো ও অন্ডো রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল৷ এছাড়া ২০১৯ সালে কোগি ও বায়েলসা রাজ্যে গভর্নর নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়৷
ছবি: Pius Utomi Ekpei/AFP
নাইজেরিয়ায় এ বছরের নির্বাচনের পর আবার নিষেধাজ্ঞা
এ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাইজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে৷ আর ১১ মার্চ গভর্নর ও রাজ্য সংসদের নির্বাচন হয়৷ এসব নির্বাচনের সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার দায়ে কয়েকজন ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ১৫ মে জানায় যুক্তরাষ্ট্র৷ এর আগে গতবছর অনুষ্ঠিত দুটি রাজ্যের গভর্নর নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা এবছর জানুয়ারিতে জানানো হয়েছিল৷
ছবি: MICHELE SPATARI/AFP
নির্বাচন সম্পন্ন করতে না পারায় সোমালিয়ায় নিষেধাজ্ঞা
সোমালিয়ায় ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু রাজনৈতিক সংকটের কারণে সেই সময় ২৭৫ আসনের মধ্যে মাত্র ২৪টিতে নির্বাচন করা সম্ভব হয়৷ বাকি আসনের নির্বাচন ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করার কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্তু সেই সময়সীমাও আবার পিছিয়ে ১৫ মার্চ করা হয়৷ সে কারণে ২৫ ফেব্রুয়ারি কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ অবশেষে এপ্রিলে বাকি আসনগুলোর নির্বাচন সম্পন্ন হয়৷
ছবি: Farah Abdi Warsameh/AP/picture alliance
উগান্ডায় নিষেধাজ্ঞা
২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার দায়ে ঐ বছরের ১৬ এপ্রিল কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Badru Katumba/AFP/Getty Images
গণতন্ত্রের উপর হামলা করায় নিকারাগুয়ায় নিষেধাজ্ঞা
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ছয় প্রার্থীসহ ২৬ জন রাজনৈতিক বিরোধীকে গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন আইন পাস, সুশীল সমাজ ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে হয়রানি ইত্যাদি কারণে নিকারাগুয়ার ১০০ জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১২ জুলাই ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ তারা সবাই দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার (ছবিতে বামে) ঘনিষ্ঠ৷
২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি মানবাধিকার সংস্থা, সাংবাদিক সংগঠন ও স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযান এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই সাংবাদিকে কারাদণ্ড দেয়ার বেলারুশের ৪৩ জনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ এর আগে দুই দফায় আরও ৬৬ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়৷ তারা সবাই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন৷
ছবি: Ramil Nasibulin/BelTA/Reuters
সিয়েরা লিওনের জন্য ভিসা নীতি
এ বছর জুনে সে দেশে নির্বাচন হয়েছে৷ এরপর ৩১ আগস্ট ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র৷ এতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে৷
ছবি: Cooper Inveen/REUTERS
নির্বাচনের পর কম্বোডিয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা
২৩ জুলাই নির্বাচনের পর কম্বোডিয়ায় কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ সেই সঙ্গে বিদেশি কিছু সহায়তা কর্মসূচিও স্থগিত করেছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, কম্বোডিয়ার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সিপিপি দলের কোনো শক্ত বিরোধী দল নির্বাচনে ছিল না৷
ছবি: Reuters/S. Pring
লাইবেরিয়ার জন্য ভিসা নীতি
১০ অক্টোবর দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তার আগে ২৭ সেপ্টেম্বর ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র৷ এতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে৷
ছবি: John Wessels/AFP
নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাংলাদেশও
বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করে গত ২৪ মে৷ এরপর ২২ সেপ্টেম্বর এই নীতির প্রয়োগ শুরুর কথা জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করায় দায়ী ব্যক্তিরা এর আওতায় পড়বেন বলে জানানো হয়েছে৷