‘ধনতান্ত্রিক' অ্যামেরিকা থেকে শুরু করে ইউরোপের বামপন্থিরা গ্রিসের প্রতি কড়া অবস্থানের কারণে জার্মানির প্রবল সমালোচনা করে চলেছে৷ জার্মানির ক্ষমতাকেন্দ্রের মধ্যেও অস্থিরতা শুরু হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
‘ধনতান্ত্রিক' অ্যামেরিকা থেকে শুরু করে ইউরোপের বামপন্থিরা গ্রিসের প্রতি কড়া অবস্থানের কারণে জার্মানির প্রবল সমালোচনা করে চলেছে৷ জার্মানির ক্ষমতাকেন্দ্রের মধ্যেও অস্থিরতা শুরু হয়েছে৷
গ্রিস সংক্রান্ত নীতির ক্ষেত্রে জার্মান সরকারের কড়া অবস্থানের জোরালো সমালোচনা শোনা যাচ্ছে অনেক মহলে৷ সমালোচকদের অভিযোগ, একদিকে গ্রিস সংকট থেকে জার্মানি, বিশেষ করে জার্মানির ব্যাংকগুলি বহুকাল ধরে ফায়দা তুলে এসেছে৷ অন্যদিকে শুধু ব্যয় সংকোচ ও সংস্কারের দাবি তুলে গ্রিসকে নতজানু করতে বাধ্য করছে জার্মান সরকারের নীতি৷ বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে ও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে ব্যক্তিগতভাবে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে৷ ব্রিটেন, অ্যামেরিকা সহ অনেক দেশে গ্রিসের ঋণভার মকুব করে সেখানে আরও বিনিয়োগের দাবি শোনা যাচ্ছে৷ অর্থাৎ একদিকে জার্মানির ব্যয় সংকোচ ও সংস্কারের কড়া মডেল, অন্যদিকে গ্রিসের প্রতি সহানুভূতির ভিত্তিতে সহায়তার ডাক – এই দুই অবস্থানের মধ্যে চলছে সংঘাত৷
গ্রিসের প্রতি ইইউ-র ‘ছোট’ দেশগুলোও নারাজ
পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশই আজ ঋণ মকুব করে গ্রিসকে সাহায্য করতে নারাজ৷ ব্যয় সংকোচ ও কড়া সংস্কারের সুফল ভোগ করে এ সব দেশ আজ প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের সাফল্য অর্জন করেছে৷ গ্রিসও সংস্কার চালাক – এটাই তাদের প্রত্যাশা৷
ছবি: picture alliance/dpa/Y. Behrakis
সাফল্যের গর্বে লিথুয়েনিয়া
লিথুয়েনিয়ার প্রেসিডেন্ট ডালিয়া গ্রিবাউসকাইটে ইউরো এলাকার জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস সম্পর্কে কড়া মন্তব্য করেন৷ তাঁর মতে, গ্রিস শুধু কথার খেলাপ করে চলে৷ আজ কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে সেটা আগামীকাল ঠেলে দেয়৷ উল্লেখ্য, প্রায় ২৫ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল লিথুয়েনিয়া৷ কঠিন সংস্কার ও অনেক ত্যাগের পর সে দেশ আজ নিজস্ব সাফল্যে গর্বিত৷
ছবি: DW
ইউরোপের সিলিকন ভ্যালি এস্টোনিয়া
সোভিয়েত আমলের বিশাল আমলাতন্ত্র ঝেড়ে ফেলে এস্টোনিয়া আজ তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চমকপ্রদ সাফল্য দেখাচ্ছে৷ অথচ সরকারের কড়া সংস্কার কর্মসূচি সত্ত্বেও সে দেশের মানুষ চরম আত্মত্যাগ স্বীকার করে আজকের অবস্থায় পৌঁছেছেন৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট টোমাস হেন্ডরিক ইলভেস বলেন, ইউরো এলাকার বাকি ১৮টি দেশে গ্রিসকে বাঁচাতে কর বাড়ানোর প্রশ্নে গণভোটের আয়োজন করলে মানুষ কী রায় দেবে, একবার ভেবে দেখেছেন?
ছবি: Lingvist
বাণিজ্যে লাটভিয়ার সাফল্য
লিথুয়েনিয়ার মতো লাটভিয়াও অতীতের বোঝা ঝেড়ে ফেলে নিজস্ব কৌশলগত অবস্থানের ফায়দা তুলেছে৷ রাশিয়া ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে দেশটি৷ ২০০৪ সালে লিথুয়েনিয়ায় ইউরো চালু হয়৷ ফলে অঞ্চলের অন্যান্য অনেক দেশের মতো সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভাল্ডিস ডমব্রফস্কিস মনে করেন, গ্রিসেও সংস্কার ছাড়া কোনো সমাধানসূত্র সম্ভব নয়৷ এই সত্য মেনে না নিলে ‘গ্রেক্সিট’ অনিবার্য৷
ছবি: Reuters
স্লোভাকিয়ার গাড়ি শিল্প
শুধু সংস্কার ও ব্যয় সংকোচের মাধ্যমে নয় – শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের মূলধন করে স্লোভাকিয়া গাড়ি নির্মাতাদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে৷ জার্মানির ফলক্সভাগেন বা দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়া কোম্পানি সে দেশে উৎপাদন করতে এগিয়ে এসেছে৷ অপেক্ষাকৃত কম মজুরি স্লোভাকিয়ার জন্য বাড়তি সুবিধা বয়ে এনেছে৷ বিদেশি বিনিয়োগ অর্থনৈতিক উন্নতি আরও তরান্বিত করেছে৷
ছবি: DW/E. Schuhmann
সাবেক ইয়ুগোস্লাভিয়ায় দক্ষতার প্রতীক স্লোভেনিয়া
ইয়ুগোস্লাভিয়া ভেঙে টুকরো-টুকরো হয়ে গেছে৷ স্লোভেনিয়া কিন্তু তার অতীতের সুনাম ও সংস্কার কর্মসূচির ভিত্তিতে অতি কম সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরো এলাকার সদস্য হয়ে উঠতে পেরেছে৷ সংকটের মুখে ব্যাংকিং ব্যবস্থার কড়া সংস্কার করতে পেরেছে দেশটি৷ বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে৷ ফলে আজ সে দেশের সমৃদ্ধির ভিত্তি বেশ মজবুত৷
ছবি: Reuters
‘আমাদের সমৃদ্ধির অভ্যাস নেই’
পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান মারেক বেলকা একবার পূর্ব ইউরোপের মানুষের সহ্যশক্তি সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘‘আমাদের এখনো সমৃদ্ধির অভ্যাস হয়নি৷’’ তাঁর মতে, এই অঞ্চলের মানুষের অভিজ্ঞতা হলো, সংকট সামনে এলে সংস্কারের মাধ্যমে তা অতিক্রম করা যায়৷ আজকের কষ্ট আগামীকাল সুফল বয়ে আনে৷
ছবি: AP
গ্রিক ট্র্যাজিডি
গ্রিস একেবারেই সংস্কারে নারাজ – এই অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়৷ আন্তর্জাতিক দাতাদের চাপে সে দেশ এখনো পর্যন্ত যে সংস্কার চালিয়েছে, তার ফলে সাধারণ মানুষেরই বেশি ক্ষতি হয়েছে৷ কিন্তু বিশাল আমলাতন্ত্র, কর আদায়ে গাফিলতি, প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল ব্যয়ের মতো কাঠামোগত সংস্কারের ক্ষেত্রে সদিচ্ছার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে না৷ অতীতের ঋণভার ছাড়াও রাষ্ট্রের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে বিশাল ফারাক গ্রিসের ভবিষ্যৎ বিপন্ন করে তুলছে৷
ছবি: Reuters/S. Rapanis
7 ছবি1 | 7
এদিকে জার্মানির রাজনীতি জগতের মধ্যেও চলছে ক্ষমতার লড়াই৷ জার্মান পত্রপত্রিকাগুলিও ম্যার্কেলের অবস্থান নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন তুলছে৷ স্যুডডয়চে সাইটুং সংবাদপত্র মনে করে, নিজের সিডিইউ দলের মধ্যে ম্যার্কেলের প্রায় প্রশ্নাতীত অধিপত্যের অবস্থান গত সপ্তাহে ধাক্কা খেয়েছে৷ এতদিন পর্যন্ত তিনি যখন যা চেয়েছেন, দল নীরবে তা মেনে নিয়েছে৷ দলের মধ্যে শয়েবলের কড়া গ্রিস সংক্রান্ত নীতিই গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে, ম্যার্কেল নরমপন্থি বলে বিবেচিত হচ্ছেন৷ সংসদে এই প্রথম ৬৫ জন দলীয় সাংসদ ম্যার্কেলের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানানোর সাহস দেখিয়েছেন৷
শয়েবলের বর্ধিত ক্ষমতা সম্পর্কে মন্তব্য করেছে ‘ডেয়ার টাগেসস্পিগেল' সংবাদপত্রও৷ পদত্যাগের হুমকি দিয়ে তিনি জার্মানির রাজনীতি জগতকে নাড়িয়ে দিয়েছেন৷ শুধু চ্যান্সেলর ম্যার্কেল নয়, জোটসঙ্গী এসপিডি দলের প্রধান সিগমার গাব্রিয়েলকেও তিনি নিজের বর্তমান ক্ষমতার জোর দেখিয়ে দিয়েছেন৷ এই অবস্থায় নিজের ক্ষমতার আরও অবক্ষয় রুখতে শয়েবলেকে আরও সমঝে চলবেন ম্যার্কেল – এমনটাই মনে করে ‘ডেয়ার টাগেসস্পিগেল'৷
গ্রিসে এখনো পর্যটকের ভিড়!
গ্রিসের এখন খুব খারাপ সময়৷ সব ব্যাংক বন্ধ৷ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দাতাদের ঋণের আশায় বসে আছে সরকার৷ এ অবস্থাতেও সংকটগ্রস্ত দেশ গ্রিসে যাচ্ছেন বহু মানুষ৷ কেন যাচ্ছেন? সেখানে যেতে তাঁদের ভয় বা দুশ্চিন্তা হচ্ছে না?
ছবি: DW/H. Flores
বিমানবন্দরে গ্রিসমুখী যাত্রীদের ভিড়
গ্রিসের জিডিপির ১৮ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে৷ প্রায় ৯ লাখ মানুষ কাজ করেন পর্যটন খাতে৷ তাই গ্রিসের চরম সংকটের সময়ের পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে গ্রিস৷ নইলে এ সময়েও জার্মানির ড্যুসেলডর্ফ বিমানবন্দরে এত মানুষ গ্রিসে যাওয়ার জন্য ভিড় জমাতো?
ছবি: DW/H. Flores
পরিবারের টান...
ফোটিওস মাটেন্টসোগ্লু বললেন, ‘‘আমি গ্রিসে যাচ্ছি দাদা-দাদির সঙ্গে দেখা করতে৷ গ্রিস আমার খুব পছন্দের দেশ৷ তবে বসবাসের জন্য গ্রিসের চেয়ে জার্মানিই ভালো৷’’ মাটেন্টসোগ্লু জার্মানিতেই থাকেন৷ তবে তাঁর অনেক নিকটাত্মীয় এখনও গ্রিসেই থেকে গেছেন৷
ছবি: DW/H. Flores
‘বাড়ির মতো প্রিয় কিছু হয় না’
জার্মানিতে পড়াশোনা করেন নেফেলি ভিটু৷ তাঁরও বাবা-মা’সহ পুরো পরিবার থাকে গ্রিসে৷ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে নেফেলি বললেন, ‘‘বাড়িতে যাচ্ছি৷ যত কিছুই হোক নিজের বাড়ির মতো প্রিয় কিছু তো আর হয় না৷’’
ছবি: DW/H. Flores
খেলোয়াড় খোঁজার কাজে...
বুন্ডেসলিগার ফুটবল ক্লাব শালকে ০৪-এর ‘স্কাউট’ আন্দ্রে ইয়োখুম৷ গ্রিসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উয়েফা অনুর্ধ-১৯ ফুটবলের আসর৷ সে আসর দেখতেই গ্রিসে যাচ্ছেন আন্দ্রে৷ উদ্দেশ্য – তরুণ, প্রতিভাবান খেলোয়াড় খোঁজা৷ ক্লাবের স্কাউটদের কাজই তো সেটা!
ছবি: DW/H. Flores
‘বেশি করে ইউরো নিয়ে যাচ্ছি’
গ্রিসে এখনও সব ব্যাংক বন্ধ৷ এমন সময় মেয়েদের নিয়ে সেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন গিটে ব্রুন্সভিকার৷ গিয়ে অর্থসংকটে পড়লে কে দেখবে? অবশ্য রওনা দেয়ার আগে তিনি বেশ নিশ্চিন্ত হয়েই বললেন, ‘‘সমস্যা নেই, বেশি করে ইউরো নিয়েই যাচ্ছি৷’’
ছবি: DW/H. Flores
‘আশা নিয়েই বাঁচতে হয়’
ক্যাটেরিনা টোপালিডিস রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী৷ রেস্টুরেন্টটি জার্মানিতে৷ তবে ক্যাটেরিনার বাড়ি গ্রিসে৷ গ্রিসের চলমান সংকট তাঁকেও খুব চিন্তায় ফেলেছে৷ তবে যে যা-ই বলুক, ক্যাটেরিনা মনে করেন, গ্রিস এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসবেই৷ এত আশাবাদী হবার কারণ জানাতে গিয়ে খুব সহজ একটি কথা মনে করিয়ে দিলেন ক্যাটেরিনা, বললেন, ‘‘মানুষ তো আশা নিয়েই বাঁচে৷’’
ছবি: DW/H. Flores
‘গ্রিসের মানুষকেই টাকা দেবো...’
আগে থেকে হোটেল ‘বুক’ করলে বেশ কিছু টাকা সাশ্রয় হবে জেনেও হাইকে বোহে তা করেননি৷ কে জানে, জার্মানি থেকে হোটেল বুক করালে পুরো টাকাটা হয়ত ইউরোপীয় কোনো কোম্পানির অ্যাকাউন্টে যাবে, হাইকে যা একেবারেই চান না৷ গ্রিসের এই দুঃসময়ে গ্রিসের মানুষের হাতেই যাতে হোটেল ভাড়ার টাকাটা যায়, সেকথা ভেবে আগাম বুকিং করাননি তিনি৷ হাইকে গ্রিসে গিয়ে কোনো গ্রিক নাগরিকের মাধ্যমেই ভাড়া করবেন হোটেলের রুম৷
ছবি: DW/H. Flores
‘বড় দুর্দিনে যাচ্ছি’
গ্রিসে দু’সপ্তাহ থাকবেন ফ্রেডেরিক ফ্রেসে৷ সব দিক থেকে ভালো প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছেন৷ তাই সেখানে গিয়ে যে তেমন কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না, এ বিষয়ে তিনি মোটামুটি নিশ্চিত৷ তারপরও খারাপ লাগছে তাঁর৷ বললেন, ‘‘বেড়াতে যাচ্ছি ঠিকই, তবে যাচ্ছি বড় দুর্দিনে...৷’’
ছবি: DW/H. Flores
8 ছবি1 | 8
বামপন্থি বলে পরিচিত সংবাদপত্র ‘নয়েস ডয়েচলান্ড' ইউরোপ তথা গোটা বিশ্বে জার্মানির ভাবমূর্তির ক্ষতি সম্পর্কে মন্তব্য করেছে৷ কমপক্ষে গত ১৩ই জুলাই থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, জার্মানি এক নিষ্ঠুর অর্থনৈতিক যুদ্ধে নেমেছে এবং ইউরোপে তার আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে৷ এমনকি মার্কিন পত্রপত্রিকাগুলিও এমন অভিযোগ করছে৷ গ্রিস সংক্রান্ত ইউরোজোন শীর্ষ সম্মেলনের পর ‘ইউএসএ টুডে' যুদ্ধে জার্মানির জয়ের কথা লিখেছে৷ এমনকি ইউরোপে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফ্রান্সকেও উপেক্ষা করছে জার্মানি৷ এর পর ইউরোপের কোনো সংকটগ্রস্ত দেশের মানুষ এক বামপন্থি সরকার নির্বাচনের সাহস দেখাবে না, যে সরকার ‘জার্মানির' ইউরো এলাকায় তার অনুশাসন চ্যালেঞ্জ করতে পারে৷ গ্রিসকে দমন করতে জার্মানিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে ফিনল্যান্ড, যে দেশে দক্ষিণপন্থি পপুলিস্ট দল সরকারের জোট সঙ্গী৷ পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশও তাতে শামিল হয়েছে, যারা এককালে নাৎসিদেরও দোসর ছিল৷ জার্মানির ভূমিকার আরও বিস্তারিত সমালোচনা করেছে ‘নয়েস ডয়েচলান্ড'৷