বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার ও মুক্তচিন্তার মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে৷ কিন্তু দু-একটি ছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না৷ তাদের আনা যাচ্ছে না আইনের আওতায়৷ নিহতদের পরিবারকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে, কিন্তু অগ্রগতির খবর নেই৷
বিজ্ঞাপন
[No title]
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধায়, যিনি নিলয় নীল নামে পরিচিত ছিলেন, তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল ঢাকায় নিজ বাসায় ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট৷
নীলাদ্রির গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে৷ বাবা-মা নিলয় হত্যাকাণ্ডের পর এখন অনেকটা বেঁচে না থাকার মতো বেঁচে আছেন৷ তেমন কথা বলেন না তাঁরা৷ এখনো বিলাপ করেন৷ কথা হয় নিলয়ের ছোট কাকা নির্মল চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে৷
নির্মল চট্টোপাধায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘আমিই নিলয়কে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম৷ আবার পাঁচ বছর পর আমিই ওর লাশ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসি৷ এই কষ্ট আমাকে সবচেয়ে বেশি তাড়া করে৷''
বাংলাদেশে আবারো মুক্তমনাদের হত্যা শুরু
গতবছর চার ব্লগার এবং একজন সেক্যুলার প্রকাশককে হত্যার পর কিছু দিন বিরতি ছিল৷ কিন্তু চলতি বছর আবারো শুরু হয়েছে মুক্তমনাদের উপর আঘাত৷ চলতি মাসেই তাতে নিহত চারজন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Ramany
নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ড
গত ৮ এপ্রিল ঢাকায় খুন হন সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় সদস্য নাজিমুদ্দিন সামাদ৷ গতবছর ব্লগারদের যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ঠিক সেভাবেই সামাদকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যাওয়া হয়৷ উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠী ‘আনসার আল ইসলাম’৷
ছবি: Facebook/Nazimuddin Samad
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খুন
গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহীতে খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী৷ বাড়ি থেকে মাত্র কয়েকগজ দূরে বাসস্টান্ডে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায় দুই দুর্বৃত্ত৷ তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইএস এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷
ছবি: DW/A. Islam
রূপবানের সম্পাদক খুন
বাংলাদেশে সমকামীদের একমাত্র পত্রিকা রূপবানের সম্পাদক জুলহাস মান্নানকে হত্যা করা হয় তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে প্রবেশ করে৷ কমপক্ষে ছয় দুর্বৃত্ত কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী পরিচয় দিয়ে তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে৷ আর তারপর হত্যাকাণ্ড ঘটায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Ramany
সমকামী অ্যাক্টিভিস্ট মাহবুব তনয় খুন
সমকামী অ্যাক্টিভিস্ট এবং মঞ্চকর্মী মাহবুব তনয় ছিলেন মান্নানের বন্ধু৷ তাঁকেও ঐ একইসময়ে হত্যা করা হয়৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসার আল-ইসলাম’ দু’টি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সমকামিতার প্রসারে ভূমিকা রাখায় তাঁদের খুন করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Ramany
4 ছবি1 | 4
ঢাকায় ডিবি তদন্ত করছে মামলাটির৷ কিন্তু নিলয়ের পরিবারের সদস্যরা পিরোজপুরে থাকায় মামলার অগ্রগতির খোঁজ-খবর পাওয়া তাঁদের পক্ষে কঠিন৷ তবুও নির্মল চট্টোপাধায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলামের সঙ্গে৷
নির্মল বলেন, ‘‘শুধু আশ্বাস আর আশার কথাই শোনায় আমাদের৷ কিন্তু কোনো অগগ্রতির খবর জানায় না৷ একবার পাঁচজনকে আটকের কথা বলেছিল৷ বলেছিল তারা জড়িত, কিন্তু এরপর আর কোনো খবর নাই৷ তারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিনা – তা নিশ্চিত হওয়ার কোনো তথ্য আমাদের জানানো হয়নি৷ আমরা যোগাযোগ না করলে তারা যোগাযোগই করেন না৷''
নির্মল চট্টোপাধায় স্থনীয় আওয়ামী লীগের নেতা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি আওয়ামী লীগের লোক হয়ে বলছি, যদি নিলয় বা অন্য ব্লগার হত্যার বিচার হতো তাহলে ঢাকার কলাবাগানে জোড়া খুনসহ আর কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটত না৷ আমি জেলা গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও যাই৷ তারা বলে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই৷ দেখেন কী হয়৷ আমার প্রশ্ন, আমাদের বিচার পেতে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই৷''
[No title]
নিলয় নীল হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আশামনি-ই বাদি৷ হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি বাসায় ছিলেন৷ জীবন ভয়ে তিনিও এখন অনেকটা গোপন জীবনযাপন করছেন৷ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা কঠিন৷ তবে পাঁচমাস আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘যে পাঁচজনকে ডিবি ধরেছে তাদের সামনে আমাকে নিয়েছিল৷ তাদের কাউকেই আমি চিনতে পারিনি৷ আমি মামলার তদন্ত নিয়ে হতাশ৷''
২০১৫ সালের ১২ মে সিলেটে বাসা থেকে বেরিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে উগ্রবাদীদের হামলায় নিহত হন আরেক মুক্তমনা ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস৷ তিনিও গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ তাঁর বাবা এখন শয্যাশায়ী৷ মা অসুস্থ৷ শুরু থেকেই এই মামলার খোঁজ-খবর রাখছিলেন অনন্তের দুলাভাই অ্যাডভোকেট শেখর দাস৷ তিনি এই মামলার বাদিও৷
শেখর দাস ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘শুরুতে পুলিশ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত৷ কিন্তু এখন আর করে না৷ আমরা জানি না এই মামলার তদন্ত নিয়ে কী হচ্ছে৷ অগ্রগতিও জানা নেই৷ তাদের কোনো নড়াচড়া নাই৷ একজন ফটো সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের খবর আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, এই পর্যন্তই৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘কী হচ্ছে, আসল না নকলকে ধরা হচ্ছে, তাও জানি না৷ আমরা মামলার খোঁজ নেয়ার আগ্রহ পাচ্ছি না৷ তাদেরও আগ্রহ নেই৷''
বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার শিকার যারা
চলতি বছর ইসলামপন্থিরা একের পর এক হামলা চালিয়ে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে৷ এতে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ চলুন জানা যাক ২০১৫ সালের কবে, কারা হামলার শিকার হয়েছেন...৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্লগার খুন
একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে খুন হন ব্লগার এবং লেখক অভিজিৎ রায়৷ কমপক্ষে দুই দুর্বৃত্ত তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ এসময় তাঁর স্ত্রী বন্যা আহমেদও গুরুতর আহত হন৷ বাংলাদেশি মার্কিন এই দুই নাগরিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’৷ পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
বাড়ির সামনে খুন
ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে হত্যা করা হয় ঢাকায়, গত ৩০ মার্চ৷ তিন দুর্বৃত্ত মাংস কাটার চাপাতি দিতে তাঁকে কোপায়৷ সেসেময় কয়েকজন হিজরে সন্দেহভাজন দুই খুনিকে ধরে ফেলে, তৃতীয়জন পালিয়ে যায়৷ আটকরা জানায়, তারা মাদ্রাসার ছাত্র ছিল এবং বাবুকে হত্যার নির্দেশ পেয়েছিল৷ কে বা কারা এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছে জানা যায়নি৷ বাবু ফেসবুকে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে লিখতেন৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
সিলেটে আক্রান্ত মুক্তমনা ব্লগার
শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার বাইরে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ গত ১২ মে সিলেটে নিজের বাসার কাছে খুন হন নাস্তিক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস৷ ভারত উপমহাদেশের আল-কায়েদা, যাদের সঙ্গে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর সম্পর্ক আছে ধারণা করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷ দাস ডয়চে ভেলের দ্য বব্স জয়ী মুক্তমনা ব্লগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/EPA/Str
বাড়ির মধ্যে জবাই
ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায়কে, যিনি নিলয় নীল নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন, হত্যা করা হয় ঢাকায় তাঁর বাড়ির মধ্যে৷ একদল যুবক বাড়ি ভাড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ৮ আগস্ট তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ নিজের উপর হামলা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলেন নিলয়৷ কিন্তু পুলিশ তাঁকে সহায়তা করেনি৷ ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে, তবে তার সত্যতা যাচাই করা যায়নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
জগিংয়ের সময় গুলিতে খুন বিদেশি
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে জগিং করার সময় ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় খুন হন ইটালীয় এনজিও কর্মী সিজার তাবেলা৷ তাঁকে পেছন থেকে পরপর তিনবার গুলি করে দুর্বৃত্তরা৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে জিহাদিদের অনলাইন কর্মকাণ্ডের দিকে নজর রাখা একটি সংস্থা৷ তবে বাংলাদেশে সরকার এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে ‘এক বড় ভাইয়ের’ তাঁকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/ A.M. Ahad)
রংপুরে নিহত এক জাপানি
গত ৩ অক্টোবর রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও৷ মুখোশধারী খুনিরা তাঁকে গুলি করার পর মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়৷ ইসলামিক স্টেট এই হত্যাকাণ্ডেরও দায় স্বীকার করেছে, তবে সরকার তা অস্বীকার করেছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না যে তাঁর দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীটির উপস্থিতি রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
হোসনি দালানে বিস্ফোরণ, নিহত ১
গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী হোসনি দালানে শিয়া মুসলমানদের আশুরার প্রস্তুতির সময় বিস্ফোরণে এক কিশোর নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তি আহত হন৷ বাংলাদেশে এর আগে কখনো শিয়াদের উপর এরকম হামলায় হয়নি৷ এই হামলারও দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট, তবে সরকার সে দাবি নাকোচ করে দিয়ে হামলাকারীরা সম্ভবত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবি-র সদস্য৷ সন্দেহভাজনদের একজন ইতোমধ্যে ক্রসফায়ারে মারা গেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Zaman
ঢাকায় প্রকাশক খুন
গত ৩১ অক্টোবর ঢাকায় দু’টি স্থানে কাছাকাছি সময়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়৷ এতে খুন হন এক ‘সেক্যুলার’ প্রকাশক এবং গুরুতর আহত হন আরেক প্রকাশক ও দুই ব্লগার৷ নিহত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের সঙ্গে ঢাকায় খুন হওয়া ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসার-আল-ইসলাম’ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
প্রার্থনারত শিয়াদের গুলি, নিহত ১
গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশের বগুড়ায় অবস্থিত একটি শিয়া মসজিদের ভেতরে ঢুকে প্রার্থনারতদের উপর গুলি চালায় কমপক্ষে পাঁচ দুর্বৃত্ত৷ এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত হন এবং অপর তিন ব্যক্তি আহত হন৷ তথকথিত ইসলামিক স্টেট-এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা দাবি করা স্থানীয় একটি গোষ্ঠী হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
9 ছবি1 | 9
শেখর দাস ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও তেমন আগ্রহ দেখাননি৷ মনে হয়েছে বিষয়টি নিয়ে তিনি চরম হতাশ৷
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী আহমেদ রাজীব হায়দারকে তাঁর পল্লবীর বাসার অদূরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷ এই মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ-পত্র দিতে পেরেছে পুলিশ৷ মামলার রায় হয়েছে এবং দু'জনকে মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছে আদালত৷ কিন্তু এরপর আর কোনো হত্যাকাণ্ডের কুলকিনারা হয়নি৷
ঢাকা মাহনগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় সারা দেশে ২১টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ ব্লগার, প্রকাশক হত্যায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ২১টি মামলা হয়েছে৷ এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে হয়েছে মোট ১১টি মামলা৷ তাঁর দাবি, ‘‘১৬টি মামলার ‘ডিটেকশন' হয়েছে৷ এই মামলাগুলোর পাঁচটির চার্জশিট দেওয়া হয়েছে৷''
তিনি অরো জানান, ‘‘লেখক এবং ব্লগার অভিজিৎ রায় এবং প্রকাশক দীপন হত্যায় জড়িত অনেকেই দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে৷''
কেন এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলোর কোনো কুলকিনারা হচ্ছে না? আপনার কী মনে হয়, জানান নীচের ঘরে৷