1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব

২৭ জুন ২০১২

প্রবল বর্ষণে পাহাড় ও ভূমিধস এবং বজ্রপাতে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রামে৷ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবনে সরকারি হিসেবে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৯০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷

ছবি: REUTERS

গত রাত থেকে চট্টগ্রামে পাহাড় আর ভূমিধসের শুরু৷ পাহাড়তলী এলাকায় ভূমিধ্বসে নিহত হন একই পরিবারের পাঁচ জন৷ চট্টগ্রাম শহরের আরো একটি এলাকা ছাড়াও পাহাড় ও ভূমিধস হয় কক্সবাজার ও বান্দরবনে৷

উদ্ধারকারীদের ভারী বর্ষণ এবং দুর্গম এলাকার কারণে উদ্ধার কাজ চালতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে৷ জানালেন চ্ট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম৷

টানা বর্ষণে ডুবে গেছে চট্টগ্রামছবি: REUTERS

ঢাকায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব এম আসলাম আলম জানান, বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে ২১, কক্সবাজার থেকে ৩৬ এবং বান্দরবন থেকে ৩৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী যোগ দিয়েছে৷ দুর্গতদের ৭৫০ মেট্রিক টন চাল, ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ তিনি নিহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশংকা করছেন৷

অন্যদিক চট্টগ্রামের মেয়র এম মনজুর আলম জানান, যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন তাদের গত কয়েকদিন ধরে সরে যাওয়ার জন্য বার বার বলা হয়েছে৷ কিন্তু তারা বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে না যওয়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো৷ আর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ এখনও যারা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করেছেন, তাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন৷

বৃহত্তর চট্টগ্রামে নিম্নবিত্ত মানুষ পাহাড়ের পাদদেশে কাঁচা ঘর বানিয়ে বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে বসববাস করছেন৷ এর আগে ২০০৭ সালে পাহাড় ধসে ১২৮ জন নিহত হন৷ তারপরও মানুষ বসবাস করছে পাহাড়ের পাদদেশে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ