পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে তৎপর দেখাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। অভিযান হয়েছে বিজেপি নেতার বাড়িতেও।
বিজ্ঞাপন
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি খোঁজ পায় আর এক দুর্নীতির। ধৃত অয়ন শীলের হেফাজতে মেলা নথি থেকে সন্দেহ জাগে, পুরসভার নিয়োগেও অনিয়ম হয়েছে। তারই তদন্তে একাধিক দিনে, বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি, সিবিআই।
রবিবার পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূল বিধায়ক, সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্রের বাড়িতে অভিযান নিয়ে বিস্তর হইচই হয়েছে। কামারহাটির সাবেক পুরপ্রধান মদন। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চলে দুই নেতার বাড়িতে।
ইডির বিরুদ্ধে অভিষেক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাম, চাকুরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ
কলকাতায় রাজভবনের বাইরে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি-সিবিআই ও অভিষেকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালো সিপিএম। তার কিছুটা দূরেই হবু শিক্ষকরা প্রায় তিন বছর ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
রাজভবনের সামনে
কলকাতায় রাজভবনের সামনে মঞ্চ তৈরি করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতেই তিনি রাজভবন অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন। বুধবার সেই অভিযানও করেন। কিন্তু রাজ্যপাল তখন কলকাতা ছিলেন না। অভিষেক ঘোষণা করেন, রাজ্যপাল না আসা পর্যন্ত তারা ওখানেই অবস্থান করবেন। দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে হেনস্থা ও ইডি-সিবিআই যেভাবে কাজ করছে, তার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বন্যা দেখতে রাজ্যপাল
অভিষেক যখন রাজভবন অভিযান করছেন, তখন রাজ্যপাল বন্যা পরিস্থিতি দেখতে উত্তরবঙ্গে। সেখান থেকে তিনি দিল্লি চলে যান। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তিনি কলকাতা ফেরেননি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
অভিষেক বিক্ষোভে
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছেন। রাতে তিনি বিক্ষোভস্থলের পিছনে চলে যান। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিনি আবার মঞ্চে আসেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না করে তিনি যাবেন না।
ছবি: Subrata Goswami/DW
প্রচুর পুলিশ মোতায়েন
বিক্ষোভস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে রাজভবনের সামনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কী করে মঞ্চ করে বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতি দেয়া হলো, সে প্রশ্নও তুলছেন বিরোধীরা।
ছবি: Subrata Goswami/DW
অভিষেকের মঞ্চে নেতা-মন্ত্রী
অভিষেকের মঞ্চে তৃণমূলের প্রচুর নেতা-মন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে। সেখানে গান-বাজনাও হচ্ছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কাছেই শিক্ষক-প্রার্থীদের বিক্ষোভ
অভিষেক যেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তার থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গত প্রায় তিন বছর ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের কথা তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা অবশ্য কানে নেন না বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি। তারা সকলেই শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষায় পাস করেছেন। কিন্তু দুর্নীতির জন্য চাকরি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
এখনো বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছেন
তারা এখনো বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। হাতে পোস্টার। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তারা। তাদের বক্তব্য, রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে অভিষেক দিল্লি গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, কলকাতায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তারাও তো এতদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কিন্তু তাদের কথা কেউ শোনে না।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সিপিএমের প্রতিবাদ
সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, অন্য রাজ্যে ইডি-সিবিআই দুর্নীতির নামে বিরোধী দলের নেতাদের হেনস্থা করছে। আর পশ্চিমবঙ্গে তারা দুর্নীতির চাঁইদের ছেড়ে রাখছে। সেজন্যই সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযানের ডাক দিয়েছিল সিপিএম। সেখানে কর্মী-সমর্থদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সিপিএমের প্রচার
এই বাম দল বেশ কিছুদিন বলো বিজেমূলের তত্ত্ব সামনে এসেছে। এর অর্থ, বিজেপি ও তৃণমূল আসলে গোপনে হাত মিলিয়ে চলেছে। বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেবরা সমাবেশে এই অভিযোগই করেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়া জোট নয়
সিপিএম আগেই জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে তারা তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাবে না। এখানে বিরোধীদের জোট হবে না। ভোটের আগে তারাও দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করে রাস্তায় নেমে পড়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
10 ছবি1 | 10
দুই মন্ত্রীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশিতে তৃণমূল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে। ফিরহাদ রবিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সংস্থার দিকে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন।
দিকে দিকে অভিযান
ঠিক তার পরের দিন, সোমবার আরো বড় মাপের অভিযান চালিয়েছে সিবিআইয়ের কয়েকটি দল। তাদের নিশানায় ছিলেন এক বিজেপি বিধায়কও।
সপ্তাহের প্রথম দিন চার জেলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল হানা দেয়। সাত সকালেই নদিয়ার উত্তর-পশ্চিম রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়।
রানাঘাট পুরসভার সাবেক পুরপ্রধান পার্থসারথী। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে। তৃণমূলের পুরপ্রধান থাকাকালীন তার ভূমিকা এখন সিবিআইয়ের নজরে।
নদিয়ার তৃণমূল পরিচালিত বীরনগর পুরসভায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এখানকার পুরপ্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তারা হানা দেয়।
মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। এখানকার প্রধান ছিলেন রথীন ঘোষ। ইডি আধিকারিকরা নথি বাজেয়াপ্ত করার পরই সিবিআই অভিযান।
সোমবার হাওড়ার উলুবেড়িয়া সাবেক পুরপ্রধান অর্জুন সরকারের বাড়িতে যায় সিবিআই। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। উলুবেড়িয়া পুরসভাতেও যায় সিবিআইয়ের দলটি।
নজর অভিষেকের ঘাঁটিতে
তৃণমূলের শীর্ষ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের গড়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারেও পৌঁছে যায় সিবিআই। এই কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার সাবেক পুরপ্রধান মীরা হালদারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা হানা দেন। পুরভবনে গিয়ে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। পুরপ্রধান প্রণব দাসের সঙ্গে কথা বলে।
কলকাতায় ইডি হানা দিলেই মিলছে টাকার পাহাড়
পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৫২ কোটি। এবার কলকাতায় ব্যবয়াসীর বাড়ি থেকে ১৭ কোটি পেল ইডি। এর আগে হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহনির বাড়ি থেকে পাওয়া গেছিল ৮০ লাখ।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি
কলকাতার গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী নিসার আহমেদ খানের ছেলে আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আগে থেকে খবর পেয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)-এর কর্মীরা আমির খানের বাড়ি, অফিস মিলিয়ে ছয় জায়গায় হানা দেয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
রাশি রাশি নোট
আমির খানের খাটের তলায় প্লাস্টিকের প্যাকেটে টাকা রাখা ছিল। সেই রাশি রাশি নোট উদ্ধার করে ইডি। বেশিরভাগ ৫০০ টাকার নোট। দুই হাজার ও দুইশ টাকার নোটও ছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
টাকা গুনতে মেশিন
টাকা গোনার জন্য স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কর্মকর্তাদের সাহায্য নেয় ইডি। সেখান থেকে আসে টাকা গোনার মেশিন। আসেন ব্যাংক কর্মীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে টাকা গোনা হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
কে এই আমির খান?
আমির খান ও তার সহযোগীরা মিলে একটি গেম অ্যাপ চালাত। 'ই নাগেটস' নামে এই মোবাইল গেমিং অ্যাপের সাহায্যে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিত তারা। গ্রাহকরা গেম খেললে কমিশন পেতেন। অ্যাপের ওয়ালেট থেকে কমিশনের টাকা তুলতে পারতেন। তার জন্য ওয়ালেটে টাকা রাখতে হত। বেশি কমিশন পাওয়া যাবে ভেবে গ্রাহকরা প্রচুর টাকা সেখানে রাখতেন। তারপর সেই টাকা হাতিয়ে নেয়া হত বলে ইডি সূত্র জানাচ্ছে। অনেক ভুয়া অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
এর পিছনে কারা?
আমির খানের সঙ্গে এখনো কোনো রাজনৈতিক দলের যোগাযোগের কথা সামনে আসেনি। কিন্তু রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, রাজনীতিক থেকে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কী করে এভাবে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে? এভাবে উদ্ধার করা টাকার পাহাড় কলকাতা আগে দেখেনি। তৃণমূল বলছে, বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে রাজ্যের ব্যবয়াসীদের টার্গেট করছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
মন্ত্রীর বক্তব্য
গার্ডেনরিচ হলো রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এলাকা। প্রথমে ফিরহাদ বলেন, ''বন্দর এলাকা বলেই ব্যবসায়ীদের চেনা র দায় কি আমার নাকি? ইডি রাজ্যের ব্যবসায়ীদের টার্গেট করছে।'' একদিন পরেই তিনি সুর বদল করে বলেন, ''ইডি তার কাজ করবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।''
ছবি: picture-alliance/ZumaPress
বাড়ির মানুষ
তল্লাশি চালানোর সময় বাড়ির মানুষ তা দেখার চেষ্টা করেন। এক নারী তো অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তবে বাড়ির মানুষ এই টাকা নিয়ে মুখ খোলেননি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী
ইডি যখন তল্লাশি চালাচ্ছিল, তখন বাইরে মোতায়েন করা হয়েছিল সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয় মানুষ সেখানে আসেন। কিন্তু কেউই কিছু বুঝতে পারছিলেন না। পরে এত টাকা উদ্ধার হয়েছে জেনে তারা অবাক।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
সংবাদমাধ্যমের ভিড়
বাড়ির সামনে ছিল সংবাদমাধ্যম বিশেষ করে টিভির সাংবাদিক ও চিত্রসাংবাদিকদের ভিড়। কেউ মুখ খুললেই তার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ছিলেন তারা। তাদের প্রশ্ন ছিল, কী করে এত টাকা পাওয়া গেল? ইডি কীভাবে জানল এই টাকার কথা? এর সঙ্গে কি কোনো রাজনৈতিক যোগ আছে? এই সব প্রশ্নের জবাব এখনো পাওয়া যায়নি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
9 ছবি1 | 9
অয়ন শীলের সংস্থা যে সব পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল, সেগুলিতেই নজর দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার। তার হুগলির বাড়ি এবং সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। অভিযোগ, অফিস থেকে পুরসভায় নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। মিলেছে নিয়োগের নথিও।
অয়ন নীরব, সরব নেতারা
এর পরেই পুরসভায় নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি সিবিআই ও আদালতকে জানায় ইডি। পৃথক ভাবে এফআইআর দায়ের করে শুরু হয় তদন্ত। অয়নকে আজ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত চত্বরে তল্লাশি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মুখ খোলেননি তিনি। 'বিচারাধীন বিষয়' বলে এড়িয়ে গিয়েছেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, "দলীয় বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি প্রমাণ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা নিরপেক্ষ।" যদিও তৃণমূল একে 'নাটক' বলে তকমা দিয়েছে। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, "অভিষেকের ধর্না হিট। নজর ঘোরাতেই ঘন ঘন অভিযান।"
‘দুর্নীতির তদন্ত ও অপরাধীদের ধরার উদ্যোগ জরুরি’
ভোটে কী প্রভাব?
লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা আরো বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাতে কি নির্বাচনে প্রভাব পড়বে?
সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য বলেন, "দুর্নীতির তদন্ত ও অপরাধীদের ধরার উদ্যোগ জরুরি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি কি আদৌ সিরিয়াস? ভোট এলে তারা তৎপর হয়, বিজেপি এর সাহায্যে বিরোধীদের চাপে রাখে।"
ভোটের ফল প্রসঙ্গে তার মত, "সারদা-নারদের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়েনি। বিহারে লালুপ্রসাদ যাদবের সাজা হলেও আরজেডির সমস্যা হয়নি। ছত্তিশগড়ে দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও প্রাক্ নির্বাচনী সমীক্ষায় এগিয়ে কংগ্রেস। সুতরাং প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।"