1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিয়োগ দুর্নীতি: অডিও ক্লিপে ৬৯ বার অভিষেকের নাম

৭ মার্চ ২০২৫

সিবিআইয়ের তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে প্রায় ৭৩ মিনিটের এর অডিও ক্লিপের প্রতিলিখন জমা দেয়া হয়েছে।

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের চার্জশিটে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর সঙ্গে অন্য অভিযুক্তদের কথোপকথনের রেকর্ড করা অডিও প্রতিলেখন জমা দেয়া হয়েছে। ছবি: Satyajit Shaw/DW

অডিও ক্লিপের সেই কথোপকথনে একটি কথা বলা পাখি সহ মোট সাত জনের কণ্ঠস্বর চিহ্নিত হয়েছে। সেই প্রতিলিখনে প্রায় ৭০ বার উল্লেখ করা হয়েছে 'অভিষেক' অথবা 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের' নাম। এর পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু বলেন সিবিআই কোনো প্রমাণ ছাড়াই তৃণমূল নেতার নাম জড়ানোর চেষ্টা করছে।

সিবিআই এর চার্জশটে বলা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বেহালার বাড়িতে ২০১৬-র কথোপকথন এটি। সুজয় ছাড়াও ওই অডিও ক্লিপে তার স্ত্রী, নিয়োগ দুর্নীতির দুই মূল অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষ, কুন্তলের কর্মী অরবিন্দ রায় বর্মণ এবং সুরজিত চন্দ্র নামে এক এজেন্টের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।

সিবিআই-এর দাবি, জেরায় অরবিন্দ জানিয়েছে কুন্তলের নির্দেশে সে এই কথোপকথন তার ফোনে রেকর্ড করে রাখে এবং পরে সে তার কম্পিউটারে তা চালান করে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে সঞ্জয় বলেছেন, চারজন ব্যক্তি পঞ্চম ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা করলেই তিনি অপরাধী হয়ে যান না। তিনি বলেন, "না হলে তো একই পদ্ধতিতে যে কোনো মানুষকে ফাঁসিয়ে দেয়া যাবে। এই মামলায় সিবিআই খুব সুচারু পদ্ধতিতে অভিষেকের নাম প্রচার করছে। অথচ ইনি কোন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা পরিষ্কার করছে না।"

তিনি আরো বলেন, ইডি বা সিবিআই যতবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছে তার মক্কেল তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ততবার তাদের সহযোগিতা করেছেন। ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

তার প্রশ্ন, "এর পরে কেন আমার মক্কেলের নাম জড়ানো হচ্ছে? তার বিরুদ্ধে কি কোনো প্রমাণ আছে? থাকলে সেই প্রমাণ আদালতে পেশ করুক সিবিআই। আমরা আইনি পদ্ধতিতে লড়ব।"  

সঞ্জয় বলেন সিবিআই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত ভাবে অভিষেকের নাম জড়াচ্ছে।

কী আছে এই কথপোকথনে?

অভিযুক্ত অরবিন্দ কুমার হাজরা সিবিআইয়ের কাছে জানিয়েছে, কুন্তলের নির্দেশে সে এই কথোপকথন গোপনে মোবাইলে রেকর্ড করে রেখেছিল। পরে তা কম্পিউটারে স্টোর করে রাখে। সিবিআই মোবাইল পায়নি। তবে কম্পিউটারে স্টোর করা কথপোকথন পেয়েছে। তারই ট্রান্সস্ক্রিপ্ট দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজারের রিপোর্ট বলছে, সেই কথপোকথনে সুজয়কৃষ্ণ দাবি করেছেন, অভিষেক ১৫ কোটি টাকা চাইছে। ২৫০ জনের কাছ থেকে সেই টাকা জোগাড় হয়ে যাবে। শান্তনু-কুন্তল যে টাকা তুলছে, তার একটা অংশ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যাচ্ছে জেনে অভিষেকও টাকা দাবি করে। এই প্রসঙ্গেই বারবার অভিষেকের নাম এসেছে।

অভিষেক সত্যি টাকা চান, নাকি তার নাম করে টাকা চাওয়া হয়েছে, অডিওর দাবি সত্য কিনা, অভিষেকের সঙ্গে এই ঘটনার সম্পর্ক আছে কি না সেসব এখন সিবিআই খতিয়ে দেখছে।

ডায়েরির তথ্য

সিবিআইয়ের দাবি, অরুণ কুমার হাজরা টাকা তুলে সুজয়কৃষ্ণের কাছে পৌঁছে দিত। তার চারজন এজেন্টের কাছ থেকে ১০টি ডায়েরি উদ্ধার করেছে সিবিআই। তারা চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে সেই তথ্য লিখে রাখত। তারপর টাকা যেত সুজয়কৃষ্ণের কাছে।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, টাকা তোলার পরও অনেকের চাকরি নিশ্চিত করতে পারেনি এজেন্টরা। তখন যারা টাকা দিয়েছিল, তারা তা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। সিবিআই চারজন এজেন্টকে জেরা করে তাদের বয়ান নিয়েছে।

এসসি/জিএইচ(পিটিআই, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ