নীল আর্মস্ট্রং: চাঁদে পা ফেলা প্রথম মানুষ
২০ জুলাই ২০০৯
চাঁদে পা রেখেই অভিভূত নীল আর্মস্ট্রং বললেন, ‘মানুষের জন্য এটা ছোট পদক্ষেপ, তবে মানব জাতির জন্য বিশাল এক লাফ৷' বাজ অলড্রিনকে সঙ্গে নিয়ে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়েছিলেন আজ থেকে ৪০ বছর আগে, ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই৷ এই চল্লিশ বছরে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, শিল্প-সাহিত্যে মানুষ অনেক এগিয়েছে৷ এগিয়ে চলার পথে যুক্তরাষ্ট্রের দুই নভোচারীর অবদানও কিন্তু কম নয়৷ মানুষ তো নিজের সামর্থ্যের সীমা দেখেছিল সেখানেই৷
পৃথিবীতে এমন মানুষ কি আছে যার শৈশবে চাঁদের গল্প ছিলনা? এমন কি কেউ আছেন যিনি কখনো চাঁদের দেশে যাবার স্বপ্ন দেখেননি? নীল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিনও দেখতেন৷ওহাইয়োর ওয়াপাকোনেটায় জন্ম নেয়া আর্মস্ট্রং অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর অ্যায়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন৷ ১৯৫৫ সালে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় টেস্ট পাইলট হিসেবে৷সেখান থেকে ধীরে ধীরে অ্যাপোলো ইলেভেনের কমান্ডার হওয়ার পেছনের গল্পটা অনেক বড়৷সে প্রসঙ্গে না গিয়ে বাজ অলড্রিনের কথাও কিছুটা বলা দরকার৷ কয়েক মিনিট পরে অ্যাপোলো থেকে নেমে আসায় পৃথিবী তাঁকে চাঁদে পা রাখা দ্বিতীয় মানুষ হিসেবে মনে রাখলেও খোদ আর্মস্ট্রং কিন্তু নিজের প্রথম হওয়াকে খুব বড় করে দেখেননি৷ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, চাঁদে পা রাখা প্রথম মানুষ হিসেবে আমার এত সম্মান আসলেই প্রাপ্য নয়৷ আমি ছিলাম কমান্ডার, তাই পরিস্থিতিই আমাকে প্রথম করেছে৷ বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের খবরকেও অপপ্রচার হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন আর্মস্ট্রং৷
বয়সে তাঁর চেয়ে ৬ মাস বড় বাজ অলড্রিনও খুব স্পষ্টবাদী মানুষ৷কিছুটা রগচটাও৷ তাঁদের চাঁদে যাওয়ার ঘটনাকে ধোঁকাবাজি বলায় একবার একজনকে প্রকাশ্যে ঘুষি মেরে বসেন বাজ অলড্রিন৷ঘুষি খাওয়া লোকটি ছিলেন এক চিত্র পরিচালক, নাম বার্ট সিব্রেল৷
প্রতিবেদক: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার