1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডর্টমুন্ডে নুরি সাহিন

ডেভ রাইশ / এসি১২ জানুয়ারি ২০১৩

প্রতিভাবান তরুণ তুর্কি ফেলোয়াড় নুরি সাহিন প্রায় দেড় বছর আগে ডর্টমুন্ড এবং বুন্ডেসলিগা ছেড়ে রেয়াল মাদ্রিদ ও পরে এফসি লিভারপুলে যান৷ এবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল, সাহিন নিজেই বলেছেন৷

DORTMUND, GERMANY - JANUARY 11: New player Nuri Sahin poses with chairman Hans Joachim Watzke and manager Michael Zorc during a Borussia Dortmund press conference at Signal Iduna Park on January 11, 2013 in Dortmund, Germany. (Photo by Lars Baron/Bongarts/Getty Images)
ছবি: Bongarts/Getty Images

ডর্টমুন্ডে পাঁচটি মরশুম কাটানোর পর নুরি সাহিন ২০১১ সালের মে মাসে রেয়াল মাদ্রিদে যান৷ একজন ১৯ বছর বয়সি ফুটবলারের পক্ষে সেটা কম কথা নয়৷ আরো গর্বের কথা, সাহিন যখন ২০০৫ সালে ডর্টমুন্ডের হয়ে ফার্স্ট ডিভিশনে খেলতে শুরু করেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছরের এক মাস কম৷ অর্থাৎ বুন্ডেসলিগার তরুণতম প্লেয়ার হিসেবে সাহিন ইতিহাস সৃষ্টি করেন৷

ডর্টমুন্ডের হয়ে দেড়শো বারের বেশি মাঠে নেমেছিলেন নুরি সাহিন৷ গোল-গেটার হিসেবে তাঁর বিশেষ নাম ছিল না, কেননা তিনি মিডফিল্ডার৷ তবে সুযোগ পেলে নেটে বল লটকে দিতে তিনি কারোর চেয়ে কম যেতেন না৷ ২০১০-১১'র মরশুমে ডর্টমুন্ড যে বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হয়, তার পিছনে সাহিনের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না৷ জার্মানিতে জন্ম এই তুর্কি খেলোয়াড়টি ততোদিনে আন্তর্জাতিক নজর কেড়েছে৷ কাজেই খোদ রেয়াল মাদ্রিদ ২০১১ সালে এক কোটি ইউরো নগদ মূল্যে নুরি সাহিনকে উঠিয়ে নিয়ে যায়৷

ডর্টমুন্ডের হয়ে দেড়শো বারের বেশি মাঠে নেমেছিলেন নুরি সাহিনছবি: Getty Images

কিন্তু বিধি বাম৷ মাদ্রিদে সাহিন গোড়া থেকেই একধিক চোটের কারণে ফর্ম খুঁজে পাননি৷ দলের প্রথম একাদশে কোনোদিনই নিজের জায়গা করে নিতে পারেননি৷ মাদ্রিদে একটা গোটা মরশুমে মাত্র চারবার মাঠে নেমেছেন নুরি সাহিন৷ ২০১২'র অগাস্টে ধার হিসেবে ইংল্যান্ডের এফসি লিভারপুলে যোগদান করেন৷ কিন্তু সেখানেও তাঁকে একটানা খেলার এবং মাঠে নামার সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে৷

সে সুযোগ আসার সম্ভাবনা নেই দেখেই হয়তো সাহিন স্বয়ং কিছুদিন আগে তাঁর পুরনো ক্লাব ডর্টমুন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ ডর্টমুন্ড যে তাঁকে স্বাগত জানাবে, সেটা সাহিনের জানাই ছিল, কেননা ক্লাবের কার্যনির্বাহক হান্স-ইওয়াখিম ভাটস্কে ২০১০-১১'র চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পরই বলেছিলেন, সাহিন যদি কোনোদিন আবার ডর্টমুন্ডের হয়ে খেলতে চান, তবে তাঁর জন্য দুয়ার উন্মুক্ত থাকবে৷

অবশ্য সাহিনকে বাদ দিয়েই ডর্টমুন্ড ২০১২'র খেতাবও জিতেছে, সেই সঙ্গে জার্মান কাপ৷ সাহিনের সুবিধাটা হবে এই যে, তিনি গত দেড় বছরে তাঁর পুরনো ক্লাবের খেলোয়াড়, কর্মী, কর্মকর্তা, সকলের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছেন৷ এমনকি মেডিকাল চেক-আপের জন্য হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, তিনি নার্সদেরও চিনতে পারছেন! যেমন নার্সরাও তাঁকে একবার দেখেই চিনেছেন৷

তাই শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে সাহিনের বক্তব্য, ‘‘বাড়ি ফিরতে পেরে আমি খুব খুশি৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ