ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ব্যবহার করেন অথচ ‘হিরো' আলমকে চেনেন না, এমন মানুষ বোধ হয় কমই পাওয়া যাবে৷ গত কয়েক মাস ধরে তাঁর মিউজিক ভিডিও ও নাটক নিয়ে ফেসবুকে বেশ আলোচনা হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
আসল নাম আশরাফুল আলম৷ তবে একসময় আচার বিক্রি করতেন বলে নাম হয়েছিল ‘আচার' আলম৷ এরপর যখন সিডির ব্যবসা শুরু করেন তখন হয়ে যান ‘সিডি' আলম৷ তারপর একসময় ‘ডিশ' আলম হয়ে এখন তিনি ‘হিরো' আলম নামে পরিচিতি পেয়েছেন৷
অনেকে হিরো আলমের ভিডিও দেখে ফেসবুকে বাঁকা মন্তব্য করেছেন, হাসাহাসি করেছেন৷ তবে সেভাবেই তিনি পরিচিতি হয়ে উঠেন৷ সংবাদপত্রে তাঁকে নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে, নেয়া হয়েছে তাঁর সাক্ষাৎকারও৷ বাদ যায়নি টিভি চ্যানেলও৷ এই পরিচিতির কারণে অনেক নির্মাতা তাঁকে গান ও বিজ্ঞাপনে মডেলিংয়ের অফার দিয়েছেন৷ তাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘হিরো আলম দ্য গ্যাংস্টার' শর্ট ফিল্ম৷
হিরো আলমকে নিয়ে পাঁচ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ‘লিটল বিগ ফিল্মস'৷ ৫ সেপ্টেম্বর সেটি তাদের ফেসবুক পাতায় শেয়ার করা হয়৷ কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পুত্র নুহাশ হুমায়ূন এটি নির্মাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং তথ্যচিত্রের ধারাবর্ণনা তিনি নিজেই দিয়েছেন৷ তথ্যচিত্রটি ফেসবুকে এখন পর্যন্ত দুই লক্ষ ৩৫ হাজারের বেশিবার দেখা হয়েছে৷ তথ্যচিত্রে হিরো আলমকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তার প্রশংসা করছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই৷ সুতরাং আপনিও দেখুন৷
জেডএইচ/ডিজি
হুমায়ূন আহমেদের কিছু দুর্লভ ছবি
বাংলাদেশের প্রথিতযশা লেখক ও কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জীবনের কিছু দুর্লভ ছবি পাবেন এই ছবিঘরে৷ ছবিগুলো আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের ভাগনি শবনম হায়দার শর্মি৷
ছবি: privat
গুলতেকিন যখন সঙ্গী
প্রথম স্ত্রী গুলতেকিনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ৷ উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর নাতনি ছিলেন গুলতেকিন৷ প্রেম করার কয়েক বছর পর ১৯৭৩ সালে দুজন বিয়ে করেছিলেন৷ এরপর ২০০৩ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়৷
ছবি: privat
বাবা-মার সঙ্গে
বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ৷ হুমায়ূনের বয়স যখন ২৩ বছর তখন ১৯৭১ সালের ৫মে পিরোজপুরের তৎকালীন এসডিপিও ফয়জুর রহমান আহমেদ পাক সেনাদের গুলিতে শহীদ হন৷
ছবি: privat
মায়ের সঙ্গে সব ভাইবোন
মা আয়েশা ফয়েজের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ ও তাঁর পাঁচ ভাইবোন৷
ছবি: privat
সম্প্রসারিত পরিবার
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে মা, বোন ও দুলাভাই সহ অন্যরা
ছবি: privat
ভাইবোনের সঙ্গে
বোন সুফিয়া হায়দার, যাঁকে হুমায়ূন আহমেদ অনেক বইতে শেফু নামে উল্লেখ করেছেন, এবং ছোট ভাই আহসান হাবীবের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ৷
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর শর্মি ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, ‘‘ঈদের সময় বড় মামা যার বয়স যত তার দ্বিগুন সেলামি দিত, মানে আমার বয়স যদি ছয় হতো তাহলে আমি পেতাম ১২ টাকা সেলামি!’’
ছবি: privat
বিয়েতে পালকি
শর্মির বিয়ের সময় নুহাশ পল্লিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ৷ সেসময় পালকির ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি৷
ছবি: privat
নুহাশ পল্লী
নুহাশ পল্লীর অনুষ্ঠানে শর্মির স্বামী আদনান সাদেকের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ৷
ছবি: privat
শুভেচ্ছাপত্র
বিয়ে উপলক্ষ্যে ভাগনি শর্মিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হুমায়ূন আহমেদের লেখা চিঠি৷
ছবি: privat
এখন জার্মানিতে
ছোট্ট সেই শর্মি এখন অনেক বড় হয়ে গেছেন৷ শর্মির নিজেরই এখন তিনটি মেয়ে রয়েছে৷ স্বামী, সন্তান নিয়ে থাকেন জার্মানির স্টুটগার্টে শহরে৷