বাংলা বাদ দিয়েও বাংলাদেশে ৪০টি ভাষা রয়েছে৷ এই ভাষাগুলো নিয়ে সরকারের তেমন একটা উদ্যোগ নেই৷ মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি ভাষায় তিনটি করে বই প্রকাশ হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদানের জন্য এবারই প্রথম তিন ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের হাতে প্রথমবারের মত তুলে দেওয়া হল ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’৷ জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ছাড়াও এই পদক পেয়েছেন খাগড়াছড়ির জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা৷ জাতীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে অবদানের জন্য তাকে এই পদক দেওয়া হয়৷
এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উজবেকিস্তানের গবেষক ইসমাইলভ গুলম মিরজায়েভিচ ও লাতিন আমেরিকার আদি ভাষাগুলো নিয়ে কাজ করা বলিভিয়ার অনলাইন উদ্যোগ অ্যাক্টিভিজমো লেংকুয়াস এ সম্মাননা পেয়েছে৷
মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা
বাংলা ছাড়াও অন্য ভাষাগুলো ব্যবহারের অধিকার, চর্চা, গবেষণা ও রাষ্ট্রের মনোভাবের বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাওয়া মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আগের চেয়ে এই ভাষাগুলো রক্ষায় উদ্যোগ বেড়েছে৷ তরুণদের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে৷ তবে গবেষণাসহ অনেক কিছুই এখনও বাকি৷ সরকার চাইলে এই উদ্যোগগুলো নিতে পারে৷ এই ভাষাগুলোর ব্যবহার যত বাড়বে ততই এটা সমৃদ্ধ হবে৷’’
বাংলাদেশে এখন আদিবাসীর সংখ্যা কত? জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌরভ সিকদার বলেন, ‘‘এই সংখ্যাটা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না৷ ২০১১ সালের যে জনগণনা জরিপ ছিল, তাতে উল্লেখ ছিল ১৭ লাখ৷ কিন্তু আমরা বিভিন্ন গবেষণা ও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বলতে পারি, এই সংখ্যাটা ২৮ থেকে ৩০ লাখের কম হবে না৷’’
শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাষা শহিদদের স্মরণ
২১শে ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ঢাকার সবগুলো পথ এসে যেন মিলেছে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে৷ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ৷
ছবি: Mortuza Rashed
শ্রদ্ধার ফুল
১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে প্রাণ দিয়েছিল বাঙ্গালি৷ দিনটি এখন শুধু বাংলাদেশের নয় সারা বিশ্বের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ দিনটি উদযাপন করেছেন শহিদদের স্মরণের মধ্য দিয়ে৷ ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ভরে ওঠে শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে৷
ছবি: Mortuza Rashed
প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
করোনার কারণে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হননি৷ তাদের পক্ষে ১২:০১ মিনিটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাদের সামরিক সচিবগণ৷
ছবি: SM Gorky/PMO
ভিড় সামলানো দায়
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা নাগরিকদের প্রতি সামাজিক দূরত্বসহ পুলিশের বেশ কিছু নির্দেশনা ছিল৷ গত বছরের চেয়ে উপস্থিতি কম হলেও মানুষের ভিড় সামলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এবারও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে৷
ছবি: Mortuza Rashed
ছোট দল
করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি নিশ্চিত করতে একটি দলে পাঁচ থেকে ১০ জনের বেশি প্রবেশে নিষেধ ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে৷ বেশ কিছু সংগঠন বা দলের পক্ষ থেকে তা মানা হলেও না মানার সংখ্যাটাও কম ছিল না৷
ছবি: Mortuza Rashed
প্রথম দেখা শহিদ মিনার
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ছয় বছরের মাশিয়াত জাহিন প্রথমবারের মতো শহীদ মিনারে এসেছে তার মায়ের সাথে৷ অনেকটা পথ হেঁটে কিছুটা ক্লান্ত হলেও শহীদ মিনার দেখে ভালো লাগার অনুভূতিও জানিয়েছে মাশিয়াত৷
ছবি: Mortuza Rashed
আদৃতার শ্রদ্ধা
বাবা মায়ের সঙ্গে প্রথমবারের মতো শহিদ মিনারে এসেছে আদৃতা সরকারও৷ এর আগে শহীদ মিনারের ছবি বইয়ে দেখলেও আজই প্রথম সামনাসামনি দেখেছে সে৷ ছবিতে তাকে পরম যত্নে শহীদ মিনারে ফুল দিতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Mortuza Rashed
স্বেচ্ছাসেবীদের ব্যস্ততা
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর, বাংলাদেশ স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেল৷ সাধারণ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ, ফুল সাজানো, আলপনা তৈরির কাজগুলোতে স্বেচ্ছাসেবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে৷
ছবি: Mortuza Rashed
তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন
তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য আলভিরা আহমেদ রাজধানীর খিলগাঁও থেকে তার বন্ধু আশরাফ আহমেদকে নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসেছেন একুশের প্রথম প্রহরে৷ শহিদ মিনারকে পটভূমিতে রেখে সেলফি তুলতে দেখা যাচ্ছে দু‘জনকে৷
ছবি: Mortuza Rashed
‘সর্বস্তরে নেই ভাষার প্রয়োগ’
বাংলাদেশ জাতীয় আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পরিতোষ দেবনাথ বলেন, স্বাধীনতার এতো বছর পরেও কেন বাংলা ভাষার ব্যবহার সর্বস্তরে নেই৷ উচ্চশিক্ষায় যেন বাংলা ভাষার প্রয়োগ যথাযথভাবে হয়, সে ব্যাপারে তিনি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন৷
ছবি: Mortuza Rashed
ফুল বিক্রি হয়নি
হাজারিবাগ থেকে রাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে প্লাস্টিকের ফুল বিক্রি করতে এসেছেন রহিমা বেগম৷ কিন্তু একটি ফুলও বিক্রি হয় নি৷ তার উপর পথ ভুলে কান্নাকাটি শুরু করেন৷ পরে পুলিশ তাকে বাড়ি যেতে সহযোগিতা করে৷
ছবি: Mortuza Rashed
ফুল বেচাকেনা
রাজধানীর শাহবাগে ফুলের দোকান শাপলা পুষ্প কেন্দ্রের দোকানি মোঃ আতাউর রহমান জানান, আগের মতো ব্যবসা এবার করতে পারেন নি৷ করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে৷
ছবি: Mortuza Rashed
11 ছবি1 | 11
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত তার ‘পলিটিক্যাল ইকোনমি অফ আনপিপলিং অফ ইন্ডিজিনাস পিপলস: দ্য কেইস অফ বাংলাদেশ’ গ্রন্থে দেখিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশে সরকার ২২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে স্বীকার করে না৷ ২৭টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে স্বীকার করা হলেও বাস্তবে দেশের ৪৮ জেলায় ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস৷’’ বাংলা বাদ দিয়ে যে ৪০টি ভাষা রয়েছে, তার মধ্যে ৩৪টি আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা রয়েছে৷
২০১০ সালের শিক্ষা নীতিতে মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার প্রচলন হলেও তা কার্যকর হয়েছে ২০১৭ সালে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, ‘‘এই কাজটা খুবই সামান্য এগিয়েছে৷ এ পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি ভাষায় তিনটি করে বই হয়েছে৷ এছাড়া কোন কাজই হয়নি৷ শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার কারিকুলাম, প্রশিক্ষন এখনও কিছুই হয়নি৷’’
ড. সৌরভ সিকদার
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট বলছে, বাংলা ছাড়া অন্য ভাষাগুলোর (নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষা) মধ্য থেকে কয়েকটি ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে তারা৷ নানা বিষয়ে গবেষণা চলছে৷ দেশের যেকোন ব্যক্তি, শিক্ষাবিদ ও প্রতিষ্ঠান এই গবেষণায় অংশ নিয়ে ভাষা বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করতে পারেন৷ এজন্য সহযোগিতা দেবে তারা৷ এগুলো পরবর্তীতে ইনস্টিটিউটের আর্কাইভে সংরক্ষিত থাকবে৷
তবে অধ্যাপক সৌরভ সিকদারের মতে, ‘‘এভাবে কেউ এগিয়ে আসবে না৷ কেউ কি গিয়ে বলবে আমি গবেষণা করতে আগ্রহী, আমাকে ফান্ড দেন? কীভাবে তাকে ফান্ড দেবেন তারা? আসলে উদ্যোগটা তাদেরই নিতে হবে৷ গবেষক নিয়োগ দিতে হবে, কাজগুলোকে একত্রিত করতে হবে৷ তাহলেই এই কাজগুলো সম্ভব৷’’
তবে একেবারে যে কিছুই এগুয়নি এমনটা মনে করেন না মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা৷ তিনি বলেন, ‘‘আগে তো ভাবাই যেত না, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা স্কুলে নিজের ভাষার বই পড়বে৷ এখন তো কিছুটা হচ্ছে৷’’ তিনি মনে করেন, প্রভাবশালী ভাষার কারণে ভিন্ন নৃগোষ্ঠীদের ভাষাগুলো কোণঠাসা হয়ে পড়ে৷ এজন্য গবেষণা, প্রকাশনাসহ নানাভাবে রাষ্ট্র চাইলে এই পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে৷
সবচেয়ে বেশি ভাষার ১০টি দেশ
বর্তমান সময়ে যেসব ভাষা কোথাও-না-কোথাও বলা হয় সেগুলোই জীবিত ভাষা৷ অনেক দেশে রাষ্ট্র ভাষা ছাড়াও কয়েকশ’ ভাষায় কথা বলা হয়৷ এমন কয়েকটি দেশের কথা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: picture alliance/Photoshot
ব্রাজিল
ভাষার উপর গবেষণাকারী সংগঠন এথনোলগের মতে, ব্রাজিলে বর্তমানে ২১৬ টি ভাষার প্রচলন আছে৷ তবে ২১ টি ভাষা এরইমধ্যে হারিয়ে গেছে৷ ব্রাজিলের প্রধান ভাষা পর্তুগিজ৷
ছবি: picture-alliance/AA/D. Oliveira
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় প্রধান ভাষা ইংরেজি৷ এখানেও ২১৬ টি ভাষার প্রচলন রয়েছে৷ তবে হারিয়ে গেছে ১৮৪টি ভাষা৷ এই দেশের কোনো রাষ্ট্রভাষা নেই৷ কিন্তু কর্মক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষাটিই ব্যবহৃত হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/W. Teodoro
ক্যামেরুন
মধ্য আফ্রিকার এই দেশে ২৮১টি ভাষায় কথা বলা হয়৷ এর মধ্যে ৫৫টি আফ্রো-এশিয়ান এবং ১৬৯টি নাইজার কঙ্গো ভাষা৷ তবে দেশটির রাষ্ট্র ভাষা ইংরেজি এবং ফরাসি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Harnik
মেক্সিকো
মেক্সিকোতে ২৮৫টি ভাষার প্রচলন রয়েছে৷ এলাকাভিত্তিতে এখানে ভাষার ব্যবহার হয়৷ যেসব এলাকায় যে ভাষায় বেশি মানুষ কথা বলে, সেই এলাকার সরকারি কাজকর্মে ঐ ভাষার চল আছে৷ রাষ্ট্রভাষা স্প্যানিশ না হলেও অনেক মানুষ এই ভাষায় কথা বলে৷
ছবি: Gianni Ferrari/Cover/Getty Images
চীন
চীনে মোট ভাষার সংখ্যা ৩০০৷ দেশটির রাষ্ট্রভাষা ম্যান্ডারিন৷ দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে৷
ছবি: picture alliance/dpa/L. Xianbiao
অ্যামেরিকা
অ্যামেরিকায় ৪২২টি ভাষার প্রচলন রয়েছে৷ তবে মজার ব্যাপার হলো, প্রবাসীরা এর মধ্যে ২১১ টি ভাষায় কথা বলে৷ অ্যামেরিকার রাষ্ট্রভাষা ইংরেজি৷
ছবি: Getty Images
ভারত
ভারতে গত ৫০ বছরে ২৩০টি ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে৷ তারপরও ৪৫৪ টি ভাষা টিকে আছে৷ ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষ হিন্দিতে কথা বলে৷ অফিসিয়াল ভাষা হিন্দি ও ইংরেজি হলেও নেই কোন রাষ্ট্রভাষা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jagadeesh
নাইজেরিয়া
নাইজেরিয়ায় বর্তমানে ৫২৯টি ভাষা চালু রয়েছে৷ রাষ্ট্রভাষা ইংরেজি, কিন্তু ইয়োরুবা, হাওসা এবং ইগবো সংসদে ব্যবহৃত হয়৷
ছবি: P. U. Ekpei/AFP/Getty Images
ইন্দোনেশিয়া
দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ায় মোট ৭০৭টি ভাষার প্রচলন রয়েছে৷ এর মধ্যে ৯৮টি ভাষা বিশেষ কিছু এলাকায় বলা হয়৷ এই ভাষাগুলো হুমকির মুখে রয়েছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/epa/A. Weda
পাপুয়া নিউগিনি
পাপুয়া নিউগিনি এমন একটি দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি ভাষাভাষী মানুষ রয়েছে৷ এথনোলগ তথ্যভাণ্ডারের তথ্য অনু্সারে এখানে মোট ৮৩৯টি ভাষার প্রচলন রয়েছে৷ কেবল পাপুয়ার পূর্বাঞ্চলে যত ভাষায় কথা বলা হয়, তা পুরো ইউরোপের ভাষার সমান৷ (এমএল/এপিবি)