হাই স্পিড ট্রেন তো বর্তমানেই আছে, ভবিষ্যতে তার স্পিড হয়ত আরো কিছুটা বাড়বে৷ কিন্তু যে ট্রেন ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার গতিতে চলে, তার আকৃতি কীরকম হবে? এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা৷
বিজ্ঞাপন
আজই বিশ্বের অনেক দেশে গাড়ির চেয়ে ট্রেন চলে বেশি গতিতে৷ ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার, মানে যে গতিতে বিমান মাটি ছেড়ে আকাশে ওঠে৷ কাজেই রেলে চড়া আর প্লেনে চড়ার মধ্যে তফাতটা এমনিতেই কমে এসেছে৷
এই গতির এমন কিছু ফলশ্রুতি আছে, যা শুধুমাত্র এভিয়েশন অর্থাৎ বিমানচালনা থেকেই জানা যায়৷ বিমানের ক্ষেত্রে যেমন, হাই স্পিড ট্রেনের ক্ষেত্রেও ট্রেনের আকৃতির এয়ারোডায়নামিক গুণাগুণ উইন্ড টানেলে পরীক্ষা করে দেখা হয়৷
বিজ্ঞানীরা প্রথমে একশ’ ভাগের এক ভাগ মাপের একটি মডেল তৈরি করেন৷ আগামী প্রজন্মের সুপারস্পিড ট্রেনগুলি যেভাবে চলবে, তা সিমিউলেট বা অনুকরণ করে দেখা হয় এই মডেলের মাধ্যমে৷
বিশ্বের দ্রুততম ট্রেন
চলুন জেনে নেয়া যাক নতুন এবং পুরোনো সব ঝোড়োগতির ট্রেনের কথা৷
ছবি: picture-alliance/AP/Yomiuri Shimbun
‘ভাসমান রাজা’
জাপানের সেন্ট্রাল রেলের ‘ম্যাগলেভ ট্রেন’ নতুন রেকর্ড গড়ে বিশ্বের দ্রুততম হবার গৌরব অর্জন করেছে৷ জাপানের এই ট্রেনই প্রথম ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটার, অর্থাৎ ৩৭৩ মাইল বেগে ছুটে দেখালো৷ ম্যাগলেভ নামটা এসেছে ‘ম্যাগনেটিক’ শব্দের ‘ম্যাগ’ এবং ‘লেভিটেশন’ শব্দের ‘লেভ’ নিয়ে৷ ম্যাগনেটিক লেভিটেশনের জাদুতেই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সামলে রেল লাইনের ওপরে অনেকটা ভেসে চলে ম্যাগলেভ ট্রেন৷
ছবি: picture-alliance/AP/Yomiuri Shimbun
‘ট্রেন নয়, যেন প্লেনে চড়েছি’
জাপানের ম্যাগলেভ ট্রেনটি এখনো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে৷ টেস্ট সেন্টারের প্রধান ইয়াসুকাজু এন্ডো জানালেন, এ পর্যন্ত হাতে গোনা যে ক’জন ট্রেনটিতে চড়ার সুযোগ পেয়েছেন তাঁদের সবাই ফিরেছেন মুগ্ধ হয়ে৷ তাঁর ধারণা প্রশ্ন করলে সবাই বলতেন, ‘‘কী গতি! মনে হলো ট্রেনে নয় যেন প্লেনে চড়েছি৷’’ জাপানের এই ট্রেন সাধারণ জনগণের জন্য পুরোদমে চলতে শুরু করবে ২০২৭ সালে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এখনো সেরা.....
৬০০ কিলোমিটার বেগে চালালেও পুরোদমে যখন যাত্রীসেবায় নামবে তখন ৫০০ কিলোমিটার বেগে চলবে জাপানের ম্যাগলেভ৷ তার আগ পর্যন্ত হয়তো যাত্রীসেবায় নিয়োজিত ট্রেনগুলোর মধ্যে দ্রুততম থাকবে চীনের শাংহাই শহরে জার্মান প্রযুক্তি দিয়ে গড়ে তোলা ট্রেন ট্রান্সরাপিড৷ শাংহাই কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ঘণ্টায় ৪৩০ কিলোমিটার বেগে ছুটে যায় ট্রেনটি, সাড়ে ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব যেতে লাগে মাত্র ৮ মিনিট!
ছবি: picture-alliance/dpa
ফ্রান্সের গর্ব
জাপান আর চীনের ট্রেন দুটো আসলে ম্যাগনেটিক লেভিটেশন প্রযু্ক্তির উজ্জ্বলতম নিদর্শন৷ এই দুটোর বাইরে প্রথাগত চাকার ট্রেনগুলির মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত ফ্রান্সের ‘ত্র্যাঁন-আ-গ্রঁ-ভিতেস’ (টিজিভি)৷ ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৭৪ কিলোমিটার৷ তবে ব্যয় কম রাখতে টিজিভির গতিবেগ ৩২০ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়৷
ছবি: Sebastien Bozon/AFP/Getty Images
বেইজিং থেকে শাংহাইয়ের পথে গতির ঝড়
হারমোনি সিআরএইচ ৩৮০এ পুরোপুরি বিদ্যুৎ চালিত৷ ২০১০ সালে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখার সময় এটি ঘণ্টায় ৪৮৬ কিলোমিটার বেগে ছুটেছিল৷ তবে স্বাভাবিক অবস্থায় বেইজিং-শাংহাই রুটে ৩৮০ কিলোমিটার বেগে চলে ট্রেনটি৷
ছবি: imago/UPI Photo
জার্মানিও আছে...
হাই-স্পিড ট্রেনের জগতে সেই ১৯৮৮ সালে সাড়া জাগিয়েছিল জার্মানি৷ সেবার আইসিই ট্রেন হ্যানোফার থেকে ভ্যুরৎসবুর্গের পথে ৪০৬ দশমিক ৯ কিলোমিটার গতি তুলে তাক লাগিয়েছিল৷ পরে ব্যয় কমানোর জন্য অবশ্য সর্বোচ্চ গতি ২৫০ কিলোমিটারে বেঁধে দেয়া হয়৷
ছবি: imago/imagebroker
6 ছবি1 | 6
এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর আন্ড্রেয়াস ডিলমান বলেন, ‘‘এই ‘নেক্সট জেনারেশন ট্রেন' হলো ভবিষ্যতের হাই স্পিড ট্রেন৷ এই ট্রেন আজকের ট্রেনের মতোই লম্বা হবে, অর্থাৎ ৪০০ মিটার, কিন্তু তাতে যাত্রী ধরবে দ্বিগুণ, অর্থাৎ আটশ’৷ ট্রেনের স্পিড হবে ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার, অথচ তা চালাতে আজকের ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির অর্ধেক জ্বালানি লাগবে৷''
ট্রেনের এয়ারোডাইনামিক্স আরো ভালো করার জন্য ড্র্যাগ বা এয়ার রেজিস্ট্যান্স, অর্থাৎ বাতাসের প্রতিরোধ কমাতে হবে৷ উইন্ড টানেলে ট্রেনের মডেলটির দিকে বাতাস ধাবিত হয়৷ লেজার ও ধোঁয়ার মাধ্যমে সেই বাতাসের স্রোত দৃষ্টিগোচর করে তোলা যায়৷ ট্রেন চলার সময় যে ক্রস উইন্ড বা পার্শবাতাস আসে, উইন্ড টানেলে তাও অনুকরণ করতে পারেন বিজ্ঞানীরা৷
প্রফেসর ডিলমান জানালেন, ‘‘আমরা একদিকে প্রথাগত উইন্ড টানেল টেস্ট করছি, যেখানে ট্রেনটা দাঁড়িয়ে রয়েছে, কিন্তু তার ওপর দিয়ে বাতাস বয়ে যাচ্ছে৷ অন্য কিছু পরীক্ষা, যেমন শক ওয়েভ মাপার জন্য ট্রেনের মডেলটা চলন্ত অবস্থায় থাকা চাই৷ কাজেই আমাদের ক্যাটাপুল্ট, মানে গুলতি দিয়ে ট্রেনের মডেলটাকে ছুঁড়তে হয়৷''
এই এক্সপেরিমেন্টটার মজা হলো এই যে, এখানে রোমান আমলের যুদ্ধাস্ত্র প্রযুক্তির সঙ্গে আধুনিকতম পরিমাপ প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে৷ দু'হাজার বছর আগেই রোমানরা ভারী ভারী পাথর ছোড়ার যন্ত্র আবিষ্কার করেছিল৷ গবেষকরা ঠিক সেভাবেই তাদের মডেলটিকে তীরের মতো ছোড়েন৷ গুলতিই বলুন আর যুদ্ধাস্ত্রই বলুন, ৬০ মিটার লম্বা এই কাঠামোটি মডেল ট্রেনকে ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার গতিতে ছুড়তে পারে!
দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী ‘টয় ট্রেন’
দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন ইউনেসকো ঘোষিত একটি ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত৷ টয় ট্রেনের ওয়ার্কশপটাকে এখন দেখলে মনে হয় যেন একটা মিউজিয়াম, যে ঐতিহ্য দার্জিলিং তো বটেই, এক সময় যা সারা বাংলার গর্ব ছিল৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে
আদত নামটা এমন হলেও, পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষজন আদর করে ডাকেন ‘টয় ট্রেন’৷ এই ট্রেন ইউনেসকো ঘোষিত একটি ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে হিসেবে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত৷ আগে এই টয় ট্রেন চলত নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত৷ এখন অবশ্য তার যাত্রা সীমাবদ্ধ দার্জিলিং আর ভারতের সর্বোচ্চ রেলস্টেশন ঘুম-এর মধ্যে, দিনে চারবারের জয় রাইডে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বাষ্পচালিত ইঞ্জিন
কাজেই টয় ট্রেনের বাষ্পচালিত ইঞ্জিনগুলো এখন কার্যত অবসর জীবন কাটায় দার্জিলিংস্টেশনের লাগোয়া লম্বা এক শেডের তলায়৷ যদিও মাঝেমধ্যে জয় রাইডে যাওয়ার জন্য এদেরও ডাক পড়ে৷
ছবি: DW/Zeljka Telisman
সচল ওয়ার্কশপ
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের নিজস্ব কারিগরি বিভাগের কর্মীরা তাই রোজই এই ওয়ার্কশপে আসেন, ব্যস্ত থাকেন মেরামতিতে, যাতে ইঞ্জিনগুলো সচল থাকে৷টয় ট্রেনের বিরাট ওয়ার্কশপটাকে এখন দেখে মনে হয় যেন এক মিউজিয়াম, যেখানে সংরক্ষিত আছে ইতিহাস আর ঐতিহ্য, যে ঐতিহ্য দার্জিলিং তো বটেই, সারা বাংলার গর্ব ছিল এক সময়৷
ছবি: S. Bandopadhyay
প্রবীণ কারিগর
এই প্রযুক্তি-কর্মীদের অনেকেই ডিএইচআর-এ বহু বছর ধরে কাজ করছেন৷ যেমন এই প্রবীণ মুসলিম কারিগর, যিনি তাঁর অধস্তন এক ছোকরা মেকানিককে বকাবকি করছিলেন যে তারা কোনো কাজ ঠিকঠাক করতে পারে না৷ তাতে সবারই নাম খারাপ হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
যেন জুল ভার্নের কল্পকাহিনি
কিন্তু আসল সমস্যা আদ্যিকালের এইসব ইঞ্জিনের পুরনো যন্ত্রাংশ৷ টয় ট্রেনের চালকের ঘরটা দেখলে মনে হয়, যেন সোজা জুল ভার্নের কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি থেকে উঠে এসেছে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মান্ধাতা আমলের যন্ত্রাংশ
যন্ত্রপাতিগুলো দেখতে নেহাতই সহজ-সরল হলেও সবই অতি পুরনো, মান্ধাতার আমলের৷ ফলে এগুলোকে সারানো বা এর যন্ত্রাংশ জোগাড় করাটাই কারিগরদের জন্যে আজকাল মস্ত বড় সমস্যা৷ কাজেই একাধিক বাষ্পচালিত ইঞ্জিন আজকে স্থানু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ওয়ার্কশপে৷ যদি কোনোভাবে তাদের সারিয়ে তোলা যায়, সেই অপেক্ষায়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
রোজকার দৌড়
তবে কিছু ইঞ্জিন এখনও রোজ নিয়ম করে রেল লাইনের উপর দিয়ে ছুটতে বের হয়৷ পাহাড়ি রাস্তায় পাতা ন্যারো গেজ রেললাইন ধরে তারা এঁকে-বেঁকে দৌড়ায়, নিজেদের ফিট রাখে৷ কে জানে, কখন কী কাজের ডাক আসে!দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গা ঘামানোর মতো ইঞ্জিনগুলোর থেকে ধোঁয়া বেরোয়, কলকব্জার ধাতব আওয়াজ হয় সারা শরীর জুড়ে৷ যেন পাহাড়ি রাস্তায় ছুটতে যাবে বলে সবাই খুব উত্তেজিত৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নামেই যায় চেনা
টয় ট্রেনের সব ইঞ্জিনেরই একটা করে নাম আছে৷ আর সেই নামগুলো কোনো না কোনো শক্তিধর প্রাণীর নামে৷ খাড়াই রাস্তায় আস্ত একটা ট্রেন টেনে নিয়ে যাওয়ায় এদের যে বিক্রম, সম্ভবত তা-ই বোঝাতে৷কখনও ইঞ্জিনের নাম দাঁতাল হাতির নামে, ‘টাস্কার’৷ কখনও হিমালয়ের পরাক্রমশালী ঈগল পাখির নামে তার নাম৷ এখনও খুব যত্ন নিয়ে পিতলের নাম-ফলকগুলো ঘষে-মেজে চকচকে রাখা হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
8 ছবি1 | 8
এরকম উচ্চ গতি খোলা পথে যতো না সমস্যা, তার চেয়ে বেশি সমস্যা যখন ট্রেন টানেল বা সুড়ঙ্গে ঢোকে৷ বিশেষ করে টানেলে ঢোকার মুখে৷ তাও সিমিউলেট বা অনুকরণ করে দেখা যায়৷ একটি উচ্চগতিসম্পন্ন ট্রেন যখন টানেলে ঢুকছে, তখন বাতাসের ঘূর্ণি ইত্যাদি দেখা যায় লেজার ও ধোঁয়ার মাধ্যমে৷
একটি পিচকারির মধ্যে যেভাবে তার পিস্টন বা চাপদণ্ডটি ঢোকে, ঠিক সেভাবেই ট্রেনটা ঢুকছে টানেলে৷ এক মুহূর্তের মধ্যে একটি শক ওয়েভ সৃষ্টি হচ্ছে, ট্রেন যেটাকে সামনে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে৷ এর ফলে যে আওয়াজ হয়, তা সুপারসনিক বিমানযাত্রার ‘সোনিক বুম'-এর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়৷
প্রফেসর ডিলমান বলেন, ‘‘ট্রেন টানেলে ঢোকার সময় যে শক ওয়েভ সৃষ্টি হয়, এই টানেল সিমিউলেশন প্রণালী দিয়ে তা আমরা দেখতে পাই৷ ইন্টারসিটি এক্সপ্রসে যারা চড়েছেন, তারাও চেনেন ঐ শক ওয়েভ৷ পারিপার্শ্বিকের ওপরেও সেই শক ওয়েভের প্রভাব পড়ে৷ ট্রেন তার সামনে যে বাতাস ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে, তার আওয়াজ মানুষ ও জীবজন্তুর ক্ষতি করতে পারে৷''
বাস্তব ট্রেন টানেলে ঢোকার সময় যে সব পরিমাপ নেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে পরীক্ষাগারের ফলাফল তুলনা করে দেখা হয়৷ এভাবেই ট্রেনের আদর্শ আকৃতি কী হবে আর সুড়ঙ্গের প্রবেশপথটাই বা কীরকম হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায়৷
গবেষণার লক্ষ্য হলো, শক ওয়েভ কমানো, যাতে ট্রেনের ‘ব্লাস্ট বা 'পপ', অর্থাৎ আওয়াজটা কমানো যায়৷ প্রাথমিক পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, টানেলের সামনে এক ধরনের কাঠামো তৈরি করে – যাতে পাশের জানলাগুলো দিয়ে বাতাসটা বেরিয়ে যেতে পারে – এভাবে শক ওয়েভ কমানো সম্ভব৷
অবশ্য ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার গতিতে চলা মডেল ট্রেনকে থামাতে পলিস্টিরিনের গোলাই যথেষ্ট!