1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেটফ্লিক্স বা ইউটিউবে ভিডিও দেখা পরিবেশবান্ধব নয়

১৮ আগস্ট ২০১৯

একটি ছোট্ট ভিডিও অনলাইনে সরাসরি স্ট্রিম করলে তার মাশুল দিতে হয় পরিবেশকে, জানেন কি? শুধু ইউটিউব বা নেটফ্লিক্স নয়, এই দায়ের ভার হোয়াটসঅ্যাপের ওপরেও বর্তায়৷

China - Trivia Games
ছবি: picture alliance/dpa/N. Bo/Imaginechina

পরিবারের কাউকে  হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠান? বা ইউটিউবে নানা ভিডিও দেখেই অবসর সময় কাটান? এমনিতে, আমরা ভাবি এই সব কাজের কোনো প্রভাব পরিবেশের ওপর পড়ে না৷ কিন্তু আসলে তা নয়৷ বর্তমান সময়ে যখন একাধিক ‘স্ট্রিম' ওয়েবসাইটের সাহায্যে বড় ভিডিও বা সিনেমা দেখা ছেলেখেলা হয়ে পড়েছে, একই সাথে তাল মিলিয়ে এর প্রভাব পড়ছে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর৷

এই মুহূর্তে ডিজিটাল প্রযুক্তিজনিত কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে এরোস্পেস বা মহাকাশ শিল্পের কার্বন নিঃসরনের মাত্রাকেও৷ প্যারিসের ‘দ্য শিফট প্রজেক্ট' সংস্থার একটি গবেষনা জানাচ্ছে, বিশ্বের সমগ্র কার্বন নিঃসরণের মোট আড়াই শতাংশের দায় মহাকাশ শিল্পের৷ উল্টোদিকে, চার শতাংশ কার্বন নির্গত হয় বিশ্বের ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়া ও তার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর কারণে৷

ভবিষ্যতের ভিডিও-বিপদ!

তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা সিসকোর একটি প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ অনলাইন মাধ্যমে অংশ নেবেন৷ এর ফলে যে ‘ইন্টারনেট ট্র্যাফিকের' সৃষ্টি হবে, তার ৮০ শতাংশই আসবে ভিডিও ওয়েবসাইটগুলি থেকে৷

‘দ্য শিফট প্রজেক্ট'  সংস্থার গবেষক ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ম্যাক্সিম এফুই-হেস বলছেন, ‘‘আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন৷ আমাদের কাছে বিদ্যুতের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, ফলে এই হারে ইন্টারনেট চাহিদার সাথে লড়তে হলে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার আরো অনেক গুণ বাড়াতে হবে৷''

অনলাইন মাধ্যমে ভিডিও দেখার প্রক্রিয়া রীতিমত ডেটা-সাপেক্ষ৷ ২০১৮ সালে, অনলাইন ভিডিও ট্রাফিক থেকে ৩০ কোটি টনেরও বেশি কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপাদন হয়৷ স্পেনের আকারের একটি দেশ এক বছরে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে তার সমান পরিমাণের কার্বন নির্গত হয় এই ওয়েবসাইটে ভিড়ের কারণেই৷ একটি ভিডিওর রেজোলিউশন বা মান যত উন্নত হবে, তত বেশি ডেটা বা তথ্যের সামর্থ্য প্রয়োজন৷ সাথে প্রয়োজন তাল মিলিয়ে বিদ্যুৎ৷

এই বিপদ ঠেকাতে এফুই-হেস বলছেন, ‘‘মোবাইল ইন্টেরনেটের বদলে ওয়াইফাই ব্যবহার করলে তা থেকে কম কার্বন নির্গত হয়৷ বড় পর্দায় দেখার চেয়ে ছোট কোনো পর্দায় ভিডিও দেখুন, যাতে করে কম বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়৷ অপ্রয়োজনীয় ছবি বা ভিডিও ভার্চুয়াল ক্লাউডে তুলে দেওয়া কমান৷ হাই রেজুল্যুশনের বদলে কিছুটা নিম্নমানের ভিডিও দেখার অভ্যেস করুন৷ তাহলে অনেকটাই মোকাবিলা করা যাবে এই সমস্যা৷''

জিনেট স্ভিঙ্ক/এসএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ