নরেন্দ্র মোদী মনে করেন, ভারতের স্বাধীনতাপূর্ব সময়ের কংগ্রেস নেতাদের কংগ্রেসই সম্মান দেয়নি৷ তাই তাঁর সরকার ওই নেতাদের সম্মান জানাবেন৷ নিন্দুকরা বলছেন, কুম্ভীরাশ্রু৷ তবে নেতাজির পরিবারের এক সদস্য মোদীর সুরেই কথা বলছেন৷
বিজ্ঞাপন
নেতাজিও ভোটের ময়দানে! মহাত্মা গান্ধী, বি আর আম্বেদকর এবং সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের পর এবার হঠাৎই সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি সম্মান দেখানোর তাগিদ অনুভব করছে বিজেপি৷ ক'দিন আগেই ভারত জুড়ে পালিত হলো আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর৷ সেই উপলক্ষ্যে চিরাচরিত প্রথার বাইরে গিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ কিন্তু, কেন এহেন ‘নেতাজী প্রেম’? কী বলছে ইতিহাস?
ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলালে দেখা যাচ্ছে যে, নেতাজিকে নিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে হইচই করার তোড়জোড় চলছে, অতীতে সেই নেতাজির তৈরি আজাদ হিন্দ ফৌজ এবং নেতাজির স্বাধীনতা আন্দোলন প্রক্রিয়াকে পেছন থেকে ছুরি মেরেছিল বিজেপি'র নীতিগত ‘মেন্টর’ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ৷
প্রসঙ্গত, আজ থেকে ৭৫ বছর আগে ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে স্বাধীন আজাদ হিন্দ সরকারের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাঙালি তরুণ সুভাষচন্দ্র বসু৷ সেই ১৯৪১ সালে আরএসএস নেতা সাভারকার প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন, হিন্দুদের এগিয়ে আসতে হবে৷ আজাদ হিন্দ ফৌজকে রুখতে হিন্দুদের ব্রিটিশ সেনায় নাম লেখাতে হবে৷ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’কে ‘সুযোগ’ হিসেবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েই থেমে থাকেননি তিনি৷ ময়দানে নেমে পড়েছিলেন৷ তাঁর আহ্বানে সেই সময় ‘নিয়োগ শিবির' খোলা হয়েছিল৷ প্রচুর হিন্দু নাগরিককে ব্রিটিশ সেনায় নাম লেখানো হয়েছিল, যারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে এগিয়ে আসা আজাদ হিন্দ ফৌজকে আটকানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল৷ আরএসএসের সেই উদ্যোগ সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনীকে আটকাতে ব্রিটিশের সহায়ক প্রমানিত হয়েছিল৷ আজাদ হিন্দ বাহিনীর বহু সেনাকে হত্যা করেছিল সেই সেনাদল৷
ইদানিং ভারতীয় জনতা পার্টি প্রচারে নেমেছে যে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেহরু ও গান্ধী পরিবারের কৃতিত্ব জাহির করতে গিয়ে নাকি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানকে আড়াল করে এসেছে কংগ্রেস৷ অভিযোগকারী খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেছেন, তাঁর সরকার এবার সব বদলে দেবে৷ যদিও নরেন্দ্র মোদীর এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে পিছপা হয়নি প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস৷ দলের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৯-কে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতাজির ঐতিহ্য আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে৷ নতুন করে দেশের ইতিহাস রচনা করতে চাইছে৷
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি স্পষ্ট: সুখেন্দুশেখর রায়
নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনসহ তাঁর সম্পর্কিত ফাইল প্রকাশের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বললেন, ‘‘আজাদ হিন্দ সরকারের পূর্তি উদযাপন হচ্ছে, ভালো কথা৷ কিন্তু তা নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার কৌশল মোটেই সুখকর নয়৷ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি স্পষ্ট৷ অতীতে বিজেপি'র মাতৃ সংগঠনগুলি জনসঙ্ঘ, হিন্দু মহাসভা থেকে আরএসএস পর্যন্ত প্রতিটি সংগঠন নেতাজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে৷ এখন হঠাৎ বিজেপিকে গান্ধীবাদী, প্যাটেলপন্থি ও সুভাষপন্থি হতে দেখে অবাক হতে হয়৷ আসলে এগুলো তাদের কৌশল৷ এঁরা সবাই তো কংগ্রেসের নেতা!’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বিজেপির বক্তব্য, কংগ্রেস তাদের নেতাদের সম্মান দেয়নি, আমরা দিচ্ছি৷ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা৷ ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন কান্ড দেখিনি৷’’ মোদী অবশ্য নেতাজির ‘গৌরব গাথা’-কে সম্মান জানাতে মরিয়া৷ পুরোনো দিল্লির লালকেল্লার ৩ নম্বর ব্যারাকে আইএনএ-র তৎকালীন বন্দি সেনাদের বিচার হয়েছিল৷ আইএনএ-র প্রবীণ সেনাকে পাশে নিয়ে এক স্মারকের উন্মোচন করেছেন মোদী৷ সেখানে স্মারক ছাড়াও একটি সংগ্রহশালা গড়া হবে৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পুলিশকর্মীদের পুরস্কৃত করবেন নেতাজির জন্মদিন, ২৩ জানুয়ারিতে৷
এদিকে, কলকাতায় নেতাজি পরিবারের বেশিরভার সদস্যের বক্তব্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে কে বড়, কে ছোট এসব নিয়ে তর্ক-বিতর্কের কোনো মূল্য নেই৷ কারণ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রাজনৈতিক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে৷ যদিও মোদীর পাশে দাঁড়িয়েছেন নেতাজির পরিবারের এক সদস্য বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বসু৷ তাঁর মতে, পূর্বের কংগ্রেস সরকার ব্যস্ত ছিল নেহরু ও গান্ধী পরিবার নিয়ে৷ বিজেপি সরকারই নেতাজির ফাইল প্রকাশ করেছে৷ এই সরকারই নেতাজিকে সম্মান জানিয়েছে৷
বিজেপিকে চিনে নিন
ভারতে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি৷ বর্তমানে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে সর্বাধিক প্রতিনিধিত্ব রাখা দলটি সদস্য সংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম৷ ঐতিহাসিকভাবে হিন্দু-জাতীয়তাবাদী অবস্থানের বিজেপির গল্প এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. K. Singh
আদর্শগত উৎস
বিজেপিকে চিনতে হলে ‘সংঘ পরিবার’-এর অন্তর্গত হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির উৎস আরএসএস অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে জানা দরকার৷ বিশ্বের বৃহত্তম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মারাঠি চিকিৎসক কেশব হেডগেওয়ার৷ ১৯২৫ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ ভি ডি সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’ চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণই আরএসএস-এর প্রধান উদ্দেশ্য৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরত্ব
কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে দূরে ছিল আরএসএস৷ ১৯৪০-এর দশকে সংগঠনের নেতা হিসেবে এম এস গোলওয়ালকর হিন্দু রাষ্ট্র গড়তে ব্রিটিশ বিরোধিতার বদলে ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ডাক দেন৷ উল্লেখ্য, পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া অটলবিহারী বাজপেয়ী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় সত্যাগ্রহীদের সাথে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন৷ লিখিত মুচলেকা দিয়ে আন্দোলনে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাড়া পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M.Desfor
দেশভাগ ও আরএসএস
দেশভাগের সময় আরএসএস পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের সাহায্য করে৷ আরএসএস ও বর্তমানের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির কর্মীরা মনে করেন, দেশভাগ মুসলিমদের প্রতি নরম আচরণের ফল৷ এজন্য গান্ধী ও নেহরুকে বিশেষভাবে দায়ী মনে করেন তাঁরা৷ স্বাধীনতার পর কংগ্রেসকে ঠেকাতে ১৯৫১ সালে জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ সেই জনসংঘই আসলে বিজেপির উৎস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
জরুরি অবস্থা ও জনতা পার্টির জন্ম
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন৷ বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে জনসংঘের অসংখ্য সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা শেষে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন৷ কংগ্রেসকে হারাতে অন্যান্য দলের সঙ্গে মিলে যায় জনসংঘ, জন্ম নেয় জনতা পার্টি৷ নির্বাচনে জিতেও যায় জনতা পার্টি৷ প্রধানমন্ত্রী হন মোরারজি দেশাই৷ স্বাধীন ভারতে সূচিত হয় হিন্দুত্ববাদীদের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ জয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজেপির জন্ম
১৯৮০’র পর দল ও আরএসএসের দ্বৈত সদস্য হবার বিধান না থাকায় জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি৷ নতুন দলে নতুন সদস্য যোগ দিলেও, গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল পুরোনোদের দাপট৷ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন বাজপেয়ী৷ মূলত, ইন্দিরা হত্যার পর ভোটে খারাপ করার কারণেই নেতৃত্বে এই পরিবর্তন৷ তবে বিজেপির উত্থান শুরু ১৯৮৪ সালে৷ সে বছর দলের সভাপতি হন লালকৃষ্ণ আডবানি৷ রাম জন্মভূমির দাবিকে ঘিরে তাঁর নেতৃত্বেই শক্তিশালী হতে থাকে বিজেপি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Raveendran
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও বাবরি মসজিদ
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই বিজেপি সরাসরি ধর্মের রাজনীতিতে নামে৷ বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির গঠনের দাবিতে সারা দেশ থেকে অযোধ্যার পথে রওয়ানা দেয় হাজার হাজার ‘করসেবক’৷ পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে উত্তেজিত জনতা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হন দু’ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/D .E. Curran
সরকার গঠন ও জোটের রাজনীতি
সাম্প্রদায়িক আবেগকে হাতিয়ার করে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১৬১টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়৷ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন অটলবিহারী বাজপেয়ী৷ কিন্তু ১৩ দিন পর, লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি৷ ১৯৯৬ সালে আঞ্চলিক দলগুলির একটি জোট সরকার গঠন করে৷ কিন্তু সেই সরকারের স্থায়িত্ব দীর্ঘ হয়নি৷ ১৯৯৮ সালে আবার নির্বাচন হয়৷
ছবি: UNI
প্রথম এনডিএ সরকার
নির্বাচনে জিতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গড়ে৷ জোটে অংশগ্রহণ করে সমতা পার্টি, অকালী দল, শিব সেনা, নিখিল ভারত আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গম (এআইএআইডিএমকে), বিজু জনতা দল ও শিব সেনা৷ ১৯৯৯ সালে তাঁরা সংসদে ৩০৩টি আসন জিতলে বাজপেয়ী তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন৷ পাঁচ বছরের পূর্ণমেয়াদী এই জোট সরকার প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসের মোকাবিলার পাশাপাশি নব্য-উদার অর্থনীতির ওপর জোর দেয়৷
ছবি: Imago/photothek/T. Koehler
দুর্নীতি ও দাঙ্গায় কোণঠাসা বিজেপি
বিজেপির জয়রথে প্রথম ‘বাধা’ গোধরা দাঙ্গা৷ তীর্থযাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগাকে ঘিরে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যান৷ তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতার নাম এই দাঙ্গার সাথে জড়ায়৷ বিজেপি-প্রধান বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ৷ সব মিলিয়ে বিপন্ন বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট ২০০৪ সালে নতুন সরকার গড়ে৷ প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং৷
ছবি: AP
নেতৃত্বে কে? মোদী, না আডবাণী?
২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে বিজেপি৷ অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দলের নেতৃত্বের দায়ভার বর্ষীয়ান নেতা এল কে আডবানির ওপর বর্তানোর কথা উঠলেও, বাস্তবে তা হয়নি৷
ছবি: AP
মোদীর উত্থান
বিজেপির ইতিহাসে ব্যক্তিকেন্দ্রীক নির্বাচনী প্রচার মোদীর ক্ষেত্রেই প্রথম৷ পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে মোদীর ‘গুজরাট মডেল’-কে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরা হয় প্রচারে৷ সুবক্তা মোদী শীঘ্রই হয়ে ওঠেন তরুণ প্রজন্ম থেকে সংবাদমাধ্যম, সকলের প্রিয়পাত্র৷ নির্বাচনের আগে বিজেপি হিন্দু জাতীয়তাবাদকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে গেলেও, মোদীর প্রাক-নির্বাচন বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল ‘হিন্দুত্ব’৷
ছবি: picture alliance/AA/M. Aktas
মোদী থেকে ‘মোদীজি’
২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে৷ ভোটারদের কংগ্রেসের প্রতি অনাস্থার পাশাপাশি বিজেপির সাফল্যের আরেকটি কারণ ছিল আরএসএসের নিঃশর্ত সমর্থন৷ নরেন্দ্র মোদীই হন প্রধানমন্ত্রী৷ পিউ গবেষণা কেন্দ্রের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রথম বছরের তুলনায় বর্তমানে মোদীর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে, যা ২০১৯-র নির্বাচনে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির জন্যও নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয়৷