1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি-ইসরায়েল সম্পর্কে ধাক্কা

২৬ এপ্রিল ২০১৭

পশ্চিম তীরে অধিকৃত এলাকায় ইহুদি বসতির বিরোধী দুই সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন না ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী৷ ফলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷

সিগমার গাব্রিয়েল
ছবি: picture-alliance/dpa/B. von Jutrczenka

মতের অমিল সত্ত্বেও দুই নেতার আলোচনা হাস্যরসে ভরা থাকে৷ একসঙ্গে দু'জনকে সিগার খেতেও দেখা গেছে৷ অথচ এই যাত্রায় সাক্ষাতই হলো না দু'জনের৷ ইসরায়েল সফররত জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলের সঙ্গে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সৌজন্য সাক্ষাৎ হলে তা খবরের শিরোনামে যেত না৷ শেষ মুহূর্তে নেতানিয়াহু সেই সাক্ষাৎ বাতিল করায় বিষয়টি জোরালো বিতর্কের সৃষ্টি করেছে৷

দুই পক্ষের মধ্যে এত বড় মনোমালিন্যের কারণ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসূচির একটি অংশ৷ জার্মান কূটনীতিক ও নেতাদের বিদেশ সফরের সময় বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয় – এমনকি তারা সরকারের কোনো নীতির হলেও কোনো ব্যতিক্রম ঘটে না৷ গণতান্ত্রিক দেশগুলিতে সেই ধরনের সাক্ষাৎ নিয়ে সরকারও তেমন মাথা ঘামায় না৷ এ পর্যন্ত ইসরায়েলেও এ নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি৷ জার্মান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইওয়াখিম গাউক যখন ইসরায়েল সফরে এসেছিলেন, তখনও জার্মান দূতাবাস এমন সংলাপের আয়োজন করেছিল৷ সেই তালিকায় ছিল এমন দুটি এনজিও যারা অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলের বিতর্কিত বসতি নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সমালোচনা করে চলেছে৷

এবার সিগমার গাব্রিয়েলের সফরসূচিতে সেই ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ ও ‘বেৎসেলেম’-এর নাম দেখে বেঁকে বসেন নেতানিয়াহু৷ সাফ জানিয়ে দেন, গাব্রিয়েলকে বেছে নিতে হবে তিনি প্রধানমন্ত্রী নাকি ওই এনজিওগুলোর সঙ্গে দেখা করতে চান৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেই চাপের সামনে নতি স্বীকার না করে নিজের সফরসূচি অনুযায়ী অগ্রসর হবার সিদ্ধান্ত নেন৷ নেতানিয়াহু তখন আলোচনা বাতিল করে দেন৷ তাঁর মতে, যেসব মহল ইসরায়েলি সৈন্যদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না৷ উল্লেখ্য, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদও নিজের হাতে রেখেছেন৷ 

সেই খবর পেয়ে গাব্রিয়েল বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কোনো বিদেশি নেতা বার্লিনে এসে সরকার-বিরোধী কোনো মহলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে যেমন বিস্ময়ের কোনো কারণ নেই, তাঁর সফর নিয়েও তেমনটা থাকা উচিত নয়৷ তাছাড়া ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার কোনো বাসনা তাঁর নেই৷ তবে এই একটি ঘটনা জার্মানি ও ইসরায়েলের সম্পর্কের উপর কোনো ছায়া ফেলবে না বলে মনে করেন গাব্রিয়েল৷

উল্লেখ্য, জার্মানি ফিলিস্তিনি এলাকায় নতুন ইহুদি বসতি তৈরির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে৷ এমনকি সেই কারণে দুই দেশের মন্ত্রিসভার নিয়মিত যৌথ বৈঠক বার বার বাতিল করা হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ