1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গতিহারা বিএনপির আন্দোলন

সমীর কুমার দে, ঢাকা১৬ এপ্রিল ২০১৩

প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দেড় শতাধিক নেতা বর্তমানে কারাগারে৷ এর মধ্যে প্রথম সারির অন্তত দুই ডজন নেতা রয়েছেন৷ সিনিয়র নেতারা কারাবন্দি থাকায় বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলন কি গতি হারিয়েছে?

ছবি: Getty Images

এমন প্রশ্নে বিএনপি নেতারা বলছেন, আন্দোলন চলমান, বরং নেতাদের কারাগারে রেখে সরকার আন্দোলনকে আরো বেগবান করে দিয়েছে৷ তবে অধিকাংশ সিনিয়র নেতা কারাগারে থাকায় 'চেইন অফ কমান্ডে' কিছুটা যে সমস্যা হচ্ছে, তা অকপটেই স্বীকার করলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন৷ তাঁর মতে, চলতি সপ্তাহে বিএনপি বড় কোন কর্মসূচি না দেয়ায় আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন৷ আসলে এমনটি নয়৷

মঙ্গলবার ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার যত দমন পীড়ন করবে, আন্দোলন তত বেগবান হবে৷ মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি সফল করতে না পারায় আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার আহুত হরতাল বিএনপি স্থগিত করেছে৷ তবে ভিন্ন মত খন্দকার মোশাররফের৷ তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব লাঙ্গলবন্দের বারদীতে ‘পুণ্যস্নান' এর কারণে তাঁরা এই হরতালের কর্মসূচি স্থগিত করেছেন৷ বুধবার থেকে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে শুরু হচ্ছে দুই দিন ব্যাপী পুণ্যস্নান অনুষ্ঠান৷ এখানে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ যোগ দেন৷ মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি সব ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ তাই হিন্দুদের এই অনুষ্ঠানে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে কারণেই হরতাল স্থগিত হয়েছে৷

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার যত দমন পীড়ন করবে, আন্দোলন তত বেগবান হবেছবি: Reuters

আগামী সপ্তাহে বড় ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচি আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনের পাশাপাশি কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাদের আইনের মাধ্যমে মুক্ত করার চেষ্টাও চলছে৷'' বর্তমান সরকারের আচরণকে ফ্যাসিবাদী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এদেশে কোন মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই৷ সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে কারাগারে যেতে হচ্ছে৷ এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না৷'' তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে৷

এদিকে রাজধানীর পল্টন থানায় দ্রুতবিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি ও মির্জা আব্বাসসহ ৪১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) মঙ্গলবার গ্রহণ করেছেন আদালত৷ অভিযোগপত্রে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লা বুলু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানী এমপি ও যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকেও আসামি করা হয়৷ মওদুদ, আব্বাস, আমান, আলাল, গয়েশ্বর, অ্যানি ও বুলু এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন৷ বাকি ৩৪ জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে ২৯শে এপ্রিল আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে৷ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন৷

প্রসঙ্গত, বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ৭ই মার্চ গাড়ি ভাঙচুর ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়৷ পুলিশ এই মামলায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও মির্জা আব্বাসসহ ৪১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়৷

গ্রেফতার হওয়া বিএনপি নেতারা যে খুব সহসাই ছাড়া পাচ্ছেন না তা অনেকটাই নিশ্চিত৷ সরকার হার্ড লাইনে থাকায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে দ্রুতই পুলিশ চার্জশিট দিয়ে দিচ্ছে৷ এর মধ্যে মঙ্গলবারই একটি মামলা আমলে নিয়েছেন আদালত৷ এখন এই মামলার বিচার শুরু হবে৷ আর দ্রুত বিচার আইনের মামলা হওয়ায় এতে জামিন পাওয়ার সুযোগও কম৷ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যে মামলাগুলো দেয়া হয়েছে তার অধিকাংশ জামিন অযোগ্য ধারায়৷ তাই নেতাদের কারামুক্তি নিয়ে বেশ উদ্বেগেই আছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ