1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেতা হারাল আইএস

১৪ জুলাই ২০১৬

তথাকথিত জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এর নেতা ওমর শিশানির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আমাক নিউজ৷ তবে শিশানির মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার দিনেই আইএস-এর হামলা পরিকল্পনায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানিয়েছে এপি৷

ISIL Kämpfer
ছবি: picture alliance/AP Photo

গত মার্চে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছিল, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় মারা গেছেন শিশানি৷ আইএস-এর পক্ষ থেকে তখন কিছু জানানো হয়নি৷ প্রায় চার মাস পর তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর মুখপাত্র আমাক নিউজ জানাল, শিশানি ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়েছেন৷

এদিকে বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন্সেও তৎপরতা বাড়াতে শুরু করেছে আইএস৷ জঙ্গি সংগঠনটির নেতা আবু বাকার আল বাগদাদি কয়েকদিন আগেই বলেছেন, ইসলামি খেলাফত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত করার উদ্যোগ নেয়া হবে৷ এপি'র প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন্সের দক্ষিণাঞ্চলে যে ছোটখাটো হামলা হয়েছে, সেগুলো বাগদাদির সেই ঘোষণা বাস্তবায়নেরই প্রাথমিক প্রয়াস৷

সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় কয়েকটি হামলা কিংবা হামলার চেষ্টা হয়েছে৷ গত জুনে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি বারের বাইরে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়৷ হামলায় আট জন আহত হয়৷ মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, হামলাটি আইএস-ই চালিয়েছিল৷

গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়াও বড় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচেছে৷ সোলো শহরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী৷ আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী মারা গেলেও সেই হামলায় কোনো পুলিশের প্রাণ যায়নি৷

ফিলিপাইন্সের মুসলিম অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলেও তৎপর হয়ে উঠছে আইএস৷ এক সময় দেশটিতে আল-কায়েদা সক্রিয় ছিল৷ ২০০২ সালের বালি বোমা হামলাসহ বেশ কয়েকটি হামলায় জড়িত ছিল তারা৷ অনেক নেতা, সমর্থক কারাবন্দি হওয়ায় আল-কায়েদা এখন প্রায় নিষ্ক্রিয়৷ এই সুযোগে সেখানে প্রভাব বাড়াতে চাইছে আইএস৷

আইএস-এর তৎপরতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও বাংলাদেশে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার কারণে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে চালানো আইএস-এর হামলাগুলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্ব পায়নি৷ হামলায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে বলেও খবরগুলো সবার নজর এড়িয়েছে৷ তবে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে আইএস-এর তৎপরতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা৷

এসিবি/এসবি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ