শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্কুল ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একমত হয়েছে৷
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়৷
তবে ডিজিটাল শিক্ষার ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে৷ এছাড়া প্রতিবন্ধী বা চিকিৎসাজনিত কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে মোবাইল ব্যবহার করতে হলে তা করা যাবে৷
শিক্ষামন্ত্রী রব্যার্ট ডিকগ্রাফ বলেন, মানুষের জীবনের সঙ্গে মোবাইল ফোন অনেকভাবে জড়িয়ে গেলেও শ্রেণিকক্ষে সেটি মানায় না৷ ‘‘শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, তাদের ভালোভাবে পড়ার সুযোগ দিতে হবে৷ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোন ঝামেলা তৈরি করে৷ এ থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে হবে,'' এক বিবৃতিতে বলেন তিনি৷
২০২৪ সালের গ্রীষ্মের মধ্যে কোনো স্কুল এই নিয়ম চালু করতে না পারলে আইনি সমস্যার মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দেন শিক্ষামন্ত্রী৷
গত সপ্তাহে ফিনল্যান্ডেও এমন নিয়ম চালুর ঘোষণা দেয়া হয়৷
এদিকে, জার্মানিতে গত শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত শুধু বাভারিয়া রাজ্যের স্কুলগুলোতে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ ছিল৷ এরপর তা শিথিল করা হয়৷
জার্মানির ব্যক্তি স্বাধীনতা আইন সাধারণত মোবাইল ফোনের উপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে৷ তবে স্কুলগুলোর নিজস্ব আইন জারির স্বাধীনতা রয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)
জার্মানির ফোনবুথ অধ্যায়ের সমাপ্তি
একটা সময় প্রথমে হলুদ, পরে গোলাপী রংয়ের ফোনবুথগুলো জার্মানির অলিতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল৷ কিন্তু মোবাইল ফোনের আবির্ভাবে তাদের প্রয়োজন আজ শূন্যের কোঠায়৷ শেষ যে ক’টি ছিল, তা-ও ভেঙে ফেলা হলো৷
ছবি: Rust/IMAGO
টেলিফোনের দোকান থেকে বুথ
টেলিফোন বুথের ইতিহাস বেশ পুরোনো৷ ১৮৮১ সালে বার্লিনে প্রথম টেলিফোনের দোকান বসে৷ ছবিতে যেটি দেখা যাচ্ছে, এটি বসানো হয় ১৯২৭ সালে, বার্লিনের জেরুসালেম চার্চের সামনে৷ এই বুথের চাহিদা পরে ব্যাাপক হারে বাড়তে থাকে৷
ছবি: akg-images/picture alliance
অলিগলি সর্বত্র
১৯৯০ সাল পর্যন্ত টেলিফোনের এমন বক্সগুলো জার্মানির সর্বত্র চোখে পড়তো৷ সারা জার্মানিতে এমন এক লাখ ৬০ হাজার বুথ ছিল৷ এগুলোর ভেতরে ফোনের সঙ্গে ফোন-বুকও ছিল৷ জার্মানির পোস্ট অফিসের অধীনে ছিল এগুলো৷ পরে জার্মান টেলিফোন সংস্থা ডয়চে টেলিকমের অধীনে চলে যায় এটি৷
ছবি: Rust/IMAGO
পূ্র্ব জার্মানির চিত্র
আগের পূর্ব জার্মানি বা জার্মান ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক (ডিডিআর)-এ বেশিরভাগ ফোনবুথ ছিল হলুদ৷ ছবিতে ১৯৯১ সালে জার্মানির পূ্নরেকত্রীকরণের পর দু’টি হলুদ ফোনবুথ দেখা যাচ্ছে৷ বার্লিন দেয়ালের পতনের আগে এই ফোনবুথগুলো খুবই প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ ছিল৷ কারণ, তখন বেশিরভাগেরই ঘরে ল্যান্ডলাইন ছিল না৷
ছবি: Werner Schulze/IMAGO
‘নো কয়েন, নো ফোন কার্ড’
২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে এসব বুথে কয়েনের ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ আর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে কার্ডের ব্যবহারও বন্ধ৷ কয়েক বছর আগেও এমন কিছু করলে তুলকালাম কাণ্ড বেধে যেতো৷
ছবি: teutopress/IMAGO
একটি যুগের সমাপ্তি
জার্মান অ্যাসোসিয়েশন অফ টাউনস অ্যান্ড মিউনিসিপ্যালিটিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘যখন প্রায় প্রত্যেকের পকেটে মোবাইল ফোন, তখন এমন ব্যয়বহুল অবকাঠামো টিকিয়ে রাখার কোনো অর্থ নেই৷’’
ছবি: Manngold/IMAGO
নতুন বইঘর
কিছু বাক্স বইয়ের বুথ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যেমন লাউটার-ব্যর্নসবাখের এই বুথ৷ শহরের শেষ ফোন বুথটি এভাবেই সংরক্ষণ করেন মেয়র টোমাস কুনৎসমান৷
ছবি: Georg Ulrich Dostmann/IMAGO
পরিত্যক্ত বা নষ্ট
কিন্তু সব টেলিফোন বুথের ভাগ্যে এতটা যত্ন জোটে না, যেমন, টেলিকমের আধুনিক ম্যজেন্টা রংয়ের এই বুথটি৷ গত বছর তাদের তিন ভাগের এক ভাগ পাবলিক টেলিফোন এক ইউরোও রাজস্ব আয় করেনি৷ কিন্তু তাদের ঠিকই এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় বহন করতে হচ্ছে৷
ছবি: Olaf Wagner/IMAGO
ফোনবুথের কবর
জনগণের মৌলিক সেবার আওতায় এই ফোনবুথগুলো থাকায় ডয়চে টেলিকম এতদিন এগুলোকে তুলে নিতে পারেনি৷ ২০২১ সালের শেষ দিকে এই বাধ্যবাধ্যকতা তুলে নেয়া হয়৷ তারপর থেকে এই টেলিফোন বুথগুলো জড়ো করা হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায়৷ জার্মানির পূর্বাঞ্চলে ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের মিশেনডর্ফ শহরের একটি জায়গার ছবি এটি৷
ছবি: Karina Hessland/IMAGO
পুরোনো জায়গায় নতুন প্রযুক্তি
ডয়েচে টেলিকম জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ঐতিহ্যবাহী টেলিফোন বুথগুলি প্রায় ১২০০০ টেলিফোনের পিলার বা দোকান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ ২০২৫ সালের মধ্যে সব সরিয়ে নেয়া হবে৷