আগে ছিল রাইডিং স্কুল। সেটাকেই পরে গোপনে কোকেন ল্যাবে পরিণত করে দুষ্কৃতীরা। আমস্টারডাম থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বের শহর নিজভিনের ল্যাব থেকে হাজার হাজার লিটার রাসায়নিক ও ১০০ কেজি কোকেন উদ্ধার করেছে পুলিশ। ল্যাব থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজন কলম্বিয়ান, একজন তুরস্কের লোক এবং একজন ডাচ নাগরিককে। তাঁদের জেরা করার পর সেই সূত্র ধরে ১৩ জন কলম্বিয়ান, তিনজন নেদারল্যান্ডের লোক এবং একজন তুরষ্কের নাগরিককে ধরেছে পুলিশ। বোঝা যাচ্ছে, বহুজাতিক মাদক পাচার চক্রের বড় ঘাঁটি ছিল ওই ল্যাবটি।
পুলিশ জানিয়েছে, দিনে দেড়শ থেকে দুইশ কেজি কোকেনউৎপাদনের ক্ষমতা ছিল ওই ল্যাবের। বাজারে যার দাম ৪৫ লাখ ইউরো। বিশাল কর্মকাণ্ড। প্রচুর লোক এর সঙ্গে জড়িত। আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গাঁজাসহ বেশ কিছু মাদক পৃথিবীর অনেক দেশেই অবৈধ৷ কিন্তু কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই বৈধ হয়েছে এসবের সীমিত সেবন ও বেচাকেনা৷ বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/empics/D. Dyckগাঁজা সেবন অনেক দেশেই আইনতভাবে অপরাধ নয়৷ এমনই একটি দেশ ল্যাটিন অ্যামেরিকার আর্জেন্টিনা৷ সেখানে চিকিৎসার জন্য গাঁজা আগে থেকেই বৈধ হলেও ব্যক্তিগত পছন্দে সেবনের জন্য গাঁজাকে ২০০৯ সাল থেকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/E. Abramovich২০১৭ সালের ১০ মার্চ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীদের গাঁজা সংগ্রহের অনুমতি দেয় জার্মান সরকার৷ অনুমোদনের পর দেশটিতে গাঁজার চাহিদা ব্যাপকহারে বেড়েছে৷
ছবি: Imago/C. Mangচিকিৎসার উদ্দেশ্যে গাঁজার সেবন ও চাষ অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ৷ সেই দেশের আদিবাসীদের মধ্যে গাঁজা সেবনের মাত্রা শহরাঞ্চলে কিছুটা কম বলে জানা যায়৷
ছবি: Getty Images/P.Kaneপ্রাপ্তবয়স্করা সেবনের জন্য তিন গ্রাম ওজন পর্যন্ত গাঁজা সঙ্গে রাখতে পারবেন ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামে৷ ২০০৩ সাল থেকে কার্যকরী এই আইনে মাথাপিছু একটি গাঁজা গাছ লাগানোকেও বৈধতা দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: Reuters/P. Wojazerমাথাপিছু ৫০ গ্রাম গাঁজা কেনা বলিভিয়ায় বৈধ৷
ছবি: imago/CHROMORANGEসারা বিশ্বে আলোড়ন তুলে সব রকমের গাঁজা সেবন ও চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ক্যানাডা সরকার৷ ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে নতুন আইন এনে গাঁজা সার্বিকভাবে বৈধ ঘোষণা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/empics/The Canadian Press/J. Fransonল্যাটিন অ্যামেরিকার আরেক দেশ চিলিতেও ২০০৫ সাল থেকে বৈধ হয়েছে গাঁজা বা মারিহুয়ানার সেবন ও বিক্রি৷
ছবি: Nelson Vergara/Revista Mingaসেই ১৯৭৬ সাল থেকেই ইউরোপের নেদারল্যান্ডসে গাঁজা বৈধ৷ সেই দেশের বিখ্যাত ‘কফিশপ’-গুলিতে গাঁজা বিক্রি ও সেবন বৈধ হলেও পাঁচ গ্রামের বেশি গাঁজা রাখতে পারবেন না কেউ৷
ছবি: Getty images/AFP/J. Juinenআফ্রিকার প্রথম দেশ হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১৮ সালে গাঁজা সেবন ও গাঁজা চাষকে বৈধতা দেয়৷ প্রসঙ্গত, এই দেশের ডাক্তারেরা চিকিৎসার প্রয়োজনে গাঁজা সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন ঠিকই, কিন্তু কোনো বিশেষ দোকান বা হাসপাতালে তা বিক্রির পরিষেবা এই মুহূর্তে নেই৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Bosch২০১৩ সাল থেকে উরুগুয়েতে সম্পূর্ণরূপে বৈধ হয়েছে গাঁজা সেবন ও বিক্রি৷ শুধু তাই নয়, নিষেধাজ্ঞা উঠেছে গাঁজা চাষের ওপর থেকেও৷
ছবি: Reuters/A. Stapffঅঞ্চল অনুসারে ভিন্ন আইন থাকায় গাঁজা বা অন্যান্য মাদক বিষয়ক আইনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিন্ন৷ কিছু রাজ্যে ব্যক্তিগত সেবন বৈধ হলেও দেখা যায় যে, সেখানে গাঁজার চাষে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷ কিন্তু ডাক্তারি পরামর্শে গাঁজা সেবন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অংশেই বৈধ বলে জানা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/J. Locher এই সূত্র ধরেই পুলিশ দক্ষিণ নেদারল্যান্ডের দুইটি শহর থেকে ১২০ টন মাদক পাচারের জিনিস উদ্ধার করেছে। এগুলি মূলত কাপড়, যার মাধ্যমে মাদক পাচার করা হতো। একটা বিশেষ পদ্ধতিতে পুরো কাজ হতো। এই অপারেশনের নাম ছিল ড্রাগ লন্ড্রি।
পুলিশ জানিয়েছে, মাদক একটা তরলে গুলে দেওয়া হতো। তারপর তা কাপড়ে লেপটে দেওয়া হতো। সেই কাপড় নিয়ে আসা হতো নেদারল্যান্ডে। ল্যাবে বিশেষ রাসায়নিকের সাহায্যে মাদক বের করে নেওয়া হতো। তারপর তা বাজারে যেত।
নেদারল্যান্ড থেকেই মূলত ইউরোপের বাজারে মাদক ঢোকে। মূলত রটারডামের বন্দর মারফত কোকেনের চোরাকারবার হয়। নেদারল্যান্ডে দার্ঘদিন ধরেই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। সেই যুদ্ধে বড় সাফল্য পেল পুলিশ।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, ডিপিএ)