1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি দলেই

১ জুলাই ২০২০

ভারত তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সমর্থন করে না তাঁর দলই। উঠল তাঁর পদত্যাগের দাবি।

ছবি: Reuters/N. Chitrakar

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির বক্তব্য নিয়ে এ বার তাঁর দলের ভিতরেই আলোড়ন তৈরি হল। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড ওলির পদত্যাগ দাবি করলেন।

গত রোববার এক অনুষ্ঠানে ওলি বলেছিলেন, ভারত এবং নেপালের কিছু নেতা তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। তাঁকে গদিচ্যূত করার চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, ওলি সরাসরি আঙুল তুলেছিলেন কাঠমান্ডুতে ভারতীয় দূতাবাসের দিকে। তাঁর বক্তব্য ছিল, ভারতীয় দূতাবাস এবং কিছু হোটেলে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। এবং সেখানে দেশের কিছু নেতাও রয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এক দলীয় সভায় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির একাংশ ওলির পদত্যাগের দাবি করল।

গালওয়ানের মালিকানা কার?

10:45

This browser does not support the video element.

নাম না করলেও ওলি সরাসরি নিজের দলের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই দলের অন্যতম নেতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা চলছে। প্রচণ্ড দাবি করেছিলেন, ওলি নিজেকে দলের ঊর্ধ্বে ভাবতে শুরু করেছেন। দলের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগও রক্ষিত হচ্ছে না বলে দাবি করেছিলেন প্রচণ্ড। দল এবং সরকারের মধ্যে খানিক কোণঠাসাই হয়ে গিয়েছিলেন ওলি। সেই পরিস্থিতিতেই দেশের মানচিত্রে বদল এনে ফের আলোকবৃত্তে ফিরে আসেন ওলি। মানচিত্রের মধ্যে ভারত-নেপাল সীমান্তের তিনটি জায়গাকে অন্তর্গত করেন তিনি। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে ভারত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ওলি গত রোববার অভিযোগ করেন, ভারত তাঁকে গদিচ্যূত করার চক্রান্ত করছে।

মঙ্গলবার দলীয় সভায় ওলির উপস্থিতিতেই প্রচণ্ডদের গোষ্ঠী দাবি তোলে, কেন ওলি ওই মন্তব্য করলেন তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। প্রচণ্ড গোষ্ঠী বরাবরই ভারতের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলতে চায়। যে পরিস্থিতিতে ওলি এই মন্তব্য করেছেন, তাতে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক খারাপ হবে বলেই তাঁরা মনে করছেন। ওলির উপস্থিতিতেই তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। যদিও ওলি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গত এপ্রিলেও দলের ভিতর যথেষ্ট কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন ওলি। কিন্তু মানচিত্রে বদল ঘটিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদ জাগিয়ে তুলতে পেরেছিলেন ওলি। সাধারণ মানুষের সমর্থনও পেয়েছিলেন। এতটাই যে সংসদে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মানচিত্র বদলের বিলটিও পাশ করিয়ে নিতে পেরেছিলেন। কিন্তু তার পর যে মন্তব্য তিনি করেছেন, তা নিয়ে নতুন করে দলের ভিতরে কোণঠাসা হতে শুরু করেছেন ওলি। এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

এসজি/জিএইচ (এনডিটিভি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ