1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেপালের ‘সিংগিং নান’ দোলমা

৩১ ডিসেম্বর ২০১১

নেপালি শিল্পী অনি চোয়িং দোলমা৷ তবে বেশি পরিচিত ‘সিংগিং নান’ হিসেবে৷ নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি আসলে একজন নান, মানে সন্ন্যাসিনী৷ গানও করেন সেরকম, আধ্যাত্মিক৷

Tibetaner lauschen Solidaritäts Bewegung in Nepal.jpg Tibetan nuns listen to a solidarity movement leader asking Tibetans to keep their actions non-violent while protesting against China's clampdown on Tibetan protesters, at a prayer meeting in Katmandu, Nepal, Wednesday March 26, 2008. (AP Photo/ Saurabh Das)
এঁদেরই মতো একজন নান দোলমা, তবে তিনি এখন সিংগিং নান হিসেবে খ্যাতছবি: AP

জন্ম তিব্বতি পরিবারে৷ বড় হয়েছেন কাঠমাণ্ডুর এক বৌদ্ধ আশ্রমে৷ ছোটবেলায় বাবা প্রায় প্রতিদিন তাঁকে মারধর করতেন৷ তাই ১৩ বছর বয়সে পালিয়ে চলে যান ঐ আশ্রমে৷ সেখানে শিক্ষক হিসেবে পান তুলকু উরজ্ঞান রিনপোচে'কে৷ তাঁর কাছে গানের তালিম নেন দোলমা৷ তবে সেই গান হলো ধর্মীয় সংগীত৷ আশ্রমে যারা যান, তাদের জন্য গাওয়া হয় এই গান৷

এভাবেই চলছিল৷ আশ্রমে একদিন দোলমার গান শুনে তাঁকে অ্যালবাম বের করার প্রস্তাব দেন মার্কিন গায়ক স্টিভ টিব্বেটস৷ শুরুতে এই প্রস্তাবে ইতস্তত করলেও বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষক রিনপোচে'র সঙ্গে৷ তাঁর শিক্ষক এই সুযোগটা নেয়ার পরামর্শ দেন দোলমাকে৷ এরপর ১৯৯৮ সালে অ্যামেরিকায় যান গান গাইতে৷ সঙ্গে বের হয় অ্যালবাম৷ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জনপ্রিয়তা৷ ডাক পড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও৷

একসময় কনসার্ট করে বেশ ভাল অর্থ উপার্জন করতে শুরু করেন দোলমা৷ সেই টাকা দিয়ে তিনি ২০০৫ সালে একটি স্কুল গড়ে তোলেন৷ প্রায় ১০০ নেপালি মেয়ে সেখানে পড়ালেখা শিখছে৷ এদের বয়স সাত থেকে ২৩ এর মধ্যে৷ এদের বেশিরভাগই এসেছে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে৷ যাদের বাবা-মা মনে করেন মেয়েদের শিক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই৷

স্কুল প্রতিষ্ঠা ছাড়াও নেপালি মেয়েদের কল্যাণ হয় - এমন সব প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করে থাকেন দোলমা৷ উল্লেখ্য, ১৩ বছর বয়সে বাবা-মা'র কাছ থেকে পালিয়ে আসার পর থেকে আর লেখাপড়া হয়নি দোলমার৷ তবে আশ্রমে বিদেশিদের সঙ্গে নিয়মতি যোগাযোগের কারণে ইংরেজিটা শিখে গেছেন৷

২০০৮ সালে ফ্রেঞ্চ ভাষায় দোলমার আত্মজীবনী বের হয়৷ এরপর নেপালি সহ ১২টি ভাষায় তার অনুবাদ বের হয়৷

তবে পশ্চিমা বিশ্বে জনপ্রিয়তা পেলেও নিজের দেশে ততোটা পরিচিতি ছিলনা দোলমার৷ তাই ২০০৫ সালে নেপালে একটি অ্যালবাম বের করেন তিনি৷ সেই অ্যালবামের গান ‘ফুলোকো আঁখমে'৷ বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘ফুলের চোখে'৷ অ্যালবামটা বেশ জনপ্রিয়তা পায়৷ এরপর থেকে নেপালেও তিনি তারকার মর্যাদা পাচ্ছেন৷ দোলমা বলেন, ‘‘এখন রাস্তায় লোকজন আমাকে দেখলে বেশ খুশি হয়৷ এটা আমার জন্য একটা আশীর্বাদ৷ কেননা ক্ষণিকের জন্য হলেও আমি মানুষজনকে আনন্দ দিতে পারছি৷''

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ