1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা

১৫ মার্চ ২০১৭

‘ক্ষুদ্রঋণের জনক’ মুহাম্মদ ইউনূসের গড়া একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷ মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে কয়েক মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া শোধ না করার অভিযোগ আনা হয়েছে৷

Weltwirtschaftsforum Davos 2016 - Muhammad Yunus, Friedensnobelpreisträger
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Euler

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোনের এক তৃতীয়াংশ শেয়ারের মালিক গ্রামীণ টেলিকম৷ এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী দাবি করেছেন, প্রতিষ্ঠানটির লাভের অংশ কর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করা হয়নি৷ প্রতিষ্ঠানটির দশজন বর্তমান ও সাবেক কর্মী গ্রামীণ টেলিকম এবং মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷ মুহাম্মদ ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখায় ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয় করেছিলেন৷

বাদীপক্ষের আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ জানিয়েছেন, গ্রামীণ টেলিকম গত দশকে ২৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা করলেও কর্মীদের তার কোনো শেয়ার দেয়নি৷ ‘‘শ্রম আইন অনুযায়ী, গ্রামীণ ফোনের অবশ্যই নেট মুনাফার পাঁচ শতাংশ প্রতিষ্ঠানটির কর্মী এবং সরকারকে দিতে হবে’’, বলেন তিনি৷

আইনজীবী আরো বলেন, ‘‘২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল সময়কালে এটার বকেয়া হচ্ছে ১৩ দশমিক চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার আশি শতাংশ সমানভাবে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান এবং সাবেক কর্মীদের দিতে হবে৷’’

গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান মামলা লড়বে৷ আশরাফুল হাসান নিজেও এ মামলার আসামী৷ গ্রামীণ টেলিকম যা মুনাফা করেছিল তা পুনরায় প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি দাবি করেন মামলাকারীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন৷

তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্রঋণ দিতে ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ তবে ২০১১ সালে ব্যাংকটির পরিচালকমণ্ডলী থেকে ইউনূসকে সরিয়ে দেয়া হয়৷ অনেকের ধারনা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাওয়ায় ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল৷ ২০০৭ সালে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইউনূস, যা নিয়ে হাসিনার সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়৷ ইউনূস অবশ্য পরবর্তীতে রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন৷

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তাঁকে অপসারণের বিরুদ্ধে অবশ্য সর্বোচ্চ আদালতেও গিয়েছিলেন ইউনূস, কিন্তু আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেননি৷ ২০১৩ সালে ইউনূস রাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট ‘হেট ক্যাম্পেইনেরও’ শিকার হন৷ তাঁকে তখন অনৈসলামিক এবং সমকামিতার বিস্তারক হিসেবে আখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল৷

এআই/এসিবি (এএফপি)

প্রিয় পাঠক, এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ