1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুভ জন্মদিন হাইনরিশ ব্যোল

মারুফ আহমদ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

জার্মান যুদ্ধোত্তর সাহিত্য অঙ্গনের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হাইনরিশ ব্যোল৷ বিশ্বব্যাপী তাঁর সাহিত্যকর্ম সমাদৃত৷ ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্রের একজন লেখক হিসাবে ১৯৭২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ব্যোল৷ আজ তাঁর জন্মদিন৷

ছবি: picture-alliance/dpa

পুরো নাম: হাইনরিশ টেওডর ব্যোল

জন্ম: ২১শে ডিসেম্বর, ১৯১৭, কোলোন, জার্মানি

মৃত্যু: ১৬ই জুলাই, কোলোন, ১৯৮৫

পেশা: লেখক, অনুবাদক

বাবা: ভিক্টর ব্যোল

মা: মারিয়া

স্ত্রী: আনেমারি ( ১৯৪২ – ৮৫)

সন্তান: তিন ছেলে

খুব উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম: দ্য ক্লাউন, গ্রুপ পোর্ট্রেট উইথ লেডি, দ্য লস্ট অনার অফ কাটারিনা ব্লুম

ব্যোলের সাহিত্যে সাধারণ মানুষের উপর নাৎসি শাসনের প্রভাব, যুদ্ধ ও তার ফলাফল, বাস্তব ও মানসিক পীড়া প্রকাশ পেয়েছে গভীরভাবে৷ সাধারণ মানুষই তাঁর উপন্যাসের নায়ক৷ খল চরিত্ররা মূলত সরকারি কর্তৃপক্ষ, ব্যবসা এবং গির্জার প্রতিনিধি৷ তাঁদের প্রথানুবর্তিতা, সাহসিকতার অভাব, আত্মতৃপ্ত মনোভাব এবং ক্ষমতার অপব্যবহার, এ সব তিনি কখনো কৌতুকপূর্ণভাবে, কখনো বা বিদ্রুপাত্মকভাবে প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর দক্ষ অথচ সহজ ভাষাশৈলি জার্মানির বাইরেও তাঁকে জনপ্রিয় করেছে৷ জার্মানিতে এখনো জনপ্রিয় তাঁর লেখা৷

কোলনের অদূরের সেই বাড়িছবি: picture-alliance/dpa

জন্মস্থান কোলোনেই বড় হয়েছেন ব্যোল৷ বাবা-মা ছিলেন ধর্মপ্রাণ, কিন্তু উদার রোমান ক্যাথলিক৷ ছোটবেলা থেকেই মানবতাবাদী আদর্শের শিক্ষা পেয়েছেন তিনি৷ স্কুল জীবনে হিটলারের যুবদলে যোগ দিতে অস্বীকার করেন৷ কোলোন বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান বিভাগে পড়াশোনা শুরু করার আগে বন শহরে একটি বইয়ের দোকানে শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করেছেন৷ এ সময়ই লেখার প্রতি তাঁর আগ্রহ দেখা দেয়৷ ১৯৩৯ সালে জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য হন ব্যোল৷ যুদ্ধ চলাকালে চারবার আহত হয়েছেন তিনি৷ যুদ্ধ শেষে ১৯৪৫ সালে প্রচণ্ড যুদ্ধবিরোধী মনোভাব নিয়ে ফিরে আসেন কোলোনে৷ তারপরই সাহিত্যে জীবন উৎসর্গ করেন তিনি৷ ১৯৪৭ সালে প্রকাশ পায় তাঁর প্রথম একটি ছোটগল্প৷ দু বছর পর প্রকাশিত হয় প্রথম উপন্যাস ‘ডেয়ার সুগ ভার প্যুংক্টলিশ' বা ‘দ্য ট্রেন ওয়াজ অন টাইম'৷ পূর্ব সীমান্তে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন একজন সৈনিক৷ নিজের মৃত্যুর হাতছানি দেখতে পাচ্ছেন তিনি৷ এই উপন্যাসের পর থেকেই সমালোচকদের প্রশংসা ও জনপ্রিয়তা দ্রুত অনুসরণ করে ব্যোলের সাহিত্য জীবনকে৷

পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর কাজে৷ যুদ্ধোত্তর জার্মানির উৎপাদন ভিত্তিক সমাজ, মানুষের মূল্যবোধ, নৈতিক অন্ধত্ব ও ভোগবাদ – এ সবকিছুই খুব সহজভাবে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর সাহিত্যকর্মে৷ ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্রের একজন লেখক হিসাবে ১৯৭২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ব্যোল৷ ১৯৭৪ সালে তাঁর সাড়া জাগানো ও বিতর্কিত উপন্যাস ‘ডি ফ্যারলোরেনে এয়ারে ডেয়ার কাটারিনা ব্লুম' বা ‘দ্য লস্ট অনার অফ কাটারিনা ব্লুম' আন্তর্জাতিক খ্যাতি পায়৷ এই উপন্যাস বাংলায় ভাষান্তর করেছেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক আবুল মোমেন৷

তাঁর মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠিত হয় ‘হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশনছবি: picture-alliance/dpa

৩০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর সাহিত্যকর্ম৷ একাধিক উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র হয়েছে৷ কোলোনের অদূরে লাঙেনব্রয়েশ-এর সুন্দর ছায়াঢাকা একটি বাড়িতে ছুটি কাটাতেন ব্যোল৷ বিভিন্ন দেশের শিল্পী-সাহিত্যিক, বিশেষ করে স্বদেশে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার যারা, তাঁরা আশ্রয় পেতেন এই বাড়িতে৷ ৬৭ বছর বয়সে এ বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন হাইনরিশ ব্যোল৷ তাঁর মৃত্যুর পর এই বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশন', যা সবুজ দলের সঙ্গে যুক্ত৷ এখনো বৃত্তি নিয়ে এলে সেখানে ওঠেন শিল্পী, সাহিত্যিকরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ