1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৬৩তম নোবেল বিজয়ী সম্মেলন

জাহিদুল হক৬ জুলাই ২০১৩

একসঙ্গে ৩৪ জন নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে আড্ডা দিলেন সারা বিশ্ব থেকে আসা প্রায় সাড়ে ছয়শো তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষক৷ জার্মানির দক্ষিণের ছোট্ট দ্বীপ-শহর লিন্ডাউতে শেষ হলো ৬৩তম নোবেল বিজয়ী সম্মেলন৷

ছবি: Rolf Schultes

৩০ জুন থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলন শেষ হয়েছে ৫ জুলাই, শুক্রবার৷ প্রতিবছর আয়োজিত এই সম্মেলনের এবারের বিষয় ছিল রসায়ন৷ তাই এই বিষয়ের নোবেল বিজয়ীরাই এসেছিলেন এবার৷ এমনকি, অংশ নেয়া তরুণ প্রজন্মও রসায়ন নিয়েই কাজ করছেন৷

বাংলাদেশ থেকে তিনজন তরুণ গবেষক উপস্থিত ছিলেন সম্মেলনে৷ তাঁদের একজন মো: নুরুজ্জামান খান৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়নে এমএস করে বর্তমানে জার্মানির হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিএনএ নিয়ে গবেষণা করছেন৷

মো: নুরুজ্জামান খানছবি: DW/M. Haque

সম্মেলন শেষে কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে৷ তিনি বলেন, লিন্ডাউতে গিয়ে তাঁর দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ কারণ বিশ্বখ্যাত সব বিজ্ঞানীর সঙ্গে মতবিনিময় করা সম্ভব হয়েছে৷ শোনা গেছে তাঁদের অভিজ্ঞতা৷ জানানো গেছে নিজের কাজ সম্পর্কেও৷ ‘‘ব্যক্তিগতভাবে আমি কথা বলতে পেরেছি গেরহার্ড এর্টেলরব্যার্ট হুব্যার এর সঙ্গে৷ তাঁরা মোটামুটি আমার গবেষণার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন৷ তাই আমি নিজের গবেষণা বিষয়ে তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি৷'’

নুরুজ্জামান বলেন, ‘‘বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখার পর নোবেল বিজয়ীরা বারবার আমাদের কাছ থেকে মন্তব্য জানতে চেয়েছেন৷ এর ফলে তাঁদের সঙ্গে আমরা সহজে যোগাযোগ করতে পেরেছি৷ এছাড়া, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের বক্তব্যও তাঁদের জানাতে পেরেছি৷''

সম্মেলন চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন সকালে নোবেল বিজয়ীদের সঙ্গে নাস্তার আয়োজন করা হয়েছিল, যার নাম ‘সায়েন্স ব্রেকফাস্ট'৷ অর্থাৎ নাস্তার ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা৷ এতে করে তরুণ বিজ্ঞানীরা নোবেল বিজয়ীদের আরো কাছাকাছি যেতে পেরেছেন৷

লিন্ডাউ সম্মেলনের কারণে সারা বিশ্ব থেকে আসা তরুণ গবেষকরা নিজেদের মধ্যেও আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছেন৷ ফলে একই বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন, এমন সব তরুণ বিজ্ঞানীরা একে অপরের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতে পেরেছেন৷ ‘‘এমন অনেক তরুণ বিজ্ঞানীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে যাঁদের সঙ্গে ভবিষ্যতেও আলোচনা করা যাবে,'' বলেন নুরুজ্জামান৷

তিনি ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক ড. আবু বিন ইমরান ও ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক তসলিম উর রশিদ

এর মধ্যে ইমরান জাপানে পিএইচডি করার সময় এক বিশেষ ধরনের জেল উদ্ভাবন করেন, যেটা রোগ নির্ণয় ও হাড়ের তরুণাস্থি চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারবে৷ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়ন বিষয়ে পড়াশোনা করা তসলিম রশিদের গবেষণার বিষয় চিংড়ির খোসা৷ তিনি খোসায় থাকা এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থেকে এমন একটি বিষয় উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন, যেটা চর্বি জাতীয় খাবার খেলেও তার ক্ষতির পরিমাণটা কমাতে সহায়তা করবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ