অতিদরিদ্র মোকাবেলা নিয়ে গবেষণা করে চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ তিন অর্থনীতিবিদ৷
বিজ্ঞাপন
এই গবেষণার জন্য যেসব মডেল তাঁরা অনুসরণ করেছেন তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্র্যাকের উদ্ভাবিত ‘আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন’ কর্মসূচি৷ দারিদ্র্য দূরীকরণে সাফল্যের কারণে যা এখন ৪০ টি দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে৷
২০০২ সালে দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশে একটি প্রকল্প হাতে নেয় ব্র্যাক৷ উদ্দেশ্য অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়ন৷ ক্ষুদ্র ঋণসহ দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচলিত যেসব প্রকল্প ছিল এটি তার চেয়ে আলাদা৷ ঋণ বা অর্থ সহায়তা দিয়েই এখানে দায়িত্ব শেষ হয় না৷ তার বদলে প্রয়োজনের ভিত্তিতে অতিদরিদ্রদের গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী, নৌকার মতো বিভিন্ন সম্পদ দেয়া হয়, যা দিয়ে তারা উপার্জন করতে পারেন৷ থাকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, নিশ্চিত করা হয় স্বাস্থ্যসেবাও৷ পাশাপাশি ব্র্যাকের কর্মীরা নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করেন যাতে কেউ কোনো সমস্যায় না পড়ে৷ পরবর্তীতে মূল্যায়ন পরীক্ষায় দারিদ্র্য দূরীকরণে এই প্রকল্পটির সাফল্য প্রমাণিত হয়৷
যেসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবচেয়ে বেশি নোবেল
পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা ও অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীরা ওই সময় যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তার ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশ করছে নোবেল প্রাইজ অর্গানাইজেশন৷ তবে এই তালিকায় সাহিত্য ও শান্তি পুরস্কার পাওয়া নোবেলজয়ীদের রাখা হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
হাভার্ড ২৭
যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব মিলিয়ে ২৭ জন নোবেল পেয়েছেন৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নোবেলজয়ীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. McCollester
ক্যালটেক ১৯, এমআইটি ১৯
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ক্যালটেক) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে ১৯ জন করে নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.Chiu
তিন বিশ্ববিদ্যালয় ১৮টি করে
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮ জন করে নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. T. Werner
কলম্বিয়া ১৭, ক্যামব্রিজ ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৭ জন করে নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: Imago/Xinhua
প্রিন্সটন ১৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ জন নোবেল পেয়েছেন৷ সর্বোচ্চ নোবেলপ্রাপ্তির তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান পঞ্চম৷
ছবি: Smallbones
রকফেলার ১২
যুক্তরাষ্ট্রের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত ১২ জন নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
এমআরসি ল্যাবরেটরি অব মোলিকিউলার বায়োলজি ৯
যুক্তরাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নয় জন নোবেল পেয়েছেন বলে নোবেল প্রাইজ অর্গ্যানাইজেশন জানিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/ dpa
কর্নেল ৮, অক্সফোর্ড ৮
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে আটজন করে নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
8 ছবি1 | 8
ব্র্যাকের উদ্ভাবিত মডেলটি কি বাংলাদেশের বাইরেও দারিদ্র্য দূরীকরণে কাজে লাগবে? চিকিৎসাশাস্ত্রে বহুলব্যবহৃত ‘র্যান্ডমাইজ়ড কন্ট্রোল ট্রায়াল’ এর মাধ্যমে সেটিই পরীক্ষা করতে চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-এমআইটির অভিজিৎ ব্যানার্জি আর এসথার ডুফলো৷ এজন্য ব্র্যাকের অনুসরণে ছয়টি দেশের স্থানীয় এনজিওগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত একই ধরণের প্রকল্প বেছে নেন তারা৷ তাদের সহযোগিতা দেয় এমআইটির আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশন ল্যাব এবং ইনোভেশনস ফর পভার্টি অ্যাকশন নামের একটি অলাভজনক সংস্থা৷ গবেষণাটি প্রকাশ হয় ২০১৫ সালে৷ পরবর্তীতে এ নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয় গবেষণাধর্মী জার্নাল ন্যাচার ও ইকোনমিস্টে৷
প্রতিবেদনগুলো অনুযায়ী, অভিজিৎ ও তাঁর সহকর্মীরা গবেষণার জন্য দুইটি দল বেছে নেন, একটি প্রকল্পের অধীনে থাকা পরিবারগুলো অন্যটি এই সুবিধার বাইরে থাকা অতিদরিদ্ররা৷ দুইবছর পর তারা পরীক্ষা করে দেখেন দুই দলের মধ্যে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়েছে কীনা৷ ফলাফলে দেখা যায় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারীদের খাদ্য গ্রহণের পরিমান পাঁচ ভাগ বেড়েছে, বেড়েছে আয়ের পরিমানও৷ সেইসাথে তাদেরকে যেসব সম্পদ দেয়া হয়েছিল তার মূল্যও ১৫ ভাগ বেড়েছে৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এই কর্মসূচী শেষ হওয়ার এক বছর পর খোঁজ নিয়েও তাদের স্বচ্ছল জীবন যাপনের চিত্র পেয়েছেন তারা৷ ছয়টি দেশের ১০ হাজার দরিদ্র পরিবারের উপর গবেষণাটি চালানো হয়েছিল সাত বছর ধরে৷
সবচেয়ে বেশি নোবেলজয়ীর জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়
জার্মানির যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি নোবেলজয়ী জড়িত ছিলেন তার একটি তালিকা ছবিঘরে তুলে ধরা হচ্ছে৷
মোট ছয়টি বিষয়ে নোবেল দেয়া হয়৷ এরমধ্যে পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসাবিদ্যা ও অর্থনীতিতে যাঁরা নোবেল পেয়েছেন তাঁদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে নোবেল প্রাইজ অর্গানাইজেশন৷ নোবেল পাওয়ার সময় তাঁরা যেসব বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্সটিটিউট বা কোম্পানির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, শুধু সেই তথ্য দেয়া হয়েছে৷ তালিকায় সাহিত্য ও শান্তি পুরস্কার পাওয়া নোবেলজয়ীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
হুমবল্ট ইউনিভার্সিটি অফ বার্লিন, সাতজন
জার্মানির বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিদ মাক্স প্লাংক হুমবল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময় ১৯১৮ সালে নোবেল পেয়েছিলেন৷ তিনিসহ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট সাতজন নোবেল পেয়েছেন৷ এর মধ্যে দুটি পদার্থবিদ্যায়, বাকিগুলো রসায়নে৷
ছবি: AP
হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, সাতজন
চারটি রসায়ন, দুটি পদার্থ ও একটি চিকিৎসাবিদ্যা মিলিয়ে ১৩৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সাতজন নোবেল পেয়েছেন৷
১৭৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট পাঁচজন নোবেল পেয়েছেন৷ এর মধ্যে রসায়নে তিনজন৷ বাকি দুজনের একজন পদার্থে, অন্যজন চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়, চারজন
এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে তিনজন ও পদার্থবিদ্যায় একজন নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/OSKARQ/RelaXimages
দুটি করে নোবেল
হাইডেলব্যার্গের ক্যানসার রিসার্ট সেন্টার ও মাক্স-প্লাংক ইন্সটিটিউট ফর চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র, বার্লিনের মাক্স-প্লাংক ইন্সটিটিউট ফর ফিজিক্স, কিল ইউনিভার্সিটি, লাইপশিস বিশ্ববিদ্যালয় ও মিউনিখের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ছবি) প্রতিটি থেকে দুজন করে নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: Imago/Westend61
6 ছবি1 | 6
অভিজিৎদের গবেষণায় ব্র্যাকের মডেলের ভূমিকা
সব মিলিয়ে গত ১৬ বছর ধরে অতিদরিদ্র দূরীকরণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন অভিজিৎ, এসথার ডুফলো ও সেনথিল মুলাইনাথান৷ সেখান থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু যুগান্তকারী চিন্তাধারা, যার সাম্প্রতিকতম ফল ২০১৯ সালে প্রকাশিত অভিজিৎ ও এসথারের ‘হোয়াট দ্য ইকোনোমি নিডস নাও’ শীর্ষক বইটি৷ নোবেল কমিটি তাদের ঘোষণায় বলেছে, গোটা বিশ্বে দারিদ্র্য দূরীকরণে তাঁরা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান হাজির করেছেন৷ সেই সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা ভিত্তিক গবেষণা পদ্ধতিটি উন্নয়ন অর্থনীতিতেও নতুন এক ধারার জন্ম দিয়েছে৷
২০১১ সালে তাঁরা ‘পুওর ইকোনমিক্স' বইটি প্রকাশ করেন, যা ‘গোল্ডম্যান স্যাকস বিজনেস বুক অফ দ্য ইয়ার' পুরস্কার পায়৷ তবে অভিজিৎ এবং তাঁর সহকর্মীদের কাজ সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে ২০১৫ সালে ব্র্যাকের উদ্ভাবিত মডেল নিয়ে গবেষণাটি প্রকাশের পরে৷
ব্র্যাকের আলট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের প্রধান রোজিনা হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘অভিজিৎ ও তাঁর সহযোগী গবেষকবৃন্দের দারিদ্র্য বিষয়ক গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্র্যাকের আলট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন মডেলটি৷ তাছাড়া বিভিন্ন দেশের স্থানীয় পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে সেখানকার চরম দরিদ্র মানুষের অবস্থা পরিবর্তনে কীভাবে কাজে লাগানো সম্ভব সে বিষয়ে তাঁদের গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছে৷’’
রোজিনা জানান, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ৪৭টি জেলায় ২০ লাখের বেশি পরিবার তাদের এই কর্মসূচির সুফল পেয়েছে৷ এর কার্যকারিতা প্রমাণ হওয়ায় ৪০ টিরও বেশি দেশে এই মডেলটি স্থানীয় বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে৷ বিভিন্ন দেশে এসব প্রকল্পের কিছু ব্র্যাক নিজে বাস্তবায়ন করছে, বাকিগুলো করছে সেসব দেশের সরকার অথবা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা৷
মুসলিম নোবেল বিজয়ীরা
১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে৷ তবে প্রথম মুসলমান নোবেলজয়ীর দেখা পাওয়া যায় ১৯৭৮ সালে৷ এখন পর্যন্ত ১২ জন মুসলিম নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP
আনোয়ার আল-সাদাত, ১৯৭৮
মিশর আর ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি স্থাপনে ১৯৭৮ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ তাই মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল-সাদাত ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাখেম বেগিন নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন৷ ফলে প্রথম মুসলিম নোবেলজয়ী হন আনোয়ার আল-সাদাত৷
ছবি: Getty Images
মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, ১৯৭৯
ইলেক্ট্রোউইক তত্ত্বের জন্য পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পান পাকিস্তানের আব্দুস সালাম৷ সঙ্গে ছিলেন স্টিভেন ওয়াইনবার্গ ও শেল্ডন লি গ্ল্যাশো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নাগিব মাহফুজ, ১৯৮৮
সাহিত্যে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম হলেন মিশরের মাহফুজ৷ ৩৪টি উপন্যাস, সাড়ে তিনশ’র বেশি ছোটগল্প, কয়েক ডজন চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Bildarchiv
ইয়াসির আরাফাত, ১৯৯৪
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনায় অবদান রাখায় শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইয়াসির আরাফাত, শিমন পেরেস ও ইৎশাক রাবিন৷
ছবি: Getty Images
আহমেদ জেওইল, ১৯৯৯
প্রথম মুসলিম রসায়নবিদ হিসেবে নোবেল পান মিশরের জেওইল৷
ছবি: Imago Images/Xinhua/K. Ahmad
শিরিন এবাদি, ২০০৩
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের জন্য শান্তিতে নোবেল পান ইরানের শিরিন এবাদি৷
ছবি: Shirin Ebadi
মোহামেদ এল বারাদেই, ২০০৫
সামরিক কাজে পরমাণু শক্তির ব্যবহার প্রতিরোধ এবং পরমাণু শক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখায় মিশরের কূটনীতিক মোহামেদ এল বারাদেই ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ-কে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়৷
ছবি: imago stock&people
মুহাম্মদ ইউনূস, ২০০৬
দরিদ্র জনগণের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখায় শান্তিতে নোবেল পান বাংলাদেশের ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক৷
ছবি: Getty Images/S. Vlasic
ওরহান পামুক, ২০০৬
‘মাই নেম ইজ রেড’ ও ‘স্নো’র মতো উপন্যাসের লেখক তুরস্কের পামুক৷ নোবেল পাওয়া প্রথম তুর্কি নাগরিক তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Anadolu Agency/A. CoÅkun
তাওয়াক্কুল কারমান, ২০১১
নারীর নিরাপত্তা ও নারীর অধিকারের জন্য অসহিংস আন্দোলন করায় আরও দুই নারীর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইয়েমেনের কারমান৷ নোবেল পাওয়া প্রথম আরব নারী ও একমাত্র ইয়েমেনি নাগরিক তিনি৷
ছবি: dapd
মালালা ইউসুফজাই, ২০১৪
সবচেয়ে কম বয়সি নোবেলজয়ী হচ্ছেন পাকিস্তানের ইউসুফজাই৷ মেয়েদের শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখায় এই খেতাব পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/Pacific Press/L. Roberto Lima
আজিজ সানজার, ২০১৫
ডিএনএ সংশোধন নিয়ে কাজ করায় থমাস লিন্ডাল ও পল মডরিচের সঙ্গে যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পান তুরস্কের সানজার৷