নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ডনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করলেন এক নরওয়ের রাজনীতিবিদ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনের মাত্র দুই মাস আগে স্বস্তির খবর পেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। নরওয়ের অতি দক্ষিণপন্থী এক রাজনীতিবিদ তাঁর নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেছেন। সম্প্রতি ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সংযোগ তৈরির জন্য এই মনোনয়ন বলে দাবি করা হয়েছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিতর্কিত বিজয়ীরা
ইয়াসির আরাফাত থেকে জাতিসংঘ– কেন তারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন? প্রায় প্রতি বছর অসলোতে ঘুরেফিরে এই প্রশ্ন ওঠে৷ এমন কয়েকজন শান্তিতে নোবেলজয়ীকে নিয়েই এই ছবিঘর..
ছবি: Getty Images
দীর্ঘদিনের আলোচনা
১৯০১ সালে যখন প্রথম সুইজারল্যান্ডের হেনরি ডুনান্ট (বামে) এবং ফ্রান্সের ফ্রেডেরিক প্যাসিকে (ডান দিকে) নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়, তখনই এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল নোবেল কমিশন৷ ডুনান্ট আন্তর্জাতিক রেড ক্রস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং প্যাসির সঙ্গে একযোগে জেনেভা কনভেনশনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ নোবেল কমিশনের আশঙ্কা ছিল, যুদ্ধকে মানবিক করার কথা বলে জেনেভা কনভেনশন হয়ত যুদ্ধের গ্রহণযোগ্যতাই বাড়িয়ে দেবে৷
ছবি: public domain
যুদ্ধবাজ এবং শান্তিকামী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টকে কখনোই খুব শান্তিকামী হিসেবে দেখা যায়নি৷ তিনি স্পেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আহ্বান করেছিলেন৷ এরপর উপনিবেশবাদ থেকে কিউবাবাসীদের মুক্ত হতে সাহায্য করেন৷ তবে মার্কিন সেনাবাহিনী গিয়েই প্রথমে নিশ্চিত করেন যে, ওই ভূখণ্ডটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷তবে রুশ-জাপান যুদ্ধের সময় শান্তির উদ্যোগের জন্য রুজভেল্ট শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান৷
ছবি: Getty Images
বর্ণবাদী শান্তিকামী
‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠা’য় অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ২8 তম প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনকে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়৷ তবে তিনি সব সময়ই সাদা চামড়ার মানুষদেরই সেরা মনে করতেন৷ সেকারণেই যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সাদাদের স্বর্গরাজ্য’ বানাতে চেয়েছিল ‘কু ক্লুক্স ক্ল্যান’ নামের যে প্রতিষ্ঠানটি, তাদের পক্ষে ছিলেন উইলসন৷
ছবি: Getty Images
শান্তি ছাড়াই শান্তি পুরস্কার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ও ভিয়েতনামের পলিটব্যুরোর সদস্য লি ডুক থো ১৯৭৩ সালে প্যারিস শান্তি চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন৷যুদ্ধ বন্ধের জন্যই এ চুক্তি করা হলেও ডুক থো পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানান, কেননা চুক্তি হলেও যুদ্ধ তখনো থামেনি৷চুক্তি সম্পাদনের দু’ বছর পরেও ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়াতে সংঘাত চলেছে৷
ছবি: picture-alliance
অভ্যুত্থানকারীর ভাগ্যেও শান্তি পুরস্কার
মিশর-ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় একমত হয়ে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল সাদাত (বামে) ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন (ডানে)৷ ১৯৭৮ সালে এ কারণে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয় তাঁদের৷ সাদাতের এই পুরস্কার সে সময় বেশ আলোড়ন তোলে৷ কারণ, ১৯৫২ সালে বাদশাহ ফারুককে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় করেই ক্ষমতায় এসেছিলেন আনোয়ার সাদাত৷
ছবি: AFP/Getty Images
শান্তিরক্ষা এবং নোংরামি
‘দ্য ব্লু হেলমেট’ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী৷ ১৯৮৮ সালে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় তাঁদের৷ তবে নোবেল জয়ের পরই তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় নারী ও শিশুদের যৌন নির্যাতন ও তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে৷ রুয়ান্ডায় গণহত্যা এবং স্রেব্রেনিকায় ব্যাপক হত্যাকান্ডের সময় নির্লিপ্ত থাকার অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে৷
ছবি: Getty Images/A.G.Farran
দুই মুখো মানুষ
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে এফ.ডব্লিউ ডি ক্লার্ক এক সময় সে দেশে সরাসরি বর্ণবাদের পক্ষে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ পরে বর্ণবিদ্বেষ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন৷নেলসন ম্যান্ডেলাসহ ন্যাশনাল কংগ্রেসের অনেক নেতাকে মুক্তি দেন তিনি৷ তা সত্ত্বেও ১৯৯৩ সালে ম্যান্ডেলার সঙ্গে তাঁকেও শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকে৷
ছবি: Getty Images/R.Bosch
‘সন্ত্রাসী’ পেলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার!
১৯৯৪ সালের পুরস্কার নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়৷ সে বছর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রচেষ্টার জন্য ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন প্রধান ইয়াসির আরাফাত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন পেরেসকে যৌথভাবে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়৷ আরাফাতকে ‘অযোগ্য বিজয়ী’ আখ্যায়িত করে এর প্রতিবাদে নোবেল কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন নরওয়ের এক রাজনীতিবিদ৷
ছবি: Getty Images
জাতিসংঘও পেয়েছে শান্তি পুরস্কার
‘আরো ভালো এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্ব’ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য ২০০১ সালে জাতিসংঘ ও এর মহাসচিব কোফি আনানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয৷ তবে অনেকগুলো চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়নে ব্যর্থতার কারণে তাদের ব্যাপক সমালোচনা তাতে থামেনি৷
ছবি: Reuters
বারাক ওবামার আগাম জয়ের মালা
‘আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং জনগণের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে অসাধারণ ভূমিকার জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার নয় মাসের মাথায় পুরস্কার পান ওবামা৷ সমালোচকরা মনে করেন, বড্ড তড়িঘড়িই এসেছিল পুরস্কারটি৷ পরে তিনি আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করতে সামরিক হস্তক্ষেপ অনুমোদন করেছিলেন, যা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী হওয়ায় ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়৷
ছবি: Reuters/C. Barria
যুদ্ধাপরাধে সহায়তাকারী থেকে নারী অধিকার কর্মী
হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও নির্যাতনের হাজার হাজার মামলাসহ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস টেইলর৷ তার সরকারের অর্থমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হওয়া এলেন জনসন সিরলেফের বিরুদ্ধেও টেইলরকে ওইসব কর্মকাণ্ডের সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে৷২০১১ সালে ‘নারীদের নিরাপত্তার জন্য অহিংস সংগ্রাম’ এর কারণে সিরলেফকেও দেয়া হয় শান্তি পুরস্কার৷
ছবি: T. Charlier/AFP/Getty Images
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুরস্কারও বিতর্কের ঊর্ধে নয়
শরণার্থী ক্যাম্পে বেশ অমানবিক অবস্থার জন্য বহু বছর ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বাস্তু নীতির সমালোচনা করে আসছেন মানবাধিকার কর্মীরা৷ তারপরও ‘শান্তি, মীমাংসা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকার জন্য’ ২০১২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও দেয়া হয় নোবেল শান্তি পুরস্কার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
12 ছবি1 | 12
ডনাল্ড ট্রাম্প কতটা শান্তিপ্রিয়, তা নিয়ে বহু বিতর্ক আছে। সাম্প্রতিক অতীতে যে ভাবে গোটা অ্যামেরিকা জুড়ে বর্ণবাদ বেড়েছে, যে ভাবে একের পর এক কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ হত্যা করেছে, তাতে ট্রাম্পকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, ট্রাম্প বর্ণবাদকে সমর্থন করছেন। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তো বলছেনই না, বরং তাদের সমর্থন করছেন। বস্তুত এর আগেও একাধিকবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিভাজনের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতায় আসার পরেই প্রকাশ্যে মুসলিম বিদ্বেষের কথা বলেছেন তিনি। শরণার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন। মেক্সিকো সীমান্তে পাঁচিল তোলার কথা বলেছেন।
এখানেই শেষ নয়, করোনা কালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চীন বিরোধী রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে। করোনা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকে দায়ী করেছিলেন ট্রাম্প। এক সময় করোনাকে চীনা ভাইরাস বলেও সম্বোধন করেছেন তিনি। নির্বাচনের আগে দেশ থেকে চীনা ছাত্রদের বার করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি। বাতিল করা হচ্ছে তাঁদের ভিসা। বেশ কয়েকটি চীনা কনসুলেট বন্ধ করে দিয়েছেন। করোনা কালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফান্ডিং বন্ধ করে দিয়েছেন।
অতি বড় ট্রাম্প সমর্থকও প্রেসিডেন্টকে শান্তিপ্রিয় বলতে রাজি হবেন না। বরং তাঁর উল্টো চরিত্র বলেই দেশের এক শ্রেণির জনগণের কাছে ট্রাম্প জনপ্রিয়। বাধ বিচার না করে ট্রাম্প যে কোনও কথা বলে দিতে পারেন, এই ভাবমূর্তিটিই প্রেসিডেন্টের ইউএসপি ছিল।
কিন্তু নরওয়ের রাজনীতিবিদের বক্তব্য, যে ভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েলকে আলোচনার টেবিলে বসিয়েছেন ট্রাম্প, তা অনস্বীকার্য এবং ঐতিহাসিক। বস্তুত এই প্রথম আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের বন্ধুত্ব তৈরি হলো। কূটনৈতিক সম্পর্কও তৈরি হলো। ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলির সম্পর্ক এর ফলে উন্নত হবে বলেই কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ মনে করছেন।
এর আগে ২০১৮ সালেও অবশ্য ওই একই ব্যক্তি ট্রাম্পের নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। সে সময় উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপনের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছিলেন তিনি।
মুসলিম নোবেল বিজয়ীরা
১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে৷ তবে প্রথম মুসলমান নোবেলজয়ীর দেখা পাওয়া যায় ১৯৭৮ সালে৷ এখন পর্যন্ত ১২ জন মুসলিম নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP
আনোয়ার আল-সাদাত, ১৯৭৮
মিশর আর ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি স্থাপনে ১৯৭৮ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ তাই মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল-সাদাত ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাখেম বেগিন নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন৷ ফলে প্রথম মুসলিম নোবেলজয়ী হন আনোয়ার আল-সাদাত৷
ছবি: Getty Images
মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, ১৯৭৯
ইলেক্ট্রোউইক তত্ত্বের জন্য পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পান পাকিস্তানের আব্দুস সালাম৷ সঙ্গে ছিলেন স্টিভেন ওয়াইনবার্গ ও শেল্ডন লি গ্ল্যাশো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নাগিব মাহফুজ, ১৯৮৮
সাহিত্যে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম হলেন মিশরের মাহফুজ৷ ৩৪টি উপন্যাস, সাড়ে তিনশ’র বেশি ছোটগল্প, কয়েক ডজন চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Bildarchiv
ইয়াসির আরাফাত, ১৯৯৪
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনায় অবদান রাখায় শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইয়াসির আরাফাত, শিমন পেরেস ও ইৎশাক রাবিন৷
ছবি: Getty Images
আহমেদ জেওইল, ১৯৯৯
প্রথম মুসলিম রসায়নবিদ হিসেবে নোবেল পান মিশরের জেওইল৷
ছবি: Imago Images/Xinhua/K. Ahmad
শিরিন এবাদি, ২০০৩
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের জন্য শান্তিতে নোবেল পান ইরানের শিরিন এবাদি৷
ছবি: Shirin Ebadi
মোহামেদ এল বারাদেই, ২০০৫
সামরিক কাজে পরমাণু শক্তির ব্যবহার প্রতিরোধ এবং পরমাণু শক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখায় মিশরের কূটনীতিক মোহামেদ এল বারাদেই ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ-কে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়৷
ছবি: imago stock&people
মুহাম্মদ ইউনূস, ২০০৬
দরিদ্র জনগণের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখায় শান্তিতে নোবেল পান বাংলাদেশের ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক৷
ছবি: Getty Images/S. Vlasic
ওরহান পামুক, ২০০৬
‘মাই নেম ইজ রেড’ ও ‘স্নো’র মতো উপন্যাসের লেখক তুরস্কের পামুক৷ নোবেল পাওয়া প্রথম তুর্কি নাগরিক তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Anadolu Agency/A. CoÅkun
তাওয়াক্কুল কারমান, ২০১১
নারীর নিরাপত্তা ও নারীর অধিকারের জন্য অসহিংস আন্দোলন করায় আরও দুই নারীর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইয়েমেনের কারমান৷ নোবেল পাওয়া প্রথম আরব নারী ও একমাত্র ইয়েমেনি নাগরিক তিনি৷
ছবি: dapd
মালালা ইউসুফজাই, ২০১৪
সবচেয়ে কম বয়সি নোবেলজয়ী হচ্ছেন পাকিস্তানের ইউসুফজাই৷ মেয়েদের শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখায় এই খেতাব পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/Pacific Press/L. Roberto Lima
আজিজ সানজার, ২০১৫
ডিএনএ সংশোধন নিয়ে কাজ করায় থমাস লিন্ডাল ও পল মডরিচের সঙ্গে যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পান তুরস্কের সানজার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Z.Akyil
12 ছবি1 | 12
প্রস্তাব মানেই পুরস্কার নয়
পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করা মানেই তাঁকে পুরস্কার দেওয়া নয়। সাধারণত কোনও দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাবেক নোবেল জয়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং নোবেল কমিটির সদস্যরা কারও নাম পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে পারেন। তারপর নোবেলের বিশেষ কমিটি সেখান থেকে সম্ভাব্য পুরস্কার প্রাপকদের বেছে নেন। ২০২০ সালের শান্তি পুরস্কারের তালিকায় তিনশ জনেরও বেশি মনোনীত ব্যক্তি আছেন।
তবে প্রস্তাবের কিছু নিয়ম আছে। কতগুলি মাপকাঠি দেখে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এই প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক অবশ্য বহুদিনের। বস্তুত এর আগে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছিল। ডনাল্ড ট্রাম্পই সে সময় টুইট করে এর বিরোধিতা করেছিলেন। অনেকেই বলেন, শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নে নানা রাজনীতি কাজ করে। বস্তুত ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও সে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে ট্রাম্প শিবির অবশ্য এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি। বস্তুত, ট্রাম্প পুরস্কৃত হলেও তা জানা যাবে ১৮ মাস পরে। তার আগে অ্যামেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্টের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক মাসে কোনও কিছুই ট্রাম্পের পক্ষে যায়নি। ফলে নোবেল নিয়ে প্রচারে নামতেই পারেন ট্রাম্পের সমর্থকরা।