1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে ঢোকার শীর্ষে বাংলাদেশি অভিবাসীরা!

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৬ মে ২০১৭

বাংলাদেশিরা নৌপথে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছেন৷ এই প্রবণতা চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট৷ পত্রিকাটি বলছে, এই কাজে জড়িত আছে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র৷

Mittelmeer Küste Libyen Rettungsaktion Flüchtlinge
ছবি: Reuters/D. Zammit Lupi

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকায় লেখা হয়েছে, ‘‘লিবিয়া থেকে নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী শরণার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যাই বেশি৷ ২০১৬ সালের প্রথম তিন মাসে মাত্র একজন বাংলাদেশি ইতালিতে প্রবেশ করলেও ২০১৭ সালে একই সময়ে এই সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে৷ এটি যে কোনও দেশ থেকে ইউরোপে প্রবেশকারীদের সংখ্যার হিসেবে সর্বোচ্চ৷''

পত্রিকাটি লিখেছে, ‘‘কিছুদিন আগ পর্যন্ত সাব-সাহারা অঞ্চলের শরণার্থীদের সংখ্যা ছিল বেশি৷ কিন্তু এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে৷''

Abrar.mp3 - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

আইওএম-র ফ্লাভিও ডি জিয়াকোমো এই বিষয়ে বলেন, ‘‘সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো অভিবাসীদের জাতীয়তা এবং বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষের সংখ্যা৷ চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ইতালিতে পৌঁছা বাংলাদেশিদের সংখ্যা ২ হাজার ৮৩১ জন৷''

ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার হওয়া শরণার্থীরা উদ্ধারকর্মীদের জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে লিবিয়া বা তুরস্ক যেতে একজনকে দশ হাজার ডলারের বেশি অর্থ দিতে হয়৷ একটি ‘এজেন্সি' তাদের লিবিয়া পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেয়৷ ওয়ার্কিং ভিসার জন্য এজেন্সিকে ৩ থেকে ৪ হাজার ডলার দিতে হয় বলেও জানিয়েছেন তারা৷

আইওএম-র এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে প্রথমে অভিবাসীদের দুবাই ও তুরস্কে নেয়া হয়৷ এরপর বিমানে করে তারা লিবিয়া পৌঁছান৷ বিমানবন্দরে কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং কাগজপত্র নিয়ে যান৷''

অনেক বাংলাদেশি দীর্ঘদিন লিবিয়াতে বাস করার পর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছেন৷ আবার অনেকেই আছেন কিছুদিন আগে সেখানে পৌঁছেছেন৷ তারা সরাসরি ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছেন৷ আইওএম-র তথ্য অনুসারে, একজন বাংলাদেশি অভিবাসীকে লিবিয়া যেতে ১০ হাজার ডলার এবং ইউরোপে যেতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার জন্য নৌকা খরচ দিতে হয় ৭০০ ডলার৷ 

‘নগ্ন করে নির্যাতন করা হয় শরণার্থীদের’

10:53

This browser does not support the video element.

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে অপসারণে সামরিক অভিযানের পর লিবিয়ায় অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা শুরু হয়৷ ইসলামিক স্টেট এবং একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ সেদেশে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে৷ বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে মানবপাচারকারীরা সক্রিয় হয়েছে এবং বিশাল অংকের অর্থ আয় করছে৷

বাংলাদেশিদের নৌপথে ইউরোপে যাওয়া প্রসঙ্গে রিফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট-এর প্রধান অধ্যাপক সি আর আবরার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বৈধপথে মাইগ্রেশনের সুবিধা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন মানুষ অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি জমান৷ এর এই অবৈধ মাইগ্রেশনের সঙ্গে দুষ্ট চক্র জড়িয়ে পড়ে৷ তারা তাদের ব্যবসা বা অর্থ আদায়ের জন্য এই চক্র তৈরি করে৷ মানুষ নানাভাবে প্রতারিত হয়৷ সরকারিভাবে লিবিয়াতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার থাকলেও তারপরও লোকজন যাচ্ছে৷ সেখান থেকে ইউরোপের গন্তব্য খুঁজছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘এই চক্রগুলো আগেও সক্রিয় ছিল৷ কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ এর আগে আমরা দেখেছি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সেখান থেকে দুবাই ও সুদান হয়ে লিবিয়া৷ আর লিবিয়া থেকে ইউরোপে ঢোকার প্রবণতা৷ এখন হয়তো সেখান থেকে একটি গ্রুপকে ইউরোপে পাঠান হচ্ছে৷''

উল্লেখ্য, লিবিয়া হয়ে নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ প্রবেশে শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য সহজ রুটে পরিণত হয়েছে৷ তবে এই বিপদসঙ্কুল পথে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতি বছর মৃত্যু হচ্ছে অনেক মানুষের

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ