1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটোর সহায়তা চায় শঙ্কিত তুরস্ক

২৭ জুলাই ২০১৫

আইএস এবং কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক৷ আত্মঘাতী হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর শুরু করা এ অভিযানের পাশাপাশি ন্যাটোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকেও বসছে দেশটি৷

Türkei Proteste wegen Luftangriffe auf Kurden in Syrien
ছবি: Getty Images/AFP/O. Kose

দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে উত্তর অ্যাটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ‘ন্যাটো’-র সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছে তুরস্ক৷ সে দেশে এক সপ্তাহব্যাপী ভয়াবহ সহিংসতার পর প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভোতলু ন্যাটোর প্রতি জরুরি বৈঠক আয়োজনের আহ্বান জানান৷ সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে সামরিক জোটটির ২৮টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবারই একত্র হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এক বিবৃতিতে ন্যাটো ইতিমধ্যে বলেছে, ‘‘(তুরস্কে) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর পরিস্থিতি খুবই খারাপ’’আর তাই এমন বৈঠক হওয়াটা সত্যিই জরুরি৷

গত কয়েকদিনে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে তুরস্ক৷ সিরিয়া সীমান্তের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় সম্প্রতি ৩২ জন মারা যায়৷ হামলাটির জন্য ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস-কে দায়ী মনে করছে তুরস্ক সরকার৷ এছাড়া তুর্কি সেনাবাহিনীর ওপরও হামলা চালিয়েছে আইএস৷ সে হামলায় এক সেনাসদস্য মারা যান৷ এরপর শুক্রবার খেকে সিরিয়া সীমান্তে আইএস-এর ঘাঁটি এবং উত্তর ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের ঘাঁটির ওপর বিমান হামলা শুরু করে তুরস্ক৷ হামলা এখনো চলছে৷

একই সঙ্গে আইএস এবং কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালাচ্ছে তুরস্কছবি: Reuters/M. Sezer

কুর্দিদের ওপর হামলার ফলে ২০১৩ সাল থেকে তুরস্ক সরকার এবং কুর্দি বিদ্রোহী সংগঠন পিকেকে-র মধ্যে যে শান্তি চুক্তি হয়েছিল তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেল৷ রবিবার পিকেকে জানিয়েছে, তুরস্ক হামলা শুরু করায় দু’বছর আগের শান্তি চুক্তিটির আর কোনো কার্যকারিতা নেই৷

বিমান হামলার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপক ধরপাকড়ও শুরু করেছে তুরস্ক৷ শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮৫১ জনকে গ্রেপ্তারের কথা সরকারি সূত্রই নিশ্চিত করেছে৷ গ্রেপ্তারকৃতরা আইএস, পিকেকে অথবা মার্ক্সবাদী দল ‘ডিএইচকেপি-সি’-র সমর্থক বলে জানানো হয়েছে৷

এদিকে রবিবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভোতলুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জার্মানি তুরস্কের পাশে থাকবে৷ তবে পিকেকে-র প্রসঙ্গে ম্যার্কেলের প্রত্যাশা, তুরস্ক যেন ‘‘সব রকমের জটিলতা সত্ত্বেও কুর্দিদের সঙ্গে শান্তির প্রক্রিয়া’’ অব্যাহত রাখে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ