1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটোর সবচেয়ে বড় আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু

১২ জুন ২০২৩

জার্মানির আকাশে সোমবার থেকে ন্যাটোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু হয়েছে৷ চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত৷ এই সময় জার্মানির আকাশে বিমান চলাচলের তিনটি এলাকা

জার্মানির আকাশে ন্যাটোর মহড়া
জার্মানির আকাশে ন্যাটোর মহড়াছবি: IMAGO/Jöran Steinsiek

সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে৷ ফলে বাণিজ্যিক বিমানগুলো ঐ এলাকা ব্যবহার করতে পারবে না৷

১৯৪৯ সালে ন্যাটো গঠনের পর ‘এয়ার ডিফেন্ডার ২৩' নামের এই মহড়াই হতে যাচ্ছে সামরিক জোটটি সবচেয়ে বড় আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া৷ এর জন্য চার বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে জার্মানি৷

মহড়ায় ২৫ দেশের সর্বোচ্চ আড়াইশ বিমান অংশ নেবে৷ এর মধ্যে মার্কিন বিমানবাহিনীর অত্যাধুনিক এফ-৩৫ স্টিলথ কমব্যাট এয়ারক্রাফটসহ ১০০টি বিমান রয়েছে৷ ন্যাটোর সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমানল হচ্ছে এফ-৩৫৷

ন্যাটো দেশগুলোর দশ হাজারের বেশি সেনা মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন৷

মহড়ার একটি অংশ হচ্ছে এয়ারফিল্ড খালি করা৷ ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল৷ এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা এই মহড়ায় অনুশীলন করা হবে৷

এছাড়া আকাশ থেকে স্থলে থাকা সেনাদের সহায়তা করা, শত্রুর ফাইটার জেটের সঙ্গে আকাশে যুদ্ধ করা, ফাইটার বোম্বার দিয়ে মাঝারি পাল্লার মিসাইল প্রতিহত করা ইত্যাদি মহড়াও অনুষ্ঠিত হবে৷ শত্রুর সাবমেরিন বা জাহাজ প্রতিহত করার অনুশীলনও করবেন সেনারা৷

১৯৪৯ সালে ন্যাটো গঠনের পর ‘এয়ার ডিফেন্ডার ২৩' নামের এই মহড়াই হতে যাচ্ছে সামরিক জোটটি সবচেয়ে বড় আকাশ প্রতিরক্ষাছবি: IMAGO/localpic

বাণিজ্যিক বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে

মহড়া চলাকালীন সময়ে ফ্লাইট পরিচালনা ঠিক রাখতে জার্মানির বিমানবন্দরগুলোর কর্মঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে৷ ‘‘এসব ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটবে না বলে আমি আশা করছি,'' বলেন জার্মানির বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা ইঙ্গো গেয়ারহারৎস৷ তবে বিমান বিলম্বে ছাড়া ও দেরি করে গন্তব্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনার বিষয়টি উড়িয়ে দিতে চাননি তিনি৷

তবে জার্মানির এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ক্লেমেন্স বলিঙ্গার ডয়চে ভেলেকে জানান, গত ৩০ বছর ধরে জার্মানির বেসামরিক ও সামরিক কন্ট্রোল টাওয়ার অপারেটররা মিলেমিশে কাজ করছেন৷ তারা একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে কাজ করছেন৷ ইউরোপের আর কোনো দেশে এমনটা করা হয় না৷ যেমন ফ্রান্সের বিমানবাহিনী তাদের সাধারণ কার্যক্রমের সময় কোনো একটি ফ্লাইট জোন পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়৷ ফলে সেইসময় কোনো বাণিজ্যিক বিমান ঐ এলাকা দিয়ে উড়তে পারে না৷

এই মহড়ার মাধ্যমে ন্যাটো প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করছেন জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের টোরবেন আর্নল্ড৷ 

এই মহড়ার মাধ্যমে ন্যাটো প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাইছেছবি: Francis Hildemann/dpa/picture alliance

ফ্রাঙ্ক হফমান/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ