মাদ্রিদে ন্যাটোর আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরুর আগেই ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছিলেন তুরস্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেনের রাষ্ট্রপ্রধান এবং ন্যাটোর প্রধান। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিজ্ঞাপন
রীতিমতো চুক্তি সই করে ন্যাটোয় ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি মেনে নিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান। মঙ্গলবার সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক হয় এর্দোয়ানের। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ন্যাটোপ্রধান জেন স্টলটেনবার্গও। দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো প্রথম বিবৃতি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদানের রাস্তা খুলে গেছে। দীর্ঘ বৈঠকের পর তুরস্ক সবুজ সংকেত দিয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পরেই তুরস্ক একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, তুরস্কের দাবিগুলি মেনে নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তুরস্ক বিষয়টিকে তাদের জয় হিসেবে দেখছে।
ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া
সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ আরও কিছু মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ ন্যাটোর সদস্য ও পার্টনার রাষ্ট্রগুলোর সেনারা এতে অংশ নিয়েছেন৷
ছবি: REMO CASILLI/REUTERS
সামরিক মহড়া
‘ডিফেন্ডার ইউরোপ’ ও ‘সুইফট রেসপন্স’ নামের দুটো সামরিক মহড়ায় ২০টি দেশের প্রায় ১৮ হাজার সেনা অংশ নিয়েছেন৷ পোল্যান্ড, নর্থ মেসিডোনিয়াসহ আটটি দেশে এসব মহড়া হয়েছে৷ ছবিতে নর্থ মেসিডোনিয়ায় ব্রিটিশ সেনাদের মহড়া করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: OGNEN TEOFILOVSKI/REUTERS
এস্তোনিয়ায় মহড়া
১৯৯১ সালের পর বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়ার সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এর নাম ‘হেজহগ’৷ ১৪ দেশের প্রায় ১৫ হাজার সেনা এতে অংশ নেন৷ ছবিতে রোমানিয়ায় ‘এক্সারসাইজ ট্রোজান ফুটপ্রিন্ট’ মহড়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে৷ রোমানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সেনারা এতে অংশ নেন৷
ছবি: REMO CASILLI/REUTERS
আরেক বাল্টিক দেশ লিথুয়ানিয়ায় মহড়া
লিথুয়ানিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘আয়রন উল্ফ’ মহড়ায় অংশ নেন তিন হাজার সেনা৷ সঙ্গে ছিল প্রায় এক হাজার সামরিক যান৷ এর মধ্যে জার্মানির লেওপার্ড ২ ট্যাংকও ছিল৷
ছবি: REMO CASILLI/REUTERS
জার্মানি
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ‘ভেটিনার হাইডে’ মহড়ায় অংশ নেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার সেনা৷
ছবি: FABIAN BIMMER/REUTERS
রাশিয়ার প্রতিবেশী ফিনল্যান্ডে
ন্যাটোর পার্টনার দেশ ফিনল্যান্ডে ‘অ্যারো ২২’ মহড়ায় ফিনিশ সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন, ব্রিটিশ, এস্তোনিয়ান ও লাটভিয়ান সেনারা৷ ছবিতে লাটভিয়ায় মহড়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: INTS KALNINS/REUTERS
পূর্ব পরিকল্পিত
ন্যাটোর মুখপাত্র ওয়ানা লুঙ্গেস্কু জানান ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু আগেই এসব মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷
ছবি: OGNEN TEOFILOVSKI/REUTERS
এয়ার ও মিসাইল ডিফেন্স
আগামী মাসে পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলোতে ‘রামস্টাইন লিগ্যাসি’ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে৷ ২৩ দেশের সেনারা এতে অংশ নেবেন৷ এটি হবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় এয়ার ও মিসাইল ডিফেন্স মহড়া৷
ছবি: KACPER PEMPEL/REUTERS
লাটভিয়ায় মহড়া
বাল্টিক দেশ লাটভিয়ায় মহড়ায় জার্মান ও ক্যানাডার সৈন্যরা অংশ নেন৷
ছবি: INTS KALNINS/REUTERS
8 ছবি1 | 8
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড সিদ্ধান্ত নেয়, তারা ন্যাটোয় যোগ দেবে। ভৌগোলিক দিক থেকে ফিনল্যান্ডের অবস্থান রাশিয়ার সীমান্তে। সুইডেন রাশিয়ার সীমান্তে অবস্থিত না হলেও খুব দূরেও নয়। দুই দেশই জানিয়েছিল, যেভাবে রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করেছে, তা দেখেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বস্তুত, এর আগে দুই দেশই পশ্চিম এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারসাম্যের রাজনীতির নীতি নিয়ে চলতো। কোনো পক্ষের প্রতিই তারা পক্ষপাতিত্ব করতো না। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ দুই দেশেরই নীতি বদলে দিয়েছে। ন্যাটোর অধিকাংশ দেশ সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডকে সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু তুরস্কের প্রধান এর্দোয়ান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এই দুই দেশের অন্তর্ভুক্তি মেনে নেবেন না। ন্যাটোর ভোটে তিনি ভেটো প্রয়োগ করবেন। এর্দোয়ানের যুক্তি ছিল, বিশেষ করে সুইডেন সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে তুরস্ককে সমর্থন করে না। তুরস্ক কুর্দ যোদ্ধাদের সংগঠন পিকেকে-কে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে দেখে। ন্যাটোর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকাতেও পিকেকে আছে। কিন্তু সুইডেন পিকেকে-কে সন্ত্রাসবাদী বলে মনে করে না। সুইডেন এই মনোভাব পরিবর্তন না করলে তুরস্ক সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি মেনে নেবে না।
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সোভিয়েত রাশিয়ার হুমকির প্রেক্ষিতে জন্ম হলেও নিজেদের উদ্দেশ্য থেকে পরে অনেকটা সরে এসেছে ন্যাটো৷ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত হলেও যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
ন্যাটোর জন্ম
১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করে ন্যাটো৷ চুক্তির পঞ্চম ধারা অনুযায়ী, ‘‘এক বা একাধিক সদস্যের উপর সশস্ত্র হামলা সবার উপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে৷’’ জন্মলগ্নে জোটের ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল তিনটি: সোভিয়েত সম্প্রসারণ ঠেকানো, উত্তর অ্যামেরিকার শক্তিশালী উপস্থিতির মাধ্যমে ইউরোপের সামরিকায়ন নিষিদ্ধ করা এবং ইউরোপে রাজনৈতিক সংহতিকে উৎসাহ দেয়া৷
ছবি: Getty Images/Keystone
কারা সদস্য
শুরুতে ১২ সদস্য নিয়ে যাত্রা করে ন্যাটো৷ ১৯৫২ সালে যোগ দেয় গ্রিস ও তুরস্ক৷ পশ্চিম জার্মানি যোগ দেয় ১৯৫৫ সালে আর ১৯৮২ সালে স্পেন৷ ১৯৯৯ সালে পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক ও হাঙ্গেরি৷ বর্তমানে জোটের সদস্য সংখ্যা ৩০৷
ছবি: AP
নিজেদের বিরোধ
ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন সময় মতভেদ তৈরি হয়েছে৷ প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটে ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সংকট নিয়ে৷ ১৯৬৬ সালে ন্যাটোর সামরিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয় ফ্রান্স এবং সে দেশ থেকে জোটের প্রধান কার্যালয় সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানায়৷ নতুন কার্যালয় বসে বেলজিয়ামে৷ তবে ফ্রান্স জোটের মধ্যেই থেকে যায় এবং সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
সামরিক উত্তেজনা
১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত রাশিয়ার হামলা এবং ইউরোপে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসে ন্যাটো৷ পাল্টা জবাব হিসেবে পশ্চিম ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় জোট৷ ১৯৮৭ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে দুই পক্ষ ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য মাঝারিপাল্লার সব ব্যালাস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নিতে সম্মত হয়, যাকে ঠান্ডা লড়াই সমাপ্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়৷
ছবি: AP
ঠান্ডা লড়াই পরবর্তী যুগ
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া ও বার্লিন দেয়ালের পতনের পর ন্যাটোর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ তবে সময়ের সাথে সাথে বরং উল্টো ন্যাটোর সম্প্র্রসারণ চলতে থাকে৷ এক দশক ধরে চলা যুগোস্লাভ যুদ্ধ ও কসভো-সার্বিয়া সংঘাতে হস্তক্ষেপ করে জোট৷ গড়ে ওঠে ন্যাটো-বহির্ভূত সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক৷
ছবি: AP
নাইন-ইলেভেন: নতুন মোড়
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর ন্যাটো সদস্যসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র আফগানিস্তানে আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়৷ ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাক যুদ্ধে সহায়তা কার্যক্রম চালায় ন্যাটো৷ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বাইরে অন্য রাষ্ট্রে সংঘাত, বিরোধেও নিজেদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে থাকে ন্যাটো৷ লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখতে থাকে৷
ছবি: Chao Soi Cheong/AP/picture alliance
রাশিয়ার সঙ্গে নতুন বিরোধ
পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে রাশিয়া৷ ইউক্রেন যাতে ন্যাটোতে যোগ না দেয় সবশেষ সেই নিশ্চয়তা দাবি করে ক্রেমলিন৷ এমন প্রেক্ষিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করেন প্রেসিডেন্ট পুটিন৷ পূর্ব ইউরোপে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ালেও এই যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত হবে না বলে জানিয়ে আসছে ন্যাটো৷ এই সংঘাত সামনে কোন দিকে মোড় নেবে তা সময়ই বলে দেবে৷
ছবি: Yasin Ozturk/AA/picture alliance
নিরাপত্তা পরিষদ
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা৷ ১৫ সদস্যের মধ্যে স্থায়ী সদস্য পাঁচ পরমাণু শক্তিধর দেশ: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র৷ তাদের সবার সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত পাস করা যায় না৷ বিপরীতভাবে কোনো সিদ্ধান্তে কেউ ভেটো দিলে তা বাতিল হয়ে যায়৷ বিভিন্ন সময়ে এই পাঁচ সদস্য তাদের স্বার্থ অনুযায়ী ভেটো ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছে৷
ছবি: Yorick Jansens/dpa/picture alliance
সবচেয়ে বেশি রাশিয়া
ভেটো ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করেছে রাশিয়া৷ ২৬৫টির মধ্যে ১১৯ বার ভেটো দিয়েছে তারা৷ ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে যত ভেটো দেয়া হয়েছে তার সবগুলোই ছিল সোভিয়েত রাশিয়ার পক্ষ থেকে৷ শীতল যুদ্ধের যুগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়ে আসছে রাশিয়া৷ ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবেও ভেটো দেয় রাশিয়া৷
ছবি: Reuters
রাশিয়ার সহযোগী চীন
চীন মোট ১৬ বার ভেটো দিয়েছে, এর মধ্যে ১৩ বারই রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে আর তিনবার এককভাবে৷ ১৯৭১ সালের ২৫ আগস্ট চীন তার প্রথম ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির বিরুদ্ধে৷
ছবি: ASSOCIATED PRESS/picture alliance
ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগে রাশিয়ার পরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ৮২ বার তারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে৷ এর অনেকগুলোই ছিল ইসরায়েলকে নিয়ে৷ মধ্যপ্রাচ্য ও ফিলিস্তিনে সংঘাত ও হামলা নিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে বরাবরই ভেটো দিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন৷ তবে ২০১৬ সালে ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালে ইসারেয়েলের বসতিস্থাপন বন্ধে আনা একটি প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকে তারা৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/A. Lohr-Jones
সহযোগী যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স
যুক্তরাজ্য ২৯ বার ও ফ্রান্স ১৬ বার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রস্তাব নাকচ করেছে তারা৷ তবে ১৯৮৯ সালের পর ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য আর ভেটো ক্ষমতার ব্যবহার করেনি৷ সেবার পানামায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল দেশ তিনটি৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
সবশেষ
নিরাপত্তা কাউন্সিলে তোলা প্রস্তাবে সবশেষ ভেটোর ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বন্ধ ও নিন্দা জ্ঞাপনের প্রস্তাব আনে কয়েক ডজন দেশ৷ তবে রাশিয়ার একার ভেটোতে তা বাতিল হয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press
13 ছবি1 | 13
গত কয়েকমাসে এনিয়ে তুরস্কে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের প্রতিনিদিদের সঙ্গে তুরস্কের একাধিক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু রফাসূত্র অধরা থেকেছে। মঙ্গলবার মাদ্রিদে ন্যাটোর বৈঠক শুরু হওয়ার আগে তিনটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ফের বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে। মধ্যস্থতা করেন ন্যাটো প্রধান। দীর্ঘ আলোচনার পর একটি চুক্তিপত্র তৈরি হয়। সেখানে তুরস্কের তোলা আপত্তিগুলি মেনে নেয় সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড। তারই ভিত্তিতে চুক্তিপত্রে সই করে সবপক্ষ। তারপরেই তুরস্ক জানায়, তাদের সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড নিয়ে আর কোনো আপত্তি নেই।
তুরস্কের বক্তব্য ছিল, পিকেকে-র সদস্যরা সুইডেনকে তাদের গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে তারা সুইডেনে গিয়ে থাকছে। এবং সেখান থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করছে। সুইডেন জানিয়েছে, পিকেকে-র বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবে। এবং তাদের দেশকে তুরস্কের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য ব্যবহৃত হতে দেবে না।
এদিকে এদিনি স্পেনের রাজসভায় ন্যাটো সদস্যদের নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠক দীর্ঘায়িত হওয়ায় তুরস্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধানরা তাতে যোগ দিতে পারেননি।