1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটো-ট্রাম্প বিতর্ক

১৮ নভেম্বর ২০২০

ন্যাটোর বক্তব্য মানতে রাজি নন ডনাল্ড ট্রাম্প। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মার্কিন সেনা ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে ফেরানোর ঘোষণা।

ছবি: Getty Images/A. Renneisen

ন্যাটোর কথা মানতে রাজি নন ডনাল্ড ট্রাম্প। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আফগানিস্তান এবং ইরাক থেকে আড়াই হাজার সৈন্য দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন তিনি। মঙ্গলবার পেন্টাগন স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ন্যাটো যা-ই বলুক, অ্যামেরিকা সিদ্ধান্ত বদলাবে না।

গত সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেছিলেন ট্রাম্প। তাঁর জায়গায় কার্যকারী প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন ক্রিস্টোফার মিলারকে। মঙ্গলবার পেন্টাগনে দাঁড়িয়ে মিলার সাংবাদিকদের জানান, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আফগানিস্তান থেকে দুই হাজার এবং ইরাক থেকে পাঁচশ সেনা দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। কয়েক দিন আগে ডনাল্ড ট্রাম্পও এই একই কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, দেশের সৈন্যদের আর বাইরে রাখা হবে না। বস্তুত, এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, বড়দিনের আগেই আফগানিস্তান এবং ইরাকের সৈন্যদের ঘরে ফিরিয়ে আনা হবে।

মিলার বলেছেন, ''অ্যামেরিকা এই সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল। সমস্ত স্ট্র্যাটেজি ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম। সেই ভাবনা থেকে সরে আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।''

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের আগেই বিরোধিতা করেছিলেন ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেছিলেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অ্যামেরিকা সহ ন্যাটোর সেনা আফগানিস্তান এবং ইরাকে কাজ করেছে। হঠাৎ করে তাদের সরিয়ে নিলে এতদিনের পরিশ্রম জলে যেতে পারে। তাঁর আশঙ্কা, তালেবানের সঙ্গে আফগান প্রশাসনের বৈঠকে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধানসূত্র মেলেনি। এই সময় ন্যাটোর সেনা আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিলে তালেবান ফের দেশের ভিতর অশান্তি তৈরি করতে পারে। ফলে আরো কিছু দিন ন্যাটোর সেনা আফগানিস্তানে থাকা উচিত। এই মুহূর্তে ন্যাটোর প্রায় ১২ হাজার সেনা আফগানিস্তানে রয়েছে। যার অধিকাংশই মার্কিন। তা ছাড়া অ্যামেরিকাই গাড়ি, বিমান, ট্যাঙ্ক সহ সমস্ত যুদ্ধের সরঞ্জাম ন্যাটোর ফৌজকে দেয়। ফলে অ্যামেরিকা সেনা সরিয়ে নিলে যুদ্ধের সরঞ্জামও ব্যবহার করতে পারবে না অন্য দেশের ন্যাটোর সেনা। বাধ্য হয়ে সকলকেই ফিরিয়ে নিতে হবে।

ট্রাম্প অবশ্য কোনো কথা শুনতেই রাজি নন। তাঁর বক্তব্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তালেবানের সঙ্গে তাঁর শান্তি চুক্তি হয়েছিল। সেখানে স্থির হয়েছিল ১৪ মাসের মধ্যে অ্যামেরিকা এলাকা থেকে সমস্ত সেনা সরিয়ে নেবে। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

মার্কিন সামরিক সচিব স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ট্রাম্প যাওয়ার আগে সৈন্য ফিরিয়ে আনতে চান। এখন দেখার জানুয়ারি মাসে বাইডেন শপথ নেওয়ার পরে নতুন করে সিদ্ধান্ত বদলান কি না।

এ দিকে পেন্টাগনে যখন এই ঘোষণা হচ্ছে, তখনই বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের পাঁচশ মিটার দূরে রকেট হামলা চালায় জঙ্গিরা। দুইটি রকেট ছোড়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও তাতে কেউ হতাহত হয়ননি। কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এখনো রকেট হামলার দায় স্বীকার করেনি।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ