ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার ন্যাটোর সমালোচনা করেছেন। ছবি: Manuel Balce Ceneta/AP/picture alliance
বিজ্ঞাপন
ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, ন্যাটোর যে সব দেশ তাদের আর্থিক দায়বদ্ধতা পালন করছে না, তাদের আক্রমণ করার জন্য তিনি রাশিয়াকে উৎসাহিত করবেন। হোয়াইট হাউস বলেছে, এই মন্তব্য ভয়ংকর ও পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।
সাউথ ক্যারোলিনায় একটি প্রচারসভায় ট্রাম্প বলেন, ''একটা বড় দেশের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমরা যদি অর্থ না দিই এবং রাশিয়া যদি আক্রমণ করে, তাহলে আপনারা কি আমাদের বাঁচাবেন?'' ট্রাম্পের জবাব হলো, ''না, আমরা আপনাদের বাঁচাব না। বরং আমরা রাশিয়াকে আরো উৎসাহিত করব, যাতে তারা যা চায়, করতে পারে। আপনাদের অর্থ দিতেই হবে। নিজেদের বিল নিজেদেরই দিতে হবে।''
ন্যাটোর চুক্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি সদস্য দেশ তাদের জিডিপি-র দুই শতাংশ প্রতিরক্ষাখাতে খরচ করবে। কিন্তু অধিকাংশ দেশই এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে না বা করতে পারে না।
বাইডেনের প্রতিক্রিয়া
৩১ দেশের সামরিক জোট নিয়ে ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
বন্ধুদের কাছে শত্রুর মতো এলেন ট্রাম্প
নির্বাচনি প্রচারে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর তোপ দেগেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের প্রতি এমন বৈরি মনোভাব দেখাবেন, তেমনটা কেউ ভাবতে পারেনি৷
ছবি: Reuters/F. Lenoir
সৌদি আরবে স্বাচ্ছন্দ্য
নির্বাচনি প্রচারে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কড়া কথা শোনালেও প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নিয়ে সে দেশকে বিশেষ মর্যাদা দিলেন ট্রাম্প৷ সেখানকার নেতাদের সঙ্গে তাঁকে বেশ খোশমেজাজে দেখা গেছে৷ ইসরায়েলেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন তিনি৷
ছবি: Reuters/J. Ernst
পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ
অ্যামেরিকায় নির্বাচনি প্রচারের সময় পোপ ফ্রান্সিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প পরস্পরের সম্পর্কে বেশ কটু কথা বলেছেন৷ তাই ভ্যাটিকান সিটিতে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতকে ঘিরে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল৷ সদা হাস্যময় ও রসিকতার জন্য পরিচিত পোপ ফ্রান্সিসের মুখচ্ছবিই তাঁর মনোভাব প্রকাশ করছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Vucci
ন্যাটো সম্মেলনে কড়া সুর
ভ্যাটিকান থেকে ব্রাসেলসে পৌঁছেই বদলে গেল ট্রাম্পের কণ্ঠ ও শরীরের ভাষা৷ ন্যাটো শীর্ষ নেতাদের সামনে এই সামরিক জোটের প্রতি সংহতি পুনর্ব্যক্ত করার বদলে তিনি ‘বকেয়া চাঁদা’ ও ‘মার্কিন করদাতাদের স্বার্থ’ নিয়ে সোচ্চার হয়ে পড়লেন৷
ছবি: Getty Images/M.Ngan
সৌজন্যবোধের অভাব
ন্যাটোর সবচেয়ে শক্তিশালী সদস্য দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও নেতাদের ভিড়ে নিজেকে জাহির করতে পিছপা হননি ট্রাম্প৷ সবাইকে পেছনে ফেলে, প্রয়োজনে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে সামনের সারিতে পৌঁছতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/M.Dunham
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি অবজ্ঞা
রাষ্ট্রজোট হিসেবে ইইউ সম্পর্কেও তাঁর অবজ্ঞা এখনো দূর হয়নি৷ মুক্ত বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা, রাশিয়ার দৌরাত্ম্যের মতো বিষয় সম্পর্কে ইইউ’র মনোভাব তিনি পছন্দ করেন না৷ শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর সেকথা সাফ জানিয়েও দিয়েছেন ট্রাম্প৷
ছবি: Reuters/F. Lenoir
জার্মানির প্রতি বিদ্বেষ
‘জার্মানরা খারাপ, খুবই খারাপ’ – ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকারের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন৷ অ্যামেরিকা ও জার্মানির মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্প শুরু থেকেই বিরক্ত৷ তবে মুক্ত বাণিজ্যের উপকার ও সার্বিক সুবিধার বদলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে চান তিনি৷
ছবি: Getty Images/M.Medina
জি-সেভেন বৈঠক
ন্যাটো ও ইইউ-র অনেক নেতার সঙ্গে আবার দেখা জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে৷ সেখানেও অ্যাজেন্ডা নিয়ে খুশি নন ট্রাম্প৷ বাকিদের সঙ্গে মতপার্থক্য বজায় রেখেই ট্রাম্প আবার ফিরে গেলেন ওয়াশিংটন৷
ছবি: Getty Images/
7 ছবি1 | 7
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্পের মন্তব্য ভয়ংকর ও পাগলের প্রলাপ। সাবেক প্রেসিডেন্ট আদতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনকে যুদ্ধ ও সহিংসতার জন্য ছাড়পত্র দিচ্ছেন। এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ''ডনাল্ড ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি আরো যুদ্ধ ও সহিংসতার জন্য, ইউক্রেনের উপর আগ্রাসন বাড়ানোর জন্য, পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলিকে আক্রমণ করার জন্য রাশিয়াকে ছাড়পত্র দিচ্ছেন। এটা ভয়ংকর এবং পাগলের প্রলাপ।''