জার্মানির সদ্য-নির্বাচিত ‘ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার’ মানুয়েল নয়ার ‘কিকার’ ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমি অবশ্যই নিজেকে ক্যাপ্টেন পদের যোগ্য বলে মনে করি৷’’ তবে নির্বাচনটা কোচ এবং অন্যান্য খেলোয়াড়দের হাতে৷
বিজ্ঞাপন
বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন ফিলিপ লাম ১৩ই জুলাই রিও ডি জানেরোর ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারানোর পাঁচ দিন পরেই ঘোষণা করেন যে, তিনি জাতীয় দলে তাঁর ক্যারিয়ারের অন্ত ঘটাচ্ছেন৷ কাজেই লামের পর কে ক্যাপ্টেন হবেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায়৷
বিশ্বকাপজয়ী জার্মান ফুটবলারদের পরিবার
জার্মান ফুটবলারদের ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী বা বান্ধবীদের ছবি সাধারণত তেমন একটা দেখা যায় না৷ তবে জার্মানি বিশ্বকাপ জেতার সাথে সাথেই তাঁরা খেলার মাঠে নেমে গেছেন৷ তাদের কিছু আলোচিত ছবি পাবেন এখানে৷
ছবি: AP
খেলার মাঠে ফুটবলারদের প্রিয় মানুষরা
বিশ্বকাপ জয়ের পর অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ফাইনাল খেলা শেষে মাঠে নেমেছেন৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাঁ থেকে গোলরক্ষক রোমান ভাইডেনফেলারের বান্ধবী লিসা, নয়ারের বান্ধবী ক্যাথরিন, শোয়াইস্টাইগারের বান্ধবী সারাহ ব্যান্ডার এবং মেসুত ও্যজিলের বান্ধবী ম্যান্ডি৷ এছাড়াও রয়েছে ক্লোজের দুই ছেলে এবং বোয়াটেং-এর মেয়ে৷
ছবি: Imago
সপরিবারে মিরোস্লাভ ক্লোজে
পোলিশ বংশোদ্ভূত এই জার্মান খেলোয়াড় বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন৷ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এবং পরপর চারটি বিশ্বকাপ ফুটবল খেলায় অংশ নেয়া ক্লোজের আনন্দ ছিলো তাই অনেক বেশি৷ খেলা শেষে সেই আনন্দে শামিল হলেন স্ত্রী সিলভিয়া এবং তাঁর আদরের যমজ ছেলে নোয়া এবং লুয়ান৷
ছবি: Reuters
ক্যাথরিনের সঙ্গে নয়ার
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ বিজয়ী জার্মান দলের গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের দল শুধু বিশ্বকাপটি ঘরে আনেনি, সেই সাথে নয়ার নিজে জয় করে নিয়েছে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লভস’৷ ছবিতে নয়ারের সাথে বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করছেন তাঁর বান্ধবী ক্যাথরিন গিলশ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ছেলেকে কাঁধে নিলেন পোডলস্কি
১৩ জুলাই আর্জেন্টিনার সাথে জার্মানির খেলা শেষে ১- ০ গোলে বিজয়ী হওয়ার পর লুকাস পোডলস্কির ছেলে লুইস মাঠে নেমে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে৷ ওর জার্সির পেছনেও লেখা ছিলো পোডলস্কি৷ শোনা যায় কোলনের কিন্ডারগার্টেনে যাওয়া এই শিশুটির পায়েও নাকি বাবার মতো ফুটবলের যাদু আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মারিও গ্যোৎসে
যাঁর গোলে ২৪ বছর পর জার্মানির ঘরে বিশ্বকাপ ফিরে এসেছে তিনি হলেন মারিও গ্যোৎসে৷ খেলা শেষে এভাবেই গ্যোৎসের ছবি তুলছিলেন তাঁর বান্ধবী অ্যান কাথরিন ব্রোমেল৷
ছবি: Reuters
স্ত্রীসহ লাম
জার্মান ফুটবল দলের অধিনায়ক ফিলিপ লাম ও তাঁর স্ত্রী ক্লাউডিয়ার এই ছবিটি তোলা হয় মিউনিখের অক্টোবর উৎসবে৷ ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অনেক ফুটবল খেলোয়াড় যান৷
ছবি: AP
খেদিরার চুমু
তিউনেশীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান খেলোয়াড় সামি খেদিরা হঠাৎ করেই অসুস্থ হওয়ার কারণে ফাইনাল খেলায় অংশ নিতে পারেনি৷ তবে খেলা শেষে দলের সবার মতো তাঁর আনন্দের শেষ ছিলো না৷ ছবিতে সামি খেদিরা তাঁর বান্ধবী জার্মানির ফ্যাশন মডেল লেনা গ্যার্কেকে চুম্বন করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বান্ধবীর সঙ্গে হুমেলস
জার্মানি বনাম আর্জেন্টিনার ফাইনাল খেলাটি হয় রিও ডি জানিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে৷ ১৩ জুলাই বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা শেষে বিজয় উল্লাস৷ মাট্স হুমেলস আনন্দে চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন তাঁর বান্ধবী ক্যাথি ফিশারের ঠোঁটে৷
ছবি: Reuters
আন্দ্রে শ্যুর্লে
বিশ্বকাপ জয়ের পর এভাবেই শ্যুর্লেকে অভিনন্দন জানায় তাঁর সঙ্গিনী মন্টানা ইয়র্কে৷ দু’জনের সম্পর্কে খানিকটা রাখঢাক ছিল এতকাল৷ কিন্তু ফাইনালের পর এখন সবাই জানে তাঁদের কথা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মেসুত ও্যজিল
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান খেলোয়াড় মেসুত ও্যজিল বিশ্বকাপে তাঁর আয়ের টাকা থেকে শিশুদের সাহায্য করার সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ ঝড় তুলেছে৷ ছবিতে ফাইনালের পর ও্যজিলের সাথে বান্ধবী মান্ডি কাপরিস্টো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাস্তিয়ান শোয়াইস্টাইগার
বিশ্বকাপ জয়ের পর রিও ডি জানিরোর হোটেল শেরাটনে বিজয় উৎসব হয়৷ অন্যান্যদের মতো সেখানে আনন্দ করছেন শোয়াইস্টাইগার ও তাঁর বান্ধবী সারা ব্যান্ডার৷
ছবি: Imago
টোনি ক্রোস ও তাঁর গার্লফ্রেন্ড জেসিকা
টোনি ক্রোস মাত্র ১৭ বছর বয়সেই জার্মানির সবচেয়ে বড় ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে খেলার সুযোগ পান৷ সেসময় তিনি দলের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় ছিলেন৷ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে দু’টি গোল করেন ক্রোস৷ খেলার সময় সতীর্থদের নির্ভুল পাস দিতে পারার দক্ষতার জন্য নাম রয়েছে তাঁর৷
ছবি: Getty Images
টোমাস ম্যুলার ও লিজা ম্যুলার
স্বামী, স্ত্রী দু’জনই ফুটবল খেলোয়াড়৷ মিউনিখের অক্টোবরফেস্ট উৎসবে তোলা হয় এই ছবিটি৷ ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অনেক ফুটবল খেলোয়াড় ছাড়াও জার্মানি এবং অন্য দেশের অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিরাও যান৷
ছবি: AP
13 ছবি1 | 13
সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী গোলরক্ষক মানুযেল নয়ারের নাম তো উঠবেই৷ আবার তিনি গোলরক্ষক বলেই হয়ত নয়ার আকাশছোঁয়া আত্মবিশ্বাস সত্ত্বেও বলেছেন, নিজে কোচ হলে তিনি মিডফিল্ডের কোনো খেলোয়াড়কে ক্যাপ্টেন করতেন৷ সঙ্গে যোগ করেছেন: জাতীয় কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ প্রস্তাব দিলে তিনি সে দায়িত্ব এড়িয়ে যাবেন না – অর্থাৎ তাঁর ক্যাপ্টেন হতে আপত্তি নেই৷
আপত্তি থাকবেই বা কেন৷ গত বিশ্বকাপে জার্মান দলের সাফল্যের নোঙর ছিলেন এই আশ্চর্য গোলকিপার, পেনাল্টি এরিয়ার বাইরে যার খেলা দেখলে কখনো মনে হবে ডিফেন্ডার, কখনো বা স্টপার – জার্মানে যাকে বলে ‘লিবেরো'৷ সত্যিই, নয়ারের ‘অ্যান্টিসিপেশন', অর্থাৎ বিপক্ষের খেলোয়াড়দের ‘মুভ'-গুলো ‘অ্যান্টিসিপেট' করার ক্ষমতা অসাধারণ৷ নিজের গণ্ডির মধ্যে দাঁড়িয়ে বিপক্ষের আক্রমণের প্রতীক্ষা করার মতো গোলরক্ষক তিনি নন৷ লছমনরেখা ছেড়ে বেরিয়ে প্রতিপক্ষকে রীতিমতো তাড়া করে – প্রপার ডিফেন্ডারের মতো ট্যাকল করে বল ছিনিয়ে নেওয়া; পেনাল্টি এরিয়ার বাইরে হেড করে বল ক্লিয়ার করা, এ সব খেলই দেখিয়েছেন নয়ার ব্রাজিল বিশ্বকাপে৷
লম্বা, ঢ্যাঙা মানুষ; শক্তিশালী, সবল দেহ৷ ট্যাকলিং যখন করেন, তখন জান-মালের তোয়াক্কা না করে৷ বলতে কি, নয়ার ইতিমধ্যেই তাঁর নিজস্ব গোলকিপিং-এর স্টাইল তৈরি করে ফেলেছেন৷ ২০১১ সালে শালকে থেকে বায়ার্নে যাওয়ার পর তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়ে বটে, কিন্তু হালের বিশ্বকাপ সেই আত্মবিশ্বাসের এমন একটা বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছে, যার উপর ভিত্তি করে মানুয়েল নয়ার অনায়াসে জাতীয় পর্যায়ে আরো এবং অনেক বড় দায়িত্ব নিতে পারেন৷
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আগমন
লাখো ভক্তের অপেক্ষার অবসান হলো৷ দেশে ফিরেছে বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান দল৷ বার্লিনের টেগেল বিমানবন্দরে লুফৎহানসার বিমান অবতরণের পর থেকে চলছে বিজয়ী সম্ভাষণ৷
ছবি: Reuters
ওই আসছে....
টেগেল বিমানবন্দরে জনসমুদ্র৷ কারো কারো আর তর সইছিল না৷ বিমানের দেখা পাওয়া মাত্রই তারকা খেলোয়াড়দের দেখতে হাতে দুরবিন তুলেন নেন তাঁরা৷ এখানে বিমানবন্দরে দর্শনার্থীদের টেরাসেই দুরবিন হাতে ব্যস্ত একজন৷
ছবি: ADAM BERRY/AFP/Getty Images
লুফৎহানসা হয়ে গেল ফ্যানহানসা
স্থানীয় সময় সকাল সোয়া দশটায় অবতরণ করে লুফৎহানসার বোয়িং ৭৪৭ বিমান৷ বিশেষ দিনে লুফৎহানসাও বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলের ফ্যান, অর্থাৎ ভক্ত৷ তাই বিমানের নামের জায়গায় লুফৎহানসা নয়, লেখা ছিল ফ্যানহানসা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার আগে অধিনায়ক
ফুটবলারদের বিমান থেকে নামিয়ে আনতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ সিঁড়ি৷ বিশ্বকাপে জার্মানির চার সাফল্যের প্রতীক হিসেবে আঁকা ছিল চারটি তারকা৷ বিমানের গায়েও বড় বড় করে লেখা ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ এবং ২০১৪৷ ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের সুবাদে পাওয়া জুলে রিমে ট্রফির অনুরূপ ট্রফিটি নিয়ে বিমান থেকে প্রথমে নেমে আসেন অধিনায়ক ফিলিপ লাম, তাঁর পেছনেই জার্মানির পতাকা গায়ে সহ-অধিনায়ক বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগার৷
ছবি: Matthias Kern/Bongarts/Getty Images
বিজয় মঞ্চের দিকে যাত্রা
বিমান থেকে বাসে৷ ছাদখোলা বাসটির গায়েও লেখা ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ এবং ২০১৪৷ ব্রাজিল থেকে সদ্য ফেরা দলটির খেলোয়াড়রা একে একে উঠলেন বাসে৷ ওঠার আগে সবাইকে পরিয়ে দেয়া হয় কালো টি-শার্ট৷ বিশ্বকাপ জয়ের স্মারক এই টি-শার্টগুলোর গায়ে লেখা #১, অর্থাৎ সবাই এক নম্বর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্রান্ডেনবুর্গে অপেক্ষা
ব্রান্ডেনবুর্গ গেটে বিশাল মঞ্চকে ঘিরে অপেক্ষা করছে কয়েক হাজার ফুটবলভক্ত৷ ছেলে-বুড়ো, তরুণী-বৃদ্ধা সবাই এসেছেন বিশ্বকাপ জয়ীদের অভিনন্দন জানাতে৷ এই তরুণীকে আলাদাভাবেই ধরেছে ফটোগ্রাফারের ক্যামেরা৷
ছবি: ADAM BERRY/AFP/Getty Images
ভক্তের বিশ্বকাপ
জার্মান দলের দুই ভক্তের হাতেও ছিল বিশ্বকাপ ট্রফি৷ নকল হলেও তাঁদের ট্রফিটি কিন্তু আসলের তুলনায় বিশাল!
ছবি: picture-alliance/dpa
সমর্থক পরিবার
বিশ্বকাপ জয়ীদের সংবর্ধনা জানাতে ব্রান্ডেনবুর্গ গেটে ছিল ব্যাপক আয়োজন৷ নাচে-গানে মুখর চারপাশ৷ জার্মানির তারকা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দেখতে এক সমর্থক এসেছিলেন দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে৷
ছবি: DW/B. Gräßler
তিন তরুণ
ব্রাজিল বিশ্বকাপে জার্মানির পুরো দলের পারফরম্যান্সই ছিল অসাধারণ৷ তবে শেষ হাসিটা ‘বিস্ময় বালক’ মারিও গ্যোটৎসের উপহার৷ তাঁর গোলেই আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে জার্মানি৷ এখানে গ্যোয়েটৎসের সঙ্গে টনি ক্রুস এবং শ্যুর্লে৷
ছবি: Reuters
ট্রফি হাতে বিশ্বজয়ীরা
হাজার হাজার সমর্থকের করতালি আর হর্ষধ্বনির মাঝে মঞ্চে উঠে আসেন জার্মান দলের খেলোয়াড়রা৷ শুরু হয় ট্রফি নিয়ে উল্লাস৷ জার্মানিতে আনন্দ-উল্লাস তো সবে শুরু৷ বিজয়ী বীরদের নিয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতায় এ উল্লাস নিশ্চয়ই আরো কিছুদিন চলবে৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
বিশ্বকাপের সেরা গোল রক্ষক; ২০১৩ সালে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক; এবার জার্মানির ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার৷ কাজেই অনেকের কাছে প্রশ্নটা এই নয়: জার্মানির কোচ অফ দ্য ইয়ার ইওয়াখিম ল্যোভ নয়ারকে নতুন ক্যাপ্টেন করবেন কিনা৷ বরং প্রশ্নটা হলো: ল্যোভ নয়ারকে ক্যাপ্টেনসি থেকে বাদ দেবেন কি করে৷ বিশেষ করে নয়ারের বয়সটাও যখন ঠিক ২৮, অর্থাৎ নাইদার টু ইয়ং, নর টু ওল্ড টু বি দ্য ক্যাপ্টেন৷ এক যদি না বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার বলে এক পুরনো বাঘ থাকতেন – যাঁর এখন একটার পর একটা ইনজুরি চলেছে৷
‘কিকার' ম্যাগজিনের বাৎসরিক জরিপে ক্রীড়া সাংবাদিকরা যে ৭০১টি ভোট দিয়েছেন, তার মধ্যে নয়ার পেয়েছেন ১৪৪টি ভোট৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মার্কো রয়েস, যাঁর ১৩৫টি ভোট৷ তৃতীয় স্থানে টোমাস ম্যুলার, যিনি পেয়েছেন ১০৫টি ভোট৷ যা থেকে প্রমাণ হয় যে, জার্মানির ক্রীড়া সাংবাদিকরা বেশ ভেবেচিন্তেই ভোট দেন, সাময়িক উত্তেজনা-উন্মাদনা থেকে নয়৷ কাজেই যোগ করা দরকার যে, ২০১১ সালে নয়ার ঠিক এভাবেই জার্মানির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন৷