1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নয়া পল্টনে সংঘর্ষে নিহত ১

৭ ডিসেম্বর ২০২২

রাজধানীর নয়া পল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত একজন হাসপাতালে মারা গেছেন৷ এছাড়াও আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে৷

ফাইল ছবিছবি: Sony Ramany/AFP

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসব তথ্য জানান৷

বুধবার বিকালে তিনি বলেন,  “ নয়াপল্টন এলাকায় সংঘর্ষের সময় আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়৷ তদের মধ্যে আকবর নামে ৩০ বছর বয়সী একজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন৷”

নিহত ওই যুবকের শরীরে ‘ছররা গুলির চিহ্ন' রয়েছে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু৷

হাসপাতাল সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, বেলা সাড়ে চারটা পর্যন্ত নয়াপল্টনের সংঘর্ষে আহত আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে আনা হয়৷ তাঁদের মধ্যে মকবুল মারা গেছেন৷ অন্যদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে, তারা হলেন রনি, মনির, আনোয়ার ইকবাল ও খোকন৷

প্রথম আলোর ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় মকবুলকে এক ব্যক্তি হাসপাতলে নিয়ে আসেন, যিনি নিজের নাম মোস্তাফিজুর রহমান বলে জানিয়েছেন৷ ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি পথচারী, রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মকবুলকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল৷ এর মধ্যে বিএনপিকর্মীরা বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জড়ো হতে শুরু করেন৷ বিকালে তারা যখন বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন,তার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়৷

পুলিশ ধাওয়া দিলে বিএনপি কর্মীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করে৷ পুলিশ তখন রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোয়াট সদস্যদেরও দেখা যায় সেখানে৷

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে নয়া পল্টন এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে৷ ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ পুলিশের ধাওয়ায় বিএনপিকর্মীরা বিভিন্ন গলিতে গিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকলে পুলিশ গলিতে ঢুকেও তাদের ধাওয়া দেয়৷

বিএনপি অফিসে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  “নেতাকর্মীরা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে পার্টি অফিসে এসেছিলেন৷ তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে পুলিশ৷ টিয়ার গ্যাসে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ অনেক কর্মীকে আহত অবস্থায় আটক করে নিয়ে গেছে৷”

তিনি অভিযোগ করেন, “পার্টি অফিসের ভেতরে হাজার দুয়েক নেতাকর্মী আটকা পড়েছে, তাদের মধ্যে আহত অনেকে আছে কিন্তু পুলিশ কাউকে বের হতে দিচ্ছে না৷”

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. হায়াতুল ইসলাম খান বলেন,  “১০ তারিখে বিএনপির সমাবেশের স্থান এখনো নির্ধারণ হয়নি কিন্তু আজ নয়া পল্টন পার্টি অফিসের সামনে উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ বারবার অনুরোধ করার পরও রাস্তা ছেড়ে দেয়নি৷ পরে তাদেরকে উঠাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে৷ এভাবেই সংঘর্ষের ঘটনা৷ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন৷”

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ