পঁচাত্তরে পা দিলেন আশা ভোঁসলে
২২ সেপ্টেম্বর ২০০৮এই সেপ্টেম্বরে পঁচাত্তরে পা দিলেন তিনি৷ কিন্তু কন্ঠের তারুণ্য আর লাবণ্য আজও শ্রোতাকে বিমুগ্ধ করে দেয়৷ পন্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের দ্বিতীয় কন্যা তিনি৷ বড়ো দিদির নাম লতা মঙ্গেশকর৷ ছোট্টবেলা থেকেই গান গাওয়া শুরু৷
মাত্র নয় বছরে পিতৃহারা আশা পরিবারের সঙ্গে প্রথমে পুণে হয়ে মুম্বইতে এলেন অল্পবয়সেই৷ পরিবারের প্রয়োজনে প্রায় শৈশব থেকে গান আর অভিনয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া৷ ১৯৪৩ সালে একটি মারাঠি ছবিতে প্লেব্যাক দিয়ে পেশাদারী জগতে পদার্পণ৷
কিন্তু সহজ পথে দিদি লতার মত থেকে গেলেন না আশা৷ মাত্র ১৬ বছর বয়সে দিদি লতার সেক্রেটারি ৩১ বছর বয়সী গণপতরাও ভোঁসলের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে৷ সুখের সংসার হল না৷ শ্বশুরবাড়িতে অসুবিধা, সমস্যা৷ কয়েকবছরের মধ্যে দুই সন্তানের হাত ধরে গর্ভবতী আশা ফিরে এলেন বাপের বাড়িতে৷ আবার গান গাওয়া শুরু হল বটে তবে ভালো জায়গাটা পেতে অনেকটা সময় লেগে গেল৷
পাঁচের দশকে প্রথম ব্রেক ও পি নায়ারের সি আই ডি ছবিতে৷ ছয়ের দশকের মাঝামাঝি তিসরি মন্জিল ছবিতে রাহুল দেব বর্মণের পরিচালনায় গান গাইতে এলেন আশা৷ তৈরী হল এক ইতিহাসের যাত্রা৷ হিন্দীছবি, হিন্দীগান, বাংলাগান ইত্যাদির ভুবনে সে এক অসামান্য সময়৷ রাহুল আশার যুগলবন্দীতে একের পর এক মনভরানো গান শুনে আমর্ম আনন্দিত হল মানুষ৷ সাতের দশকেই এই দুই শিল্পীর পরিণয়৷ আর ডির মৃত্যু পর্যন্ত যে দাম্পত্য অক্ষুন্ন ছিল৷
রান্না করা প্রিয় হবি শিল্পী আশা ভোঁসলের৷ পছন্দের রঙ শাদা৷ মঞ্চে তাঁকে শাদা পোষাকেই সর্বদা দেখা গেছে৷ উপমহাদেশে তো বটেই, প্রায় গোটা বিশ্বের সর্বত্রই জনপ্রিয় এই শিল্পীর গ্রহণযোগ্যতা বিশাল৷ ডয়চে ভেলে এবং আমাদের শ্রোতাবন্ধুদের তরফে আশা ভোঁসলের দীর্ঘ নীরোগ জীবনের শুভকামনা থাকল৷