পেঁয়াজ নিয়ে মহা সমস্যায় ভারত। বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। কিন্তু দেশের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে না। অগত্যা তা গছানোর চেষ্টা বাংলাদেশকে।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বিজ্ঞাপন
যে পেঁয়াজ নিয়ে দু'দিন আগেও দেশ জুড়ে চরম সংকট তৈরি হয়েছিল, এখন সেই পেঁয়াজ নিয়েই অস্বস্তিতে ভারত সরকার৷ বিদেশ থেকে প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যগুলো সে পেঁয়াজ কিনতে চাইছে না৷ অগত্যা বাংলাদেশকে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করে ক্ষতি বাঁচানোর চেষ্টা করছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি এক কর্মকর্তার বক্তব্য, দিন কয়েক আগে বাংলাদেশের হাই কমিশনার রকিবুল হকের কাছে পেঁয়াজ বিক্রির প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে ভারত সরকার৷ তবে বাংলাদেশ সেই পেঁয়াজ কিনবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষি চলছে বলে জানা গেছে৷
এ বছর দেশে পেঁয়াজের ফলন ভাল হয়নি৷ মহারাষ্ট্রে অকাল বৃষ্টি এবং খরার কারণে প্রচুর পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। ফলে নভেম্বর মাস থেকে পেঁয়াজের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকে৷ এক সময় তা পৌঁছে যায় ১৫০ টাকায়। পরিস্থিতি বুঝে দু'টি সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার৷ এক, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি রাতারাতি বন্ধ করা হয় এবং দুই, পার্শ্ববর্তী দেশগুলি থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
বাণিজ্য বিষয়ক প্রবীণ সাংবাদিক জোসেফের বক্তব্য, ‘‘ভারত মূলত আফগানিস্তান, তুরস্ক এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে পেঁয়াজকিনেছিল৷ এই ধরনের পেঁয়াজের দাম বেশ কম৷ মানও খারাপ৷ প্রতি ম্যাট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত কিনেছিল ৬০০ থেকে ৭০০ মার্কিন ডলারে৷ কিন্তু ভারতের বাজার সেই পেঁয়াজ নেয়নি৷ ক্রেতাদের বক্তব্য, ওই পেঁয়াজের স্বাদ অত্যন্ত খারাপ৷’’ ফলে রাজ্যগুলো কেন্দ্রের কাছে পেঁয়াজের যে চাহিদা পাঠিয়েছিল, বাজার বুঝে তা ফিরিয়ে নেয়৷
পেঁয়াজ ছাড়া মজাদার রান্না
চড়া দামের কারণে পাতে পেঁয়াজ নেই? তবুও ঘরে থাকা অন্যান্য উপকরণ দিয়ে বানিয়ে দেখতে পারেন দেশি স্বাদের এই রান্নাগুলি৷
ছবি: Rangoli Restaurant
শুক্তো
পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার কথা ভাবলেই মাথায় আসে নিরামিষ রান্নার কথা৷ আর শীতের মরসুমে নানা রকমের সবজি দিয়ে শুক্তো রান্নার মজাই আলাদা৷ অল্প মেথি, মৌরি বা পাঁচফোড়ন বাগাড় দিয়ে পছন্দের সবজির সাথে দুধ বা নারকেল বাটা বা সর্ষে দিয়ে খুব কম সময়েই বানানো যায় এই পদটি৷ পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় এই রান্নায় পেঁয়াজ, রসুন একদমই দেওয়া হয় না৷
ছবি: DW/S. Surita
পাতুরি
শুধু সর্ষেবাটা, কাঁচা মরিচ ও সর্ষের তেল দিয়ে মেখে কলাপাতায় মুড়ে সেঁকে নিলেই তৈরি মজার ‘পাতুরি’৷ ইলিশ, ভেটকি ছাড়া চিংড়ি বা ছানা দিয়েও বানানো যায় এই পদটি৷ পাতুরি সেঁকার কাজ কয়লার চুলাতেই সবচেয়ে ভালো হয়৷
ছবি: DW/S. Surita
ইডলি-দোসা
দক্ষিণ ভারতে প্রচলিত এই পদ বর্তমানে বাংলাদেশের রান্নাঘরেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ মূলত ডাল ও চালবাটা দিয়ে তৈরি এই দুটি খাবার পরিবেশন করা হয় নানা ধরনের চাটনি ও সাম্বার নামের ডালের স্যুপের সাথে৷ স্বাদ বদল করতে এই পদটি চেখে দেখতে পারেন৷
ছবি: Eesha Kheny
মুগডালের খিচুড়ি
নিরামিষ খিচুড়ি মূলত করা হয় মুগের ডাল দিয়ে৷ রসুন বা পেঁয়াজের জায়গায় বাগাড় দেওয়া হয় পাঁচফোড়ন, শুকনা মরিচ বা গরম মশলা দিয়ে৷ আদাবাটার সাথে নানা রকম সবজিও দেওয়া হয় এই খিচুড়িতে৷
ছবি: Colourbox/FormaA
লাবড়া
পাঁচমিশালি সবজির আরেকটি নাম লাবড়া৷ সাধারণত পুজোবাড়িতে নিরামিষ খিচুড়ির সাথে খাওয়া হয় এই লাবড়া৷ আলু, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সিম ও বেগুনের এই সবজি রান্না করতে ব্যবহৃত হয় শুকনা মরিচ, পাঁচফোড়ন ও তেজপাতা৷ অনেক সময় ধরে কষিয়ে মাখামাখা এই পদটি শুধু রুটি দিয়েও খেতে পছন্দ করেন অনেকে৷
ছবি: DW/S. Surita
কালীপুজোর পাঁঠার মাংস
মাছ বা মাংষ রান্না পেঁয়াজ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না৷ কিন্তু কালীপুজোর সময় যে পাঁঠা বলি দেওয়া হয়, সেই মাংস রান্নায় থাকেনা পেঁয়াজ বা রসুন৷ শুধু আদা, জিরে ও ধনেবাটা সাথে বেশি করে কাঁচা মরিচ দিয়ে ঝাল ঝাল এই পদটি পুজোবাড়িতে খুব জনপ্রিয়৷ এক এক পুরোনো বনেদী হিন্দু পরিবারে রয়েছে এক এক ধরনের মশলা দিয়ে এই মাংস রান্নার প্রচলন৷
ছবি: Lars Bevanger
ইলিশের তেল ঝোল
বাংলাদেশের সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গেও রয়েছে ইলিশের নানা রকমের রান্নার জনপ্রিয়তা৷ তার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ইলিশের ‘তেল ঝোল’, যা অন্য মাছ দিয়েও করা হয়৷ শুধু কালোজিরের বাগাড় ও কাঁচামরিচের স্বাদের উপর ভিত্তি করেই করা হয় এই রান্নাটি৷ কেউ কেউ মাছের সাথে ডালের বড়ি ভাজা দিয়েও এই রান্নাটি করে থাকেন৷
ছবি: DW/S. Surita
বিদেশি যে যে পেঁয়াজ ছাড়া রেসিপি
শুধু দেশি স্বাদের রান্না কেন, পেঁয়াজ ছাড়া এমন অনেক বিদেশি রান্না করা যায় যা দেশি স্বদ থেকে খুব বেশি দূরে নয়৷ পিৎজা বা পাস্তা রান্নায় সচরাচর পেঁয়াজ ব্যবহার করেন না ইতালিয়ানরা৷ মূলত টমেটো ও নানা রকমের হার্ব, চিজ দিয়েই বানানো যায় অনেক ধরনের পাস্তা বা পিৎজা৷ স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা পেঁয়াজ ছাড়া মুরগির রোস্ট বা সালাদও বানাতে পারেন৷
পেঁয়াজের পরিবর্তে যা
ভারতের অনেক গোষ্ঠীদের মধ্যেই প্রচলিত নেই পেঁয়াজ বা রসুনের ব্যবহার৷ কিন্তু সমস্বাদ আনতে তারা ব্যবহার করেন হিং, যা দিয়ে বাগাড় দিলে ডাল বা সবজিতে আসে অবিকল রসুনের স্বাদ৷ এই হিং ব্যবহার করা হয় রাজস্থান বা উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় খাবার রান্নায়৷
ছবি: Getty Images/S.Hussain
9 ছবি1 | 9
দেশের ক্রেতা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, আসাম, হরিয়ানা এবং কর্নাটক কেন্দ্রের কাছে সব মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার ম্যাট্রিক টন পেঁয়াজ চেয়েছিল৷ কিন্তু পরে তা নেয়নি৷ সরকার এই পেঁয়াজ রাজ্য গুলির কাছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল৷ রাজ্য সরকারগুলি বাজারে তা বিক্রি করছিল ৭০ টাকায়৷ কিন্তু রাজ্যগুলি পিছিয়ে আসায় এখন এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রায় ১৮ হাজার ম্যাট্রিক টন পেঁয়াজ পড়ে আছে মুম্বই বন্দরে। খুব দ্রুত তা চালান করতে না পারলে সরকারের বড়সড় ক্ষতি হবে৷ সে জন্যই বাংলাদেশকে প্রতি ম্যাট্রিক টন পেঁয়াজ ৫০০ থেকে ৫৫০ ডলারে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে৷
সমস্যা হল, বাংলাদেশ বহুদিন ধরেই ভারতের থেকে পেঁয়াজ নেয়৷ এ বছর আচমকা ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছিলেন, এভাবে আচমকা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁর দেশ সমস্যায় পড়েছে৷ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের বিষয়টি আগে থেকে বলা উচিত ছিল৷ কিন্তু গত তিন মাসে চীন এবং নেপাল থেকে পেঁয়াজ নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ৷ এখন ভারত আচমকা এত পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চাওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বাংলাদেশ সরকার৷ সবচেয়ে বড় কথা, খারাপ মানের পেঁয়াজ বাংলাদেশ আদৌ নেবে কিনা, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে৷ যদিও সূত্র জানাচ্ছে, বাংলাদেশ বিষয়টিকে একেবারে ফেলে দেয়নি৷ বরং দরকষাকষির দিকেই তারা এগোচ্ছে৷ পেঁয়াজ বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও ভারতকেই করতে হবে, এমন শর্তও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানাচ্ছে৷
পেঁয়াজ রপ্তানি আয়ে শীর্ষ দেশগুলো
কোন কোন দেশ পেঁয়াজ রপ্তানি করে সব থেকে বেশি আয় করে সেই তালিকা করেছে ওয়ার্ল্ডস টপ এক্সপোর্ট ডটকম৷ ২০১৯ সালে পেঁয়াজ রপ্তানি করে শীর্ষ আয় করা দেশের তালিকা দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: bdnews24.com/A. Mannan
নেদারল্যান্ডস
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গত বছর ৮১ কোটি ৫২ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ বিশ্বের রপ্তানি হওয়া মোট পেঁয়াজের সাড়ে ২০ শতাংশ রপ্তানি করেছে নেদারল্যান্ডস৷
ছবি: Imago Images/J. Tack
চীন
পেঁয়াজ রপ্তানি করে ২০১৯ সালে ৬০ কোটি ৪৪ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ বিশ্বের রপ্তানি হওয়া মোট পেঁয়াজের ১৫ শতাংশ রপ্তানি করে চীন৷
ছবি: picture-alliance/Panimages
ভারত
বাংলাদেশের আমদানিকৃত পেঁয়াজের অন্যতম উৎস ভারত৷ গতবছর পণ্যটি রপ্তানি করে ৩৬ কোটি ৪৭ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে দেশটি৷ বিশ্বে পেঁয়াজ রপ্তানি বাজারের নয় দশমিক এক শতাংশ ছিল ভারতের দখলে৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Nanu
মেক্সিকো
বিশ্বে রপ্তানি হওয়া মোট পেঁয়াজের আট দশমিক নয় শতাংশ রপ্তানি করে মেক্সিকো৷ এই দেশটি গতবার পেঁয়াজ রপ্তানি করে ৩৫ কোটি ৬০ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷
ছবি: Reuters/A. Latif
যুক্তরাষ্ট্র
পেঁয়াজ রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে ২৮ কোটি ৭৭ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ গতবার যত পেঁয়াজ রপ্তানি হয়েছে তারমধ্যে সাত দশমিক দুই শতাংশ রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Lage
মিশর
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গতবার ২৭ কোটি ২৫ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ বাংলাদেশ প্রায় সময়ই এই দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে৷
ছবি: AFP/Getty Images/K. Desouki
স্পেন
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গত বছর ২১ কোটি ৬৭ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ পেঁয়াজ রপ্তানি করে আয়ের দিক থেকে এই দেশটির অবস্থান সপ্তম স্থানে৷
ছবি: Reuters/N. Frandino
নিউজিল্যান্ড
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গতবার এগারো কোটি ৪০ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Melville
পোল্যান্ড
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গতবছর ১০ কোটি ৪৩ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ ওয়ার্ল্ডস টপ এক্সপোর্ট ডটকমের তালিকায় পেঁয়াজ রপ্তানি করে শীর্ষ আয়ের দিক থেকে দেশটির অবস্থান নবম৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Skarzynski
ফ্রান্স
ইউরোপের এই দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি করে ২০১৯ সালে নয় কোটি ৬১ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ গতবার রপ্তানি হওয়া মোট পেঁয়াজের দুই দশমিক চার শতাংশ রপ্তানি করে দেশটি৷ তাদের অবস্থান দশম৷
ছবি: AFP/M. Bertorello
পেরু
দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি করে গতবার আট কোটি ৫৬ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তুরস্ক
২০১৯ সালে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ ডলার আয় করেছে পেঁয়াজ রপ্তানি করে৷ তাদের অবস্থান ১২তম৷
ছবি: picture-alliance/TASS/dpa/S. Bobylev
জার্মানি
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গতবার চার কোটি ৫১ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ গতবার রপ্তানি হওয়া মোট পেঁয়াজের এক দশমিক এক শতাংশ রপ্তানি করে দেশটি৷
ছবি: imago/blickwinkel/McPhoto/K. Steinkamp
ইটালি
ইউরোপের এই দেশটি ২০১৯ সালে চার কোটি ৩০ লাখ ডলার রপ্তানি করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Huguen
ক্যানাডা
পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি গতবার চার কোটি ১৯ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/G. Wenbao
পাকিস্তান
মোট রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশের থেকে অনেক পিছিয়ে থাকলেও শুধু পেঁয়াজ রপ্তানি করে পাকিস্তান গতবার প্রায় তিন কোটি ১৫ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে৷ পেঁয়াজ রপ্তানিতে ২০১৯ সালে তাদের অবস্থান ছিল ১৯তম৷