গত তিনদিনে তিনজন রাজনৌতিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাসন্তীতে একজন তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। হাড়োয়ায় বোমা ফেটে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। পুরুলিয়ার মানবাজারে একজন বিজেপি নেতার দেহ নদীর কাছে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরিবারের অভিযোগ, তাকে খুন করেছে তৃণমূল।
মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জে এক কংগ্রেস নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তৃণমূলের একজন বুথ সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদের রানিনগরে বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। অভিয়োগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
বীরভূমের দুবরাজপুর থেকে ১৫-১৬টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। হুগলির চণ্ডীতলায় সিপিএম ও আইএসএফের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। ভরতপুর থানায় আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বগটুইয়ে মুসলিম নারী প্রার্থী দিলো সব দল
বগটুই গ্রাম৷ ২০২২ সালে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ১০ জনকে৷ সেখানে পঞ্চায়েতে সব দলের প্রার্থী মুসলিম নারী৷
ছবি: Satyajit Shaw/DW
তৃণমূলের প্রার্থী রুবিনা বিবি
গতবছর তৃণমূলের নেতা ভাদু শেখকে খুন করা হয়। তার জেরে বেশ কয়েকটা বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ১০ জন মারা যান। বীরভূমের সেই বগটুই গ্রামে তৃণমূল প্রার্থী হলেন রুবিনা বিবি। গ্রামে ঘুরলেই দেখা যাবে তার পোস্টার ও তৃণমূলের পতাকা-সহ কর্মীদের।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
রুবিনার স্বামীর যা বললেন
রুবিনার স্বামী হীরালাল শেখের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বগটুইকে তিনি আদর্শ গ্রাম হিসাবে গড়ে তুলবেন। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি ও করব। আর তৃণমূলের নেতারা জানাচ্ছেন, তারা সবসময় নিহত মানুষের পরিবারের পাশে আছেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিজেপি-র প্রার্থী মেরিনা বিবি
বগটুই গ্রামে বিজেপি প্রার্থী করেছে নিহত পরিবারের সদস্য মেরিনা বিবিকে। তিনি আবার ভাদু শেখের হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ধৃত পলাশ শেখের মা। ভাদুর হত্যার পর মেরিনা বিবির বাড়িতেও আগুন দেয়া হয়। পরিবারের অনেকে মারা যান। তৃণমূল বলছে, সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতেই প্রার্থী হয়েছেন মেরিনা বিবি। মেরিনা বিবি ডিডাব্লিউকে বলেছেন, বগটুইতে মনোনয়নপত্র পেশ করতে কোনো অসুবিধা হয়নি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
সীমা খাতুনও বিজেপি-র প্রার্থী
মেরিনা বিবি বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি-র প্রার্থী হলেন সীমা খাতুন। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, নারী, বিশেষ করে বৃদ্ধা ও বাচ্চা মেয়েদের জন্য তিনি কাজ করতে চান। দুর্নীতি ছাড়া কাজ করে দেখাতে চান। সীমাও নিহতের পরিবারের সদস্য। প্রিয়জনকে হারাবার দুঃখ তাকে এখনো তাড়া করে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
কী বলছেন সীমার স্বামী
সীমার স্বামীর নাম কিরণ। তিনি বলেছেন, এখানে আগে বিজেপি ছিল না। আমরাই বিজেপি-কে এনেছি। আমি চাইছি, সীমা জিতুক। আমার পিসি মেরিনা বিবি ও স্ত্রী সীমা খাতুন যাতে জেতে তার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
সিপিএমের প্রার্থী গেনেহার বিবি
সিপিএম দাঁড় করিয়েছে গেনেহার বিবিকে। তিনি ডিডাব্লিউকে বলেছেন, এখনো পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে বা প্রচার করতে কোনো অসুবিধা হয়নি। পরে কী হবে, তা বলতে পারছেন না। তার আক্ষেপ, গ্রামটা পুরো শেষ হয়ে গেল। যারা মারলো এবং যাদের মারলো সবাই শাসক দলের। তাই তিনি সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
রেজাউল হকের কথা
গ্রামে আর হিংসা চান না রেজাউল। বগটুইয়ের এই বাসিন্দার দাবি, গ্রামে এখন শান্তি আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি ভোটটা তৃণমূলকেই দিতে চান। কারণ, তৃণমূল গরিবদের অনেক সাহায্য করে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
নাসিমুদ্দিনের পছন্দ সিপিএম
বগটুইয়ের নাসিমুদ্দিন শেখ আবার সিপিএম প্রার্থীর জয় চাইছেন। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে। সবই টিভিতে দেখছেন তিনি। তাছাড়া, গরিবেরও আর উন্নতি হলো কোথায়? তাই তার পছন্দ সিপিএম।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
পোড়া বাড়ির জায়গায়
এখানে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। মানুষ আগুনে ঝলসে মারা গেছিলেন। এখন সেখানে নতুন বাড়ি উঠেছে। জীবন তো থেমে থাকে না।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
এখনো পোড়ার চিহ্ন
তবে সেই পোড়ানোর চিহ্ন এখনো আছো। পোড়া বাঁশ, হাওয়াই চটি সেই ভয়ংকর দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
পুলিশ আছে
বগটুইতে এখনো পুলিশ আছে। কোনোরকম ঝুঁকি নেয়া হয়নি। উত্তেজনা যাতে আর না হয়, হলেও সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বাধা দেয়া হয়নি
বগটুইতে অন্তত বিরোধীদের মনোনয়নপত্র পেশ করতে, প্রাচর করতে এখনো পর্যন্ত বাধা দেয়া হয়নি। এই কথাটা বারবার বলছেন সিপিএম, বিজেপি-র প্রার্থী ও কর্মীরাও।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
12 ছবি1 | 12
হাড়োয়ার ঘটনা
হাড়োয়ায় সুতিপুকুর গ্রামে পুকুরের ধারে এক তৃণমূল কর্মী পরিতোষ মণ্ডলের ছিন্নভিন্ন দেহ পাওয়া যায়। স্থানীয় মানুষের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়। তাতে পরিতোষের একটা হাত উড়ে যায়. দেহের বিভিন্ন জায়গায় বোমার টুকরো বিঁধে যায়। চারজন আহতও হয়েছেন। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য দেহ নিয়ে গেছে।
পরিবারের অভিযোগ, পরিতোষকে খুন করা হয়েছে এবং বিরোধীরারা এই কাজ করেছে।
বিজেপি কর্মীর দেহ
পুরুলিয়ার মানবাজারে বিজেপি নেতা বঙ্কিম হাঁসদার দেহ নদীর ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূলের গুণ্ডারা তাকে খুন করেছে। নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস তৈরির জন্য এই কাজ করা হয়েছে।
তৃণমূল অভিয়োগ অস্বীকার করে বলেছে, বিজেপি মিথ্যা কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে।
রাজ্যপাল বাসন্তীতে
সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা ফেরেন রাজ্যপাল। তিনি ট্রেনে ফিরেছেন। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে তিনি ,সোজা চলে যান বাসন্তীতে, মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে। এর আগে তিনি উত্তবঙ্গের দিনহাটায় নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখন তৃণমূল অভিযোগ করেছিল, তাদের দলের কর্মী খুন হলে তো রাজ্যপাল সেখানে যান না।
রাজ্যজুড়েই সহিংসতা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। ভাঙড়, চোপড়া, বাঁকুড়া-সহ রজ্যের বহু জায়গায় রক্ত ঝড়েছে মনোনয়নপর্বে। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় মনোননপত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি বিরোধী প্রার্থীদের। বিজেপি-র এই প্রার্থী সহিংসতার শিকার। বাঁশ, রড দিয়ে মারা হয়েছে তাকে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আহত মানুষেরা
আরেকজন আহত মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন ঘিরে এতটাই সংঘর্ষ হয়েছে যে, প্রচুর মানুষ আহত। ভাঙড়ে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ও গুলি চলেছে। চোপড়ায় সিপিএমের মিছিলের উপর লাঠি, রড, বন্দুক নিয়ে আক্রমণ করা হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
দীনেশ মণ্ডলের দাবি
দীনেশ মণ্ডল জানিয়েছেন, তার স্ত্রী সোনামণি মণ্ডল মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছিলেন। সেখানেই ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা তাদের আক্রমণ করে। তার বুকে একের পর এক ঘুষি মারা হয়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
উত্তম বাগ মার খেয়েছেন
উত্তম বাগের স্ত্রী ঝুমা বাগ বিজেপি-র হয়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র পেশ করতে যেতেই শুরু হয় ব্যাপক মার। রীতিমতো আহত উত্তম। রাজ্যের ৫০ শতাংশ পঞ্চায়েত আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। তাই প্রার্থীর সঙ্গে তার স্বামী বা পরিবারের সদস্যরাও মনোনয়ন পেশের সময় যান।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
মার অতীন্দ্র হালদারকে
অতীন্দ্র হালদার ডায়মন্ড হারবার দুই নম্বর ব্লকের প্রার্থী ছিলেন। তাকে বিডিও অফিসে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বেধড়ক মারা হয়েছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিমান বসুর নেতৃত্বে
চোপড়ায় সিপিএম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা মিছিল করে মনোনয়নপত্র দিতে যাচ্ছিলেন। সেসময় তাদের মিছিলে হামলা হয়। একজন মাথায় গুলি লেগে মারা যান। গুরুতর আহত দুইজন। এরপর বিমান বসুর নেতৃত্বে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে যান। নির্বাচন কমিশনারকে স্মারকলিপি দেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
পুলিশের সঙ্গে বিরোধ
নেতারা ভিতরে গিয়েছিলেন স্মারকলিপি জমা দিতে। বাইরে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশ তাদের সরাতে যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। কর্মীরা সেই ব্যারিকেড ফেলে দিয়ে এগোতে চায়।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি
সিপিএমের এই নারী কর্মী পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেন। তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, চোপড়ায় গুলিতে আমাদের সহকর্মীরা মারা যাচ্ছেন, ভাঙড়ে সহযোগী দলের কর্মীরা মারা যাচ্ছেন। আপনারা কোথায় ছিলেন?
ছবি: Satyajit Shaw/DW
রাস্তায় বসে প্রতিবাদ
সিপিএমের এই বয়স্ক মানুষটি রাস্তায় বসে পতাকা হাতে নিয়ে প্রতিবাদ দেখালেন। দলের সহকর্মীদের সুরক্ষার জন্য। সহিংসতা বন্ধের দাবিতে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আইএসএফ নেতার দাবি
ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা দেয়া নিয়ে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশি নিরাপত্তায় শেষ পর্যন্ত আইএসএফ প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আইএসএফ নেতা নওসাদ সিদ্দিকি এসেছিলেন নির্বাচন কমিশনে, গ্রামবাসী ও কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
বিজেপি নারী মোর্চার প্রতিবাদ
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতার প্রতিবাদে বিজেপি নারী মোর্চার সদস্যরা রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
প্রতিবাদে কংগ্রেসও
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে কংগ্রেস কর্মীরাও প্রতিবাদ জানান। চোপড়া, ভাঙড়, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীরাও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, একজন মারা গেছেন বলে অভিযোগ।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
দাঙ্গাবিরোধী পুলিশ
বিরোধীদের প্রতিবাদ সামলাতে নামানো হয়েছিল দাঙ্গাবিরোধী পুলিশও। অথচ, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যখন সহিংসতা হয়েছে, তখন উপযুক্ত সংখ্য়ায় পুলিশ ছিল না বা থাকলেও তারা নীরব দর্শক ছিল বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলির।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
13 ছবি1 | 13
তারপরই রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নেন, তিনি বাসন্তীতে মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়ি যাবেন। সেইমতো কলকাতা পৌঁছেই সোজা বাসন্তীতে মৃত জিয়ারুল মোল্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। মোল্লার পরিবারও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তারা জানিয়েছে, পুলিশের উপর তাদের আস্থা নেই, রাজ্যপালের উপর আছে।
বাসন্তীতে পৌঁছে রাজ্যপালের গাড়ি জিয়ারুলের বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারেনি। কারণ, রাস্তা সরু। রাজ্যপাল হেঁটেই যান। যেখানে জিয়ারুলকে খুন করা হয়েছিল, সেই জায়গাও দেখেন। সাধারণ মানুষ রাজ্যপালের কাছে সহিংসতার অভিযোগ জানাতে থাকেন। রাজ্যপাল বলেন, কিছু হলেই রাজভবনের কন্ট্রোল রুমে জানাতে।
বিজেপি-র সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ''যার অশান্তি থামানোর কথা, তিনি বাড়িচ্ছেন। আর রাজ্যপাল গোটা রাজ্যে যাচ্ছেন, মানুষের পাশে দাঁড়াতে। দুয়ারে রাজ্যপালকে দেখছি আমরা।''
তৃণমূলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ''রাজ্যপাল বিজেপি নেতার মতো আচরণ করছেন। তার উচিত রাজ্য সরকারকে সাহায্য করা। কিন্তু তিনি তৃণমূলের মধ্যে ভাঙন ধরাতে চাইছেন।''