বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নয় ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার ঘোষণার পর ২০ দিন পার হলেও এখনো তা কার্যকর হয়নি৷ কবে হবে তাও নিশ্চিত নয়৷ এইসব পণ্যের দাম নির্ধারণ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে৷ ব্যবসায়ীরাও এর প্রবল বিরোধিতা করছেন৷
বিজ্ঞাপন
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে,দাম বেঁধে দিতে পারলে তা ভোক্তাদের জন্য ইতিবাচক হবে, ইচ্ছে মত দাম আদায় করতে পারবেনা ব্যবসায়ীরা৷
গত ৩০ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোজ্যতেল, চিনি, রড, সিমেন্ট, চাল, আটা, ময়দা, মসুর ডাল ও ডিম এই নয়টি পণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়৷
জটিলতায় মন্ত্রণালয়:
কিন্তু দাম বেঁধে দিতে গিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালায় আইনি বাধ্যবাধকতায় পড়েছে৷ কারণ দেশে প্রচলিত আইনে মন্ত্রণালয় সরাসরি দাম নির্ধারণ করতে পারে না৷ তাই ট্যারিফ কমিশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়৷ কিন্তু ট্যারিফ কমিশনও সব পণ্যের দাম নির্ধারণের জন্য ম্যান্ডেট প্রাপ্ত নয়৷ ট্যারিফ কমিশন ১৭ ধরনের আমদানি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে৷ শেষ পর্যন্ত তাদের ভোজ্যতেল, চিনি, রড, সিমেন্টের দায়িত্ব দেয়া হয়৷ ভোজ্য তেল ও চিনির দাম তারা আগে থেকেই নির্ধারণ করে আসছিলো৷ রড ও সিমেন্টে যেহেতু আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় তাই তাদের ম্যান্ডেটের মধ্যে পাড়ায় তারা এই দুইটি পণ্যের দাম নির্ধারণেও কাজ করছে৷ আর কৃষি পণ্য হিসেবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে পাঁচটি পণ্যের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়৷ এই পাঁচটি পণ্য হলো চাল, আটা, ময়দা, মসুর ডাল ও ডিম৷
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কোনো আদেশ পায়নি:
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আঃ গাফফার খান বলেন, ‘‘আমাদের তো আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সরাসরি বলতে পারে না৷ আমাদের বলবে কৃষি মন্ত্রণালয়৷ কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আমরা এখনো ওই পাঁচটি পণ্যের দামের ব্যাপারে সুপারিশ করার জন্য কোনো আদেশ পাইনি৷’’
‘আমাদের সরাসরি বলতে পারে শুধু কৃষি মন্ত্রণালয়’
তার কথা, ‘‘আমরা প্রতিদিনই কৃষিপণ্যের দাম আপডেট করি, খুচরা কত দাম হবে তা আমরা আমরা প্রতিদিনই আমাদের ওয়েব সাইটে দেই৷ তাই নতুন করে আমাদের দাম নির্ধারণের কিছু নাই৷ যে পাঁচটি পণ্যের কথা বলা হচ্ছে ওই পাঁচটি পণ্য আমাদের কৃষি পণ্যের আওতায় রয়েছে৷’’ তিনি জানান, ‘‘কৃষিপণ্য বিপণন অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা প্রতিদিন বাজারে গিয়ে দাম নির্ধারণ করেন৷ উৎপাদন ব্যয়, পরিবহন খরচ ও অন্যান্য খরচ হিসাব করে শতকরা ৫-১০ টাকা লাভ রেখে খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়৷ কিন্তু এখানেও ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে৷ তারা নানা অজুহাতে আরো বেশি দামে বিক্রি করে৷’’
ট্যারিফ কমিশন এরইমধ্যে ভোজ্যতেল ও চিনির দামের সুপারিশ করেছে এবং রড ও সিমেন্টের দাম নিয়ে তারা কাজ করছে বলে জানান কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী৷ তারা পাম তেল লিটারে ১২ টাকা এবং চিনি কেজিতে বর্তমান বাজার দরের চেয়ে চার টাকা কমানোর সুপারিশ করেছেন৷ ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, পাম তেলের দাম ১৪৫ টাকা লিটার নির্ধারণ করা আছে৷ ভোজ্যতেলের দাম লিটারে অন্তত ১২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা যেতে পারে৷ বিশ্ব বাজারে সয়াবিন তেলের দামে তেমন প্রভাব পড়েনি, তবে পাম তেলের দাম কমে এসেছে৷ তাই এই তেলের দাম স্থানীয় বাজারে কমানোর সুযোগ আছে৷ আর সয়াবিন তেল যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা যৌক্তিক৷ ২৩ আগস্ট প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেঁধে দেয়া হয় ১৭৫ টাকা৷ পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম করা হয় ৯৪৫ টাকা৷
দেলোয়ারা বেগম, মুজিবুল হক, ঝর্ণা রানী দাশরা কারওয়ান বাজারে যান কিছুটা কম দামে নিত্যপণ্য কেনার আশায়৷ দু-একটি পণ্য ছাড়া বাকিগুলোর দাম এমন যে দেলোয়ারা বেগম জানতে চাইলেন, ‘‘গরিব মানুষ বাঁচবে কী করে?’’ ছবিঘরে বিস্তারিত...
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
সয়াবিন তেলের দাম চড়া
সরকারিভাবে ঘোষণা দিয়ে চার দিন আগে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১৮৫ টাকা। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম সরকারিভাবেই নির্ধারণ করা আছে ৯৪৫ টাকা। কিন্তু কারওয়ান বাজারে পাইকারি মার্কেটে ৯২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন ব্যবসায়ী সুমন তালুকদার।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
চালও নাগালের বাইরে
সবচেয়ে মোটা চালের নাম স্বর্ণা। তা-ও কেজি ৫২ টাকা। মিনিকেট ৭৫ টাকা আর নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতারা জানালেন, দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ৮ টাকা কম ছিল। গত দুই মাসে পর্যায়ক্রমে বেড়েছে চালের দাম। পরিস্থিতি এমন যে গরিবের পক্ষে মোটা চাল কিনে খাওয়াও দায়।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
ডালের দামও বেশি
প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে ডালের দাম। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর পর্যায়ক্রমে এই দাম বেড়েছে। মসুর ডালের কেজি আগে ছিল ১১৫ টাকা, এখন ১৩০ টাকা। মোটা মসুরের ডালও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুগ ডাল ৮৫ টাকা থেকে হয়েছে ৯৫ টাকা। ছোলার ডাল ৬৫ টাকা থেকে হয়েছে ৭৫ টাকা।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির দাম
ব্রয়লার মুরগি এখন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। পাকিস্তানি কর্ক বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজি দরে। আগে এই ধরনের মুরগির কেজি ছিল আড়াইশ’ থেকে ২৬০ টাকা। আর দেশি মুরগির দাম নাগালের বাইরে। সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজি দরে এখনও বিক্রি হচ্ছে। আগে ছিল ৪০০ টাকার মতো।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
চাষের মাছও কেনা দায়
নদীর কোনো মাছ এখন আর ৫০০ টাকা কেজির কমে পাওয়া যায় না। আগে একটু কম দাম ছিল চাষের মাছের। যেমন, চাষের কই বিক্রি হতো ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, এখন বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ’ টাকায়। চাষের পাঙ্গাস মাছও এখন ৪০০ টাকা কেজি। চাষের রুই মাছের কেজি সাড়ে ৩শ’ টাকা। এছাড়া নদীর মাছের মধ্যে পাবদা, চিংড়ি, ট্যাংড়া, পুঁটি, বাইম, আইড়- এর দাম ৫৫০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
সবজির দামে সামান্য স্বস্তি
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল সবজির দাম। তবে পর্যায়ক্রমে তা একটু কমেছে। আলুর কেজিপ্রতি দাম উঠেছিল ৪০ টাকায়, এখন তা নেমে এসেছে ২৫-৩০ টাকায়। বেগুন প্রকার ভেদে ৪০ টাকা থেকে ৭০ টাকা। ঢেড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসবের দাম কয়েকদিন আগে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
স্থিতিশীল পেঁয়াজ
বর্তমানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। তবে কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। সেখানে অবশ্য ৫ কেজির কম কেনা যায় না। দুই সপ্তাহ আগেও খুচরা বাজারে ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে পেঁয়াজের বাজার।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
উত্থানের পর ডিমের দামে স্বস্তির পতন
ডিমের দাম হু হু করে বাড়ছিল। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির আগে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হতো ব্রয়লার মুরগির ডিম। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর সেটা ১৫০ টাকায় উঠেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বানিজ্যমন্ত্রী ডিম আমদানির ঘোষণা দেওয়ার পর দাম কমতে শুরু করে। এখন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এখন বলা হচ্ছে, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মুরগির খামারিরা সিন্ডিকেট করে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়িয়েছিলেন।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
কাঁচা মরিচে স্বস্তি
কাঁচা মরিচের বাজারে বেশ স্বস্তি ফিরেছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর কাঁচা মরিচের কেজি এক পর্যায়ে ৩০০ টাকায় উঠেছিল। তবে খুচরা বাজারেই এখন কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। কারওয়ান বাজারে দাম আরো কম। শনিবার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেল কেউ কেউ ৩০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করছেন কাঁচা মরিচ। বিক্রেতারা বলছেন, এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় কাঁচা মরিচের গাছগুলো পচেনি, বরং ফলন ফালো হয়েছে।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
কারওয়ান বাজারে দাম একটু কম
শনিবার কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে দেখা গেল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা ঝর্ণা রানী দাসকে। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, তেঁজকুনি পাড়া থেকে বাজার করতে এসে তিনি দেখেছেন কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি সবজি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে পাওয়া যায়।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
‘হিসাব মিলছে না’
বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে অবসর নেয়া মুজিবুল হকের এখন চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। তারপরও কলাবাগান থেকে কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে এসেছেন। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানালেন, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে তার হিসেব মিলছে না। একটু কমের আশায় কারওয়ান বাজার এসেছেন। একবারে পুরো সপ্তাহের বাজার করে নিয়ে যাবেন তিনি।
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
‘বেতন তো বাড়ছে না!’
সরকারি চাকরি করেন আহসান কবীর। নিজের পরিচয় খানিকটা লুকিয়ে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর সবকিছুর দামই বেড়ে গেছে। কিন্তু বেতন তো বাড়েনি। মানুষ চলবে কিভাবে? তাই ছুটির দিনগুলোতে যে জিনিস যেখানে কমে পাওয়া যায় সেখান থেকে কিনি। সে কারণে এসেছি কারওয়ান বাজারে। পুরো সপ্তাহের বাজার এখান থেকে করলে অন্তত ৪-৫শ’ টাকা সেভ হবে।’’
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
গরিব মানুষের বেঁচে থাকা দায়
গৃহবধূ দেলোয়ারা বেগমের পাঁচ জনের সংসার। তারা স্বামী-স্ত্রী আর দুই সন্তান ও শ্বাশুড়ি। পাড়ার মোড়ে তার স্বামী চায়ের দোকান চালান। দোকান থেকে প্রতিদিন ৩-৪শ’ টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া, থাকা-খাওয়া সব চালানো কঠিন৷ বললেন, ‘‘করোনার পর তো ছেলে-মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। সংসারই চলে না, ওদের পড়াবো কীভাবে? এখন যে অবস্থা তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষের বেঁচে থাকাই দায়৷’’
ছবি: Samir Kumar Dey/DW
13 ছবি1 | 13
চিনির দাম সবশেষ গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়৷ ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, প্রতিকেজি খোলা চিনির খুচরা মূল্য ৮৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৮৮ টাকা হওয়া উচিত৷ তবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার দরের তথ্য বলছে, খোলা বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়৷ ব্র্যান্ড ভেদে দাম আরও বেশি৷
শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী বলেন, ‘‘রড ও সিমেন্টের দামের ব্যাপারে সুপারিশ করতে আমাদের আরো সময় লাগবে, আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি৷ কারণ আগে আমরা এই দুইটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করতাম না৷ আমদানি করা ১৭টি পণ্যের দাম আমরা নির্ধারণ করি৷ তবে এই দুইটি পণ্যের কাঁচামাল যেহেতু আমদানি করা হয় তাই আমাদের ম্যান্ডেটের মধ্যেই আছে৷ আমদানি পণ্যের দাম নির্ধারণে ডলারের দাম, পরিবহন খরচ, আমদানি করতে সময়-এই সব বিষয় আমরা বিবেচনায় নিই৷’’
দুই দপ্তরের এই দুই কর্মকর্তাই জানান, দাম নির্ধারণ স্থায়ী কোনো বিষয় নয়, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজার বিবেবচনা করে সমন্বয় করতে হয়৷
ব্যাসায়ীরা দাম বেঁধে দেয়ার বিরোধী:
ক্যাব-এর সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসেন মনে করেন, শুধু এই নয়টি নয়, আরো অনেক পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়া উচিত৷ এতে ভোক্তারা উপকৃত হবেন৷ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দাম নিতে পারবেন না৷ তবে মনিটরিং-এর ব্যবস্থা না রাখলে এই ভালো উদ্যোগও কোনো কাজে আসবে না বলে মনে করেন তিনি৷
তার অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা সব সময়ই নিজেদের স্বার্থে দাম বেঁধে দেয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয়৷ তারা যাতে এবার সফল হতে না পারে সে ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে৷
এফবিসিসিআই’র পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, কোনো পণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার সুযোগ নেই৷ এটাকে বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে৷ মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে দাম বেঁধে দেয়া যায় না৷ তবুও বিশেষ বিশেষ সময়ে আমরা এটা মেনে নিই৷ কিন্তু সব সময়ের জন্য এটা হতে পারে না বলে তিনি মনে করেন৷