সম্পাদক হত্যা পরিকল্পনা!
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, হত্যা পরিকল্পনা এবং এই লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এবিটি-র চার সদস্য মো. শাহরিয়ার নাফিস ওরফে মো. আম্মার হোসেন, মো. রাসেল ওরফে সাজেদুল ইসলাম গিফারী, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম ও মো. আবদুল মালেককে আটক করে র্যাব–১ এর একটি দল৷ এরা চারজনই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাব৷
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ব্লগাররা ‘টার্গেট অ্যান্ড কিলিং’–এর শিকার হয়েছে৷ গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপে ছদ্মবেশ নিয়ে যুক্ত হয়ে ওই গ্রুপের সদস্যদের চিহ্নিত করে হত্যার চেষ্টা করেছেন৷ একটি জাতীয় পত্রিকার একটি লেখা পছন্দ না হওয়ায় ওই পত্রিকার সম্পাদককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা৷ লেখাটি ছিল বিয়ে নিয়ে হাদিস বা ইসলামে যা বলা হয়েছে তার সমালোচনা৷ গত বছর ২৮ জুলাই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল৷ ব্রিফিংয়ে সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা হয়নি৷
জিজ্ঞাসাবাদে এই চারজন জানিয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ডের প্রধান লক্ষ্য কারাগার থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দীন রাহমানিকে মুক্ত করা৷ যদি তারা তাদের নেতাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্ত না করতে পারেন, তাহলে কারাগারে হামলা করে হলেও জসিমউদ্দিন রহমানীকে মুক্ত করবেন বলে জানান৷ জসিমউদ্দিন রহমানীকে মুক্ত করার জন্য তারা ইতিমধ্যে অর্থ সংগ্রহ করেছেন৷ গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নাফিস আম্মার বগুড়ায় একজনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি৷
২০১৩ সালে ব্লগার রাজিব হায়দার হত্যার মধ্য দিয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কর্মকাণ্ড সবার নজরে আসে৷ ঐ হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দলটির প্রধান মুফতি জসিম উদ্দীন এখন কারাগারে৷ ২০১৫ সালে দলটিকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার৷ এরপর থেকে দলটি ‘আনসার আল-ইসলাম’ নামে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে৷
২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার আনসার-আল-ইসলামের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে৷
লেখক অভিজিৎ রায়সহ বিভিন্ন ব্লগার, লেখক ও প্রকাশককে হত্যার পেছনে তাদের হাত রয়েছে বলে ধারণা করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো৷
এপিবি/এসিবি (সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)