1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সম্পাদক হত্যা পরিকল্পনা!

১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-র চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব৷ র‌্যাব জানিয়েছে, ওই চারজন একটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদককে হত্যার পরিকল্পনা করছিল৷ ঢাকার উত্তরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷

ছবি: picture-alliance/dpa

র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, হত্যা পরিকল্পনা এবং এই লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এবিটি-র চার সদস্য মো. শাহরিয়ার নাফিস ওরফে মো. আম্মার হোসেন, মো. রাসেল ওরফে সাজেদুল ইসলাম গিফারী, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম ও মো. আবদুল মালেককে আটক করে র‍্যাব–১ এর একটি দল৷ এরা চারজনই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে র‍্যাব৷

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ব্লগাররা ‘টার্গেট অ্যান্ড কিলিং’–এর শিকার হয়েছে৷ গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপে ছদ্মবেশ নিয়ে যুক্ত হয়ে ওই গ্রুপের সদস্যদের চিহ্নিত করে হত্যার চেষ্টা করেছেন৷ একটি জাতীয় পত্রিকার একটি লেখা পছন্দ না হওয়ায় ওই পত্রিকার সম্পাদককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা৷ লেখাটি ছিল বিয়ে নিয়ে হাদিস বা ইসলামে যা বলা হয়েছে তার সমালোচনা৷ গত বছর ২৮ জুলাই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল৷ ব্রিফিংয়ে সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা হয়নি৷

জিজ্ঞাসাবাদে এই চারজন জানিয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ডের প্রধান লক্ষ্য কারাগার থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দীন রাহমানিকে মুক্ত করা৷ যদি তারা তাদের নেতাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্ত না করতে পারেন, তাহলে কারাগারে হামলা করে হলেও জসিমউদ্দিন রহমানীকে মুক্ত করবেন বলে জানান৷ জসিমউদ্দিন রহমানীকে মুক্ত করার জন্য তারা ইতিমধ্যে অর্থ সংগ্রহ করেছেন৷ গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নাফিস আম্মার বগুড়ায় একজনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি৷

২০১৩ সালে ব্লগার রাজিব হায়দার হত্যার মধ্য দিয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কর্মকাণ্ড সবার নজরে আসে৷ ঐ হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দলটির প্রধান মুফতি জসিম উদ্দীন এখন কারাগারে৷ ২০১৫ সালে দলটিকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার৷ এরপর থেকে দলটি ‘আনসার আল-ইসলাম’ নামে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে৷

২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার আনসার-আল-ইসলামের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে৷

লেখক অভিজিৎ রায়সহ বিভিন্ন ব্লগার, লেখক ও প্রকাশককে হত্যার পেছনে তাদের হাত রয়েছে বলে ধারণা করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো৷

এপিবি/এসিবি (সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ