1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পত্রিকায় বিবরণ নিয়ে ইসরায়েল এবং সুইডেনের কূটনৈতিক বিরোধ

২৪ আগস্ট ২০০৯

পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত বিবরণ নিয়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশের মধ্যে বিরোধ নতুন নয়৷ তবে এবার দুই প্রতিপক্ষ হল ইসরায়েল এবং সুইডেন৷

নেতানিয়াহু চান বিবরণটির নিন্দাছবি: AP

রবিবার ইসরায়েলের দৈনিকগুলির শীর্ষক জুড়ে ছিল শুধুমাত্র একটি বিষয়: সুইডিশ সরকার ‘আফটনব্লাডেট’ ট্যাবলয়েড পত্রিকায় প্রকাশিত একটি বিতর্কিত বিবরণের নিন্দা করতে অস্বীকার করেছেন৷ অতএব ইসরায়েলি বার্তামাধ্যম সুউডেনের বিরুদ্ধে ‘‘ব্লন্ড জাতিবাদের’’ অভিযোগ তুলেছে৷ তাদের বক্তব্য, স্ক্যান্ডিনেভীয়রা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং ‘‘অপবাদ প্রদানের স্বাধীনতার’’ মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছে৷ ইসরায়েলি রাজনীতিকরাও সপ্তাহান্তে বিভিন্ন মন্তব্য করে উত্তেজনা আরো বাড়িয়েছেন৷ বিশেষ করে জোট সরকারের দক্ষিণপন্থী দলগুলির প্রতিনিধিরা বারংবার দাবী করেছেন, যে স্টকহোল্মকে আফটনব্লাডের বিবরণটির বিরুদ্ধে দ্ব্যর্থহীন অবস্থান নিতে হবে৷

অভিযোগ ও পাল্টা দাবী

বিবরণটিতে প্যালেস্তিনীয়দের এই অভিযোগ বর্ণিত হয়েছে, যে ১৯৯২ সালে ইসরায়েলি সৈন্যরা সংশ্লিষ্ট প্যালেস্তিনীয়দের নিহত আত্মীয়স্বজনের বিভিন্ন অর্গান বা দেহযন্ত্র অপসারণ করে৷ কোনোরকম সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই বিবরণটির রচয়িতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক ইহুদি যাজকের প্রসঙ্গ তুলেছেন, যার বিরুদ্ধে মানুষের দেহাংশ নিয়ে ব্যবসার তদন্ত চলেছে৷ রবিবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু সুইডিশ পত্রিকার বিবরণটির নিন্দা দাবী করেন৷ সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল বিল্ড এযাবৎ এ’ দাবী মানতে রাজী নন৷ অপরদিকে ইসরায়েলের সামাজিক মন্ত্রী, সামাজিক গণতন্ত্রী শ্রমদলের আইজাক হেরজোগ বলেছেন, যে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপও বিবেচনা করা হবে৷ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কট্টর দক্ষিণপন্থী রাজনীতিক আভিগডর লিবারমান বিগত কয়েক দিন বিশেষ কূটনীতিক সুলভ কথাবার্তা বলেননি৷ তিনি সুইডিশ সরকারের বর্তমান অবস্থানকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সুইডেনের অবস্থানের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷ তাঁর পরোক্ষ ইঙ্গিত, সুইডেন নাৎসিদের ইহুদি নিধনযজ্ঞের ক্ষেত্রেও নীরব ছিল৷

আগামীতেও বিরোধ চলবে

ওদিকে সুইডেন আবার বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতিদেশ৷ সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডারিক রাইনফেল্ড জেরুসালেমের দাবীকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ সুইডিশ সরকার দেশের সংবিধানের বিরুদ্ধে যাক, এটা কেউ দাবী করতে পারে না, বলেন রাইনফেল্ড৷ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি রাইনফেল্ডের ইসরায়েল সফর করার কথা৷ এখন নাকি ইসরায়েলি সরকার সেই সফর বাতিল করার, কিংবা রাইনফেল্ডের সঙ্গে শুধুমাত্র সুইডিশ পত্রিকার বিবরণটি নিয়ে আলোচনা করার কথা ভাবছেন৷ অর্থাৎ প্যালেস্তিনীয় এলাকাগুলিতে ইহুদি বসতি, অথবা গাজা স্ট্রিপের পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলি আলোচনার নির্ঘন্টতেই থাকবে না - বিশেষ করে যখন এই প্রশ্নগুলিতেই সুইডেন অতীতে বারংবার ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে৷

প্রতিবেদক: টিম আসমান, তেল আভিভ, অনুবাদ: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ