1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বালকনামা’

ক্রিস্টিয়ান দ্রাইসিশাকার / এআই১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

নতুন দিল্লির রাস্তায় ময়লা কুড়ানোর জীবন থেকে সরে যেতে চায় জ্যোতি৷ উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন তার৷ এই কাজ সহজ নয়৷ তবে চেষ্টা করে যাচ্ছে সে৷ তাই ময়লা বিক্রির পাশাপাশি পথশিশুদের জন্য তৈরি পত্রিকায় কাজ করছে জ্যোতি৷

Ausschnitt Hindi TV Wissenschaftsmagazin DW Manthan
ছবি: DW

১৫ বছর বয়সি জ্যোতি প্রতিদিন কাজ শুরু করে সকাল ছ'টা থেকে৷ ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির পূর্বে একটি এলাকায় রাস্তায় কাজ করে সে৷ জ্যোতি প্লাস্টিকের বোতল, নিউজপেপার এবং কার্ডবোর্ড সংগ্রহ করে৷ অন্যরা যা ফেলে দেয়, তা তুলে টাকা আয় করে সে৷

বালকনামাছবি: DW

‘‘পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখতে আমি রাস্তার ময়লা সংগ্রহ করি৷ আমার বাবা অসুস্থ, মায়ের কোনো আয় নেই৷ তাই পরিবারের খাবার যোগাতে ভাই এবং আমি কাজ করি৷'' - কথাগুলো জ্যোতির৷ সকালবেলা সাধারণত তিন-চার ঘণ্টা কাজ করে সে৷ এক কেজি প্লাস্টিক বোতলের দাম চল্লিশ ভারতীয় টাকা, ইউরোর হিসেবে যা পঞ্চাশ সেন্টের একটু বেশি৷

জ্যোতির পরিবারের জন্য এই অর্থ সত্যি জরুরি৷ একটি সেতুর নিচে বাস করে তারা৷ তাদের আস্তানার দুই দিকের ব্যস্ত সড়কে দিনরাত সারাক্ষণই গাড়ি চলে৷ এভাবে বসবাস করা অবৈধ৷ তাদেরকে যে কোনো সময় এখান থেকে উচ্ছেদ করা হতে পারে৷

জ্যোতি তাদের পরিবারের প্রথম সদস্য যে এ ধরনের জীবনযাপন থেকে সরে আসতে চায়৷ তাই বোতল কুড়ানো শেষ করে জ্যোতি স্কুলে যায়৷ সেখানে শিশুরা পড়া, লেখা, অংক করা ছাড়াও জীবনমুখী শিক্ষাও গ্রহণ করে থাকে৷ প্রতিদিন দাঁত মাজার ব্যাপারটিও এখানে শেখানো হয়৷

নতুন দিল্লিতে পথশিশুদের জন্য শ'খানেক স্কুল রয়েছে৷ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘চেতনা' এগুলো পরিচালনা করে৷ পথশিশু এবং শিশুশ্রমিকরা এসব স্কুলে লেখাপড়া করে৷ জ্যোতির এলাকায়ও এই স্কুলের শাখা রয়েছে৷

জ্যোতি অন্যান্য পথশিশুদের সঙ্গে ‘‘বালকনামা'' নামক একটি পত্রিকায়ও কাজ করে৷ এটি নতুন দিল্লির একমাত্র পত্রিকা যা পথশিশুদের দিয়ে, পথশিশুদের জন্য তৈরি৷ দশ বছর আগে পত্রিকাটি চালু হয়৷ শিশুদের মাথা থেকেই পত্রিকার চিন্তা আসে৷ তারা তাদের গল্প অন্যদের জানাতে চায়৷ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক বিজয় কুমার বলেন, ‘‘বালকনামা আমাদের স্বনির্ভর করে তুলেছে, আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারি৷ আমরা স্বাধীন৷ কেউ আমাদের বলতে আসে না যে প্রথম বা অন্যান্য পাতায় কী ছাপতে হবে৷''

যে সব শিশুরা মাদকাসক্তি থেকে সরে আসতে পেরেছে, তাদের নিয়ে পরবর্তী সংখ্যায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চায় জ্যোতি৷ পথশিশুদের মধ্যে মাদকাসক্তি – এই সমস্যা সম্পর্কে সে জানে৷ জ্যোতি অন্যান্য শিশুদেরও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার পথে যেতে উৎসাহিত করতে চায়৷ দরিদ্রতা থেকে মুক্তির কোন সহজ পথ নেই৷ তবে জ্যোতি চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ একদিন হয়ত ময়লা কুড়ানোর জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে সে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ